- কথা বলছি ২০১৮ সালের বেস্টসেলার খেতাবপ্রাপ্ত এবং বাংলাদেশের সেরা মোটিভেশনাল স্পিকার আয়মান সাদিক ভাইয়ার লিখা একটি অন্যতম বই “নেভার স্টপ লার্নিং সম্পর্কে। শিক্ষার্থীদের মাথায় সারাক্ষণ ঘুরপাক খাওয়া প্রচলিত বইয়ের ধারণাই লেখক বদলে দিয়েছেন বইটি লিখার মাধ্যমে। নেভার স্টপ লার্নিং আত্নউন্নয়নমুলক বইগুলোর মধ্যে অন্যতম। তবে এমন কি আছে এই বইয়ে? চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক৷
-
বইয়ের নামঃ নেভার স্টপ লার্নিং
লেখকঃ আয়মান সাদিক
প্রকাশনাঃঅধ্যয়ন প্রকাশনী
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১৭৫
মূল্যঃ ৩০০ টাকা‘ নেভার স্টপ লার্নিং ‘ বইটির নাম শুনেই অনুমান করতে পারছি যে, জীবনের যেকোনো পর্যায়েই শেখা বন্ধ না করার নানা দিকনির্দেশনা দেওয়া আছে বইটিতে। ‘নেভার স্টপ লার্নিং’ এমন একটি বই যেখানে লেখক সাধারণ চিন্তার বাইরে বেরিয়ে বইটি লিখেছেন, এক অন্যরকম বই। বইটিকে অন্যরকম বলার কারণ, আমাদের অধিকাংশই বই বলতে মূলত দু’রকমের বইকে বুঝি!
একটা পাঠ্যবই অন্যটা গল্পের বই। পাঠ্যবইয়ের সাথে আমাদের সম্পর্ক বাধ্যবাধকতার আর অন্যটা ধরি মাছ না ছুঁই পানি। ১৫-১৬ বছরের শিক্ষাজীবনে পাঠ্যবই পড়ে কি-ই বা শিখছি আমরা।কিন্তু, কেমন হতো যদি একটা বই পড়ে বদলে ফেলা যেত নিজেকে? বিকশিত করা যেত নিজেদের কল্পনাশক্তি, সৃজনশীলতাকে। তাই তো বইটিকে লেখক সমৃদ্ধ করে তুলেছেন, হতাশা থেকে মুক্তি পাওয়ার, অপরিচিত কারো সাথে প্রথমবার কথা বলার কিংবা সময়কে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর মতো দারুণ এবং বাস্তব জীবনে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কিছু কৌশল।
চারভাগে বিভক্ত বইটির প্রথমেই রয়েছে লাইফ হ্যাকস।
পর্যায়ক্রমে প্রেরণামূলক, ক্যারিয়ার ও পড়াশোনার টিপস বিষয়ক লেখনীতে ছেয়ে আছে বইটি।পাওয়ার অব ফোকাস, মন ভালো করার টোটকা, সবার প্রিয় হবার ৬টি সূত্র থেকে শুরু করে স্বপ্ন যখন বাস্তব, দুঃখ যখন দুঃখ কমায়, সফলতার এক গোপন সূত্র কী নেই এখানে? মজার বিষয় হচ্ছে, বইটি একটি অসম্পূর্ণ বই যেখানে লেখক বইয়ের কিছু জায়গা পাঠকদের জন্য খালি রেখেছেন। যাতে পাঠকরা তাদের স্ব-স্ব অভিরুচিগুলো লেখনির মাধ্যমে তুলে ধরতে পারে।
তবে আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে ‘ আমার ভর্তিযুদ্ধের গল্প ‘ নামক অনুচ্ছেদটি। এ ভাগে প্রথমে লেখক তার এইচএসসি পরবর্তী জীবনের চরম ব্যর্থতা ও সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার গল্পটাই বলেছেন । লেখক ভর্তিপরীক্ষার মডেলটেস্টে কিভাবে ১০০ তে ২০ পেয়েও শেষমেশ আইবিএ’র মতো একটা প্রতিষ্ঠানে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন তা তুলে ধরেছেন অনুপ্রেরণার সাথে।সর্বোপরি, ‘ নেভার স্টপ লার্নিং ‘ বইটিতে সংক্ষেপে বর্ণিত আছে এমনই কিছু আইডিয়া যেগুলো বর্তমান প্রজন্মের পাঠকদের কল্পনা আর সৃজনীশক্তির বিকাশের পাশাপাশি ব্যক্তিত্বের বিকাশ ও উন্নয়নেও সহায়তা করবে।
সবশেষে লেখক একটি কথাই বলেছেন,” জীবনের যেকোনো পরিস্থিতিতে শেখা কখনোই থামিয়ো না “।