বৃক্ষরােপণ অভিযান , বৃক্ষরােপণের প্রয়ােজনীয়তা

বৃক্ষরােপণ অভিযান , বৃক্ষরােপণের প্রয়ােজনীয়তা

পরিবেশ উন্নয়নে বৃক্ষরােপণ মিকা বৃক্ষ আমাদের পরম বন্ধু । খাদ্য , বস্ত্র , আশ্রয় , স্বাস্থ্য – সকল ক্ষেত্রেই বক্ষের উপযােগিতা অপরিসীম । উপরন্তু তার সৌন্দরে ।

কিন্তু একবিংশ শতাব্দীতে এসে সবুজ – শ্যামল পথিবীর অস্তিত্ব আজ বিপন্ন বিষাক্ত গ্যাসের কারণে পৃথিবীর বাতাস । এ উঠেছে ভারি এবং প্রাণীর জীবনকে করে তুলেছে দুর্বিষহ ।

ঠিক এমনই সময় বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সন্তানেরা এ সুন্দর ধরণীকে রক্ষার না এ প্রাণিজগতের অস্তিত্ব বজায় রাখার জন্য একটিমাত্র পথ আবিষ্কার করলেন । আর তা হলাে বৃক্ষরােপণ ‘ ।

আদেশের বৃক্ষের অবস্থা ও বাংলাদেশে প্রয়ােজনের তুলনায় বনভমি অত্যন্ত কম । তদুপরি জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বনভূমি ।

মাত্রাও ক্রমান্বয়ে বেড়ে যাচ্ছে । প্রকৃতির ভারসাম্য ঠিক রাখার জন্য কোনাে দেশের মােট ভূমির শতকরা ২৫ ভাগ বনভূম ।

প্রাপ্ত তথ্যমতে , ১৯৪৭ সালে দেশের আয়তনের ২৪ ভাগ বনভূমি ছিল । ১৯৮০ – ৮১ সালে তা কমে ১৭ . ২২ ভাগ এবং বর্তমানে মাত্র ৭ . ৫০ ভাগ বনভূমি রয়েছে । এ আশঙ্কাজনক ঘাটতির কারণ ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার বিভিন্ন প্রয়োজন মেটানাে ।

এছাড়া । নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ ; যেমন – বন্যা , খরা , ঘূর্ণিঝড় ও সামুদ্রিক জলোচ্ছাস বক্ষের ব্যাপক ক্ষতি করে । অদূর ভবিষ্যতে সাধারণ । প্রয়ােজনে বৃক্ষ – সঙ্কট এর প্রকট সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে ।

বনায়ন বা বৃক্ষের প্রয়ােজনীয়তা ও বিশ্ব সংস্থার মতে বিশ্বের বনভূমি উজাড় হতে হতে বর্তমানে অর্ধেকে এসে দাঁড়িয়েছে । ফলে বিশ্ব পরিবেশ হুমকির মুখে পড়েছে । মানুষ ও প্রাণির জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত বৃক্ষের ব্যাপক প্রয়ােজনীয়তা রয়েছে । মানবজীবনের সঙ্গে কক্ষের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড় । তাই বৃক্ষকে মানবজীবনের ছায়াস্বরূপ বলা হয় । বৃক্ষ আমাদের নীরব বন্ধু ।

সে আমাদের প্রতিনিয়ত কত যে উপকার করছে তা একবার ভেবে দেখলে অনুধাবন করা যাবে । প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বৃক্ষই আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে । নিচে বৃক্ষের প্রয়ােজনীয়তা সম্পর্কে কয়েকটি দিক উল্লেখ করা হলাে বৃক্ষ প্রাণিজগতকে খাদ্য দেয় , মানুষ ও পশুপাখি বৃক্ষের ফলমূল এবং লতাপাতা খেয়ে জীবনধারণ করে ।

খ , বৃক্ষ প্রাণীকে জীবনদানকারী অক্সিজেন দেয় এবং প্রাণিকুলের ত্যাগ করা কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্রহণ করে । ফলে প্রাণির বেঁচে | থাকতে পারে ।

গ বৃক্ষ আমাদের জ্বালানি দেয় ; আমরা তাপ উৎপাদন , রান্না এবং অন্যান্য জ্বালানি কাঠ বৃক্ষ থেকে পেয়ে থাকি ।

ঘ . বৃক্ষ আমাদের আসবাবপত্র ও গৃহনির্মাণের সামগ্রী দেয় । নৌকা , জাহাজ , রেলগাড়ী ইত্যাদি নির্মাণে কাঠের প্রয়ােজনীয়তা অনস্বীকার্য । বাধ ও সেতু নির্মাণেও কাঠের বহুল ব্যবহার দেখা দেয় । উ , বৃক্ষ থেকে কাগজের মণ্ড এবং রেয়নশিল্পের কাঁচামাল ও দিয়াশলাই তৈরি হয় । চ . বৃক্ষ দেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ করে ।

এতে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকে । ফলে বাতাসে জলীয়বাষ্প ধারণ ক্ষমতা বাড়িয়ে আবহাওয়াকে শীতল ও প্রচুর বৃষ্টিপাতে সাহায্য করে । ই . গাছপালা মূল ভূভাগ ও নতুন সুষ্ট চরাঞ্চলকে নদীর ভাঙন , বৃষ্টিপাত ও পানিকাতির হাত থেকে রক্ষা করে । এতে মাটির স্থিতিশীলতা বজায় থাকে । জী , বৃক্ষ ঝড় – ঝঞা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে বাসগৃহকে রক্ষা করে ।

৪ . বৃক্ষ আমাদের জীবন রক্ষার জন্য নানা প্রকার ওষুধ দান করে । পরিবেশ দূষণরােধে বৃক্ষ ও পরিবেশকে দূষণমুক্ত করতে বৃক্ষ বা উদ্ভিদ বিশেষ ভূমিকা পালন করছে । প্রাণিজগৎ শ্বাস – প্রশ্বাস ও সহকার্যের ফলে প্রচুর পরিমাণ কার্বন ডাইঅক্সাইড বায়ুমওলে যােগ করছে এবং সেখান থেকে প্রচুর পরিমাণ অক্সিজেন গ্রহণ করছে ।

প্রাণিজগত যেমন বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইডে পরিমাপ বৃদ্ধি করছে , তেমনি অন্যদিক অক্সিজেনের পরিমাণ রাস করছে ।

সবুজ দি বায়ুমণ্ডলের এ ভয়াবহতা দূর করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে । সরজ উদ্ভিদ বাতাসের কার্বন ডাই অক্সাইডের পারমাণ হ্রাস করে পরিবেশকে দূষণমুক্ত করে । উদ্ভিদ মাটিকে নঢ়ভাবে আটকে রেখে মাটির ক্ষয়রােধ করে ।

Related Posts

17 Comments

মন্তব্য করুন