আসসালামুয়ালাইকুম বন্ধুরা। সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চাই,ব্রণ হলে কি করবেন।যখন আমাদের ত্বকে প্রথম ব্রণ সমস্যা হয় তখন আমরা আমাদের চারপাশ থেকে সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি অবলম্বন করি। আর এগুলো আমাদের জন্য ভাল মনে করি। যেটা আমাদের ত্বকের জন্য ভালো না খারাপ আরো কিছু না জেনে আমরা ব্যবহার করে থাকি। আর এ কারণে ত্বকে ব্রণ অবস্থা আরো খারাপ করে ফেলি। কিন্তু আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষ এটা জানার চেষ্টা করে না যে ব্রণ আসলে কেন হয় এবং ধরন কি কারন এটা ভিন্ন ভিন্ন রকম হয়ে থাকে। যেমন সাদা, কালো ছোট, বড় ইত্যাদি। একটা বিষয় খেয়াল করে দেখবেন আপনার ত্বকে ব্রণ হওয়ার পর কালো রঙের কিছু দানাদার দেখা যায়। এটা ব্ল্যাক হেইটস এবং হোয়াইট হেইটস নামে পরিচিত। ব্রণ চিরতরে দূর করার জন্য যেসব পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে তা হলো। প্রথম অংশে আমরা জানব পিম্পল কেন হয় এবং সেটা দূর করার উপায় কি। পিম্পল সাধারণত বয়সন্ধিকালে হরমোন পরিবর্তনের কারণে হয়ে থাকে। আবার কিছু ব্রুন ইনফেকশনের আগে বড় আকার ধারণ করে। আপনার ত্বক যদি পরিষ্কার না হয় তাহলে ময়লা কোষ জমে জায়গা তাকে বন্ধ করে দেয়। ফলে সিভন গ্ল্যান থেকে স্কিনের ভেতর বাইরে বের হতে পারে না। আর পরে আমাদের ত্বকে পিম্পল আকারে বের হয়ে আসে। যখন আমরা ভুল করে এ পিম্পল চাপ দিয়ে ফাটায় তখন বড় ছিদ্র খুলে যায় এবং বাইরে থাকা ব্যাকটেরিয়া খুব সহজে স্কিনের ভেতর প্রবেশ করে। আর তখন এটা খুব দ্রুত দ্বিগুণ হয়ে যায়। এর ফলে স্কিন আরো বেশি সংক্রমিত হয়। কিছু পিম্পল আছে যেগুলো আকারে ছোট। ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে এ ধরনের হয়ে থাকে। কিছু শক্ত বেদনাদায়ক এবং ত্বকের বাইরে এসে ফুলে ওঠে। আবার কিছু আছে যেগুলো স্ক্রিনের গভীরে পৌঁছায়। যেতে আকারে বড় এবং ব্যাথদায়ক হয়। আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যভ্যাস আমাদের ত্বকের পিম্পল বাড়া আর কমানোর জন্য প্রধানত দায়ী। কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে এটি বাড়তে থাকে। আমার কিছু খাবার আছে যেগুলো ইনফেকশন কমানোর কাজ করে।
১। সুগার বা চিনি: কিছু খাবার আছে যেগুলো সুগার বা চিনি থাকে যেমন মিষ্টি, কেক, তরল পানীয়।
২। মিল্ক বা দুধ আর দুধ দিয়ে বানানো সকল খাবার। ৩। ময়দা দিয়ে বানানো খাবার।
যদি আপনার এই ধরনের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে এ ধরনের খাবার একদম খাওয়া উচিত নয়। তাই আপনার ত্বক সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে। রাতে ঘুমানোর আগে অবশ্যই ত্বক ধুয়ে নিবেন। কারণ সারাদিন ধুলোবালির মধ্যে থাকার কারণে সেগুলো আমাদের ত্বকে জমতে থাকে। এর ফলে ব্যাকটেরিয়া ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি থাকে। এর জন্য রাতে স্কিন অবশ্যই পরিষ্কার রাখুন। ব্রুন আক্রান্ত ত্বকে সাবান কখনোই ব্যবহার করা উচিত না। কারণ আক্রান্ত ত্বকে এগুলো মারাত্মক আকার ধারণ করে। সাবানের পরিবর্তে আপনি ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। আগামী দিন নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব। ধন্যবাদ সবাইকে।