বাংলাদেশের জয় আর সাকিবের ১৫০ উইকেট প্রাপ্তি একই দিনে!

করোনার কারণে দীর্ঘদিন বিরতির পর আবারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। ওয়েস্ট উইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে জিতে তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে আছে তারা। যদিও বাংলাদেশের মাটিতে সিরিজ হচ্ছে বলে ফেভারিট হিসেবে বাংলাদেশকেই ধরা হচ্ছে। এছাড়া ওয়ানডে রাঙ্কিয়ে দল হিসেবে ওয়েস্ট উইন্ডিজের চেয়ে উপরে অবস্থান রয়েছে বাংলাদেশের।
 
দীর্ঘ বিরতির পর মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। আর টসে জিতে ওয়েস্ট উইন্ডিজকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় বাংলাদেশ। এরপর সফরকারীরা ১ উইকেট হারিয়ে ১৫ রান তুলতেই বৃষ্টি নামে। এই উইকেটটি পেয়েছেন বাংলাদেশী পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। এরপর বৃষ্টি বেশিক্ষণ ছিলো না। ঘন্টাখানেক বাদে পুনরায় খেলা শুরু হবার পরে খুব বেশি সুবিধা করতে পারেনি সফরকারীরা। মাত্র ১২২রানে গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট উইন্ডিজের ইনিংস। এরপর স্বাগতিকরা ৩৩.৫ ওভারে চারটি উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌছে যায়। ছয় উইকেট হাতে রেখেই জয় পায় বাংলাদেশ। এর মধ্যে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল সবচেয়ে বেশি রান (৪৪)করেন। এছাড়া অভিষেক ম্যাচেই তিনটি উইকেট নিয়েছেন হাসান মাহমুদ। আর বাংলাদেশ দলের ওপেনার তামিম ইকবাল আর লিটন দাস দেখে শুনেই শুরুটা করেছেন। ৪৭ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ কিন্তু জয় পেতে খুব বেশি সংগ্রাম করতে হয়নি তাদের। বেশ সহজভাবেই ম্যাচটি পেরিয়ে যায় তারা কারণ সামনে রানের অঙ্কটা খুব বেশি ছিলো না।
 
বাংলাদেশ ম্যাচ জিতে নিয়েছে এটা তো ভালো খবর বটে। এছাড়াও রেকর্ড করেছেন বাংলাদেশ দলের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানও! এই ম্যাচটি ছিলো দেশের মাটিতে সাকিবের ১০০ তম ম্যাচ আর ঐকই ম্যাচে ১৫০টি ব্যক্তিগত উইকেটের মাইলফলকেও পৌছে গেছেন তিনি। এক বছর নিষিদ্ধ থাকার পর এরকম প্রত্যাবর্তন সাকিব আল হাসানের কাছেই প্রত্যাশিত ছিলো। এই ম্যাচে ৭.২ ওভার বল করে দিয়েছেন মাত্র ৮ রান এবং নিয়েছেন ৪টি উইকেট!
 
একই দিনে সাকিব আল হাসানের ফেরা এবং রেকর্ড করা আর সেই সাথে সিরিজের প্রথম ম্যাচটি জিতে নিয়ে বেশ ভালো অবস্থানেই আছে বাংলাদেশ। এতদিন পর মাঠে নেমে(প্রায় দশ মাস পর) জয় দিয়ে শুরু করার পর নিঃসন্দেহে তা টাইগারদের আত্মবিশ্বাস যোগাবে। এছাড়া ২০২১ সালে বেশ ব্যস্ত সময় পার করতে হবে বাংলাদেশ দলকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে পরবর্তী ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২২শে জানুয়ারি।
 
উল্লেখ্য: সিরিজের সূচি অনুযায়ী দুইটি টেস্ট এবং তিনটি এক দিনের আন্তজার্তিক ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ একদিনের ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ২৫শে জানুয়ারি, চট্টগ্রামে। এছাড়া চট্টগ্রামেই ৩রা ফেব্রুয়ারি ১ম টেস্ট এবং মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় তথা শেষ টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে ১১ই ফেব্রুয়ারি।

Related Posts

27 Comments

মন্তব্য করুন