বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ইতিহাস

আসসালামুয়ালাইকুম বন্ধুরা। সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চাই জাতীয় পতাকার ইতিহাস । স্বাধীনতা মানে অন্যের শাসন থেকে মুক্তি।আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম বাংলাদেশের জাতির জন্য একটা ইতিহাস। বাংলাদেশ স্বাধীনতার জন্য এই দেশকে একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করতে হয়েছে। ব্রিটিশ শাসনামল শেষ হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ পাকিস্তানের শাসনাধীন ছিল। শুরু থেকেই, পাকিস্তানি অত্যাচারী শাসকগন অর্থনৈতিকভাবে, সামাজিকভাবে, রাজনৈতিকভাবে বাঙ্গালীদের কে শাসন করছিল। তাই বাঙালিদের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করতে হয়েছিল।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। জাতীয়পতাকা একটি দেশের প্রতীক। বিশ্বের প্রতিটি দেশের একটি নিজস্ব জাতীয় পতাকা রয়েছে। এটি দেশ থেকে দেশে ভিন্ন হয়। একটি দেশের জাতীয় পতাকার দেখে ওই দেশের ইতিহাস ঐতিহ্য সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়। আমাদের বাংলাদেশীদের ও নিজেদের একটি জাতীয় পতাকা রয়েছে। আমাদের জাতীয় পতাকা ১৯৭০ সালে প্রথম অংকন করেছিলেন বুয়েটের ছাত্র শিবনারায়ন। তার অঙ্কিত জাতীয় পতাকায় সবুজ জমিনের আয়তক্ষেত্রের মধ্যে বাংলাদেশের মানচিত্র অঙ্কিত ছিল। তৎকালীন ছাত্র নেতাদের উদ্যোগে অঙ্কিত এ পতাকা প্রথম উত্তোলিত হয় ১৯৭১সালের ২ মার্চ পল্টন ময়দানে । তবে বর্তমানে প্রচলিত জাতীয় পতাকার ডিজাইনার হলেন চারুশিল্পী পটুয়া কামরুল হাসান। তার ডিজাইনকৃত পতাকার দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থের অনুপাত ১০:৬। মাঝখানে একটি লাল বৃত্ত সহ আমাদের জাতীয় পতাকার রং সবুজ । পতাকার লাল বৃত্ত আমাদের জাতীয় বীরদের রক্তদানকে নির্দেশ করে। তারা ১৯৭১ সালে দেশের জন্য তাদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। আমাদের সরকারি কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। যেসব দেশে দূতাবাস বা হাই কমিশন অফিস আছে সেখানে আমাদের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। জাতিসংঘ আমাদের পতাকা উত্তোলন করা হয়। এমনকি আমাদের সেনাবাহিনীর নির্দেশে বিদেশে শান্তিরক্ষা মিশনে কাজ করার সময় ও পতাকা বহন করে। আমাদের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রীবর্গ পতাকাবাহী গাড়িতে চলাচল করেন। সর্বোপরি আমাদের জাতীয় পতাকা বিশ্বের অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীকে বার্তা পৌঁছে দেয় যে, এক সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা এ পতাকা অর্জন করেছি। আমরা প্রতিটি বাংলাদেশী আমাদের জাতীয় পতাকা কে খুব ভালোবাসি ও শ্রদ্ধা করি। আমরা এটি জন্য গর্বিত। আমরা জীবন দিয়ে হলেও পতাকার মান ও মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখবো ।

Related Posts