ভালোবাসার বিলাসিতা (ব্রেকআপের পর বিয়ে)

আব্বু আমি আর বোন তিনজনে মিলে ব্যবসার কাজ করতে ছিলাম। হঠাৎ আম্মু এসে বলে নীল শোন তোর জন্য একটা মেয়ে দেখেছি আমার পছন্দ হয়েছে এই বার তোকে বিয়ে করতে হবে।আমি, আব্বু আর বোন ঐশী এই তিনজন আম্মুর দিকে তাকিয়ে হাসি দিয়ে বলি এই কথা ছাড়া তোমার কোনো কথা নেই। আম্মু বলে এর আগে ১০ টার উপর মেয়ে দেখছো একটাও তোর পছন্দ হয় নাই।এই বার তোকে পছন্দ করতে হবে।আমি শুনে হেসে দেই।ছোটবোন বলে ভাইয়া এই বার বিয়ে করে ফেলো অনেক দিন হয়েছে বিয়া খাই না।

আব্বু ঠান্ডা মাথায় আমাকে বলতেছে নীল শোন আমাদের বয়স হয়েছে কয় দিন বা বাঁচি বিয়েটা এই বার করে নে।

আমি নিজেও ভাবছি আসলেই বয়স বেড়ে যাচ্ছে এখন বিয়ে করা দরকার।

আমি আম্মুকে বললাম আচ্ছা ঠিক আছে মেয়ে দেখবো তারপর বিয়ে ঠিক করো।

এই কথা বলার দুইদিন পড়ে পরিবারের সবাই মিলে মেয়ে দেখতে চাই।মেয়ে যখন আসে আমি তো পুরো অবাক এই কে।আমি দাঁড়িয়ে যেয়ে বলি নূরিন তুমি।
আম্মু বলে তুই ওকে চিনো।

আমি আম্মুকে বললাম জ্বি এই হলো আমার এক্স গফ।যার জন্য একবার আমি সুইসাইড করতে গেছিলাম।

আম্মু বলে কি বলো তুই এই সব কথা আমি তো এর কিছুই জানি না।আমি আম্মুকে বললাম তুমি ইমনকে জিজ্ঞেস করো ও সব জানে।

তখন নূরিন উঠে বলে সেই দিন ব্রেকআপ এর জন্য কি আমি একা দায়ী। তোমার কোনো দোষ ছিলো না।তুমি কেনো অন্য মেয়েদের সাথে ছবি তুলেছিলে।আমি তখন নূরিনকে বললাম তোমার বলে বফ আছে সেই বফ কোথায়। নূরিন বলে কে বলছে এই কথা। আমি নূরিনকে বললাম তোমার বান্ধবী শাওলী বলেছে।নূরিন তখন বলে কি বলো এই সব কথা আমি তখন বললাম তোমার বান্ধবী শাওলীকে ফোন দিয়ে কথা বলে জিজ্ঞেস করো।নূরিন এর পর শাওলীকে ফোন করে জিজ্ঞেস করে তখন এই কথা শাওলী স্বীকার যায়।শাওলী কোনো সময় চায়নি আমার সাথে নূরিন এর সম্পর্ক গড়ে উঠুক কারণ নূরিনকে ও হিংসা করতো।

এই সব কথা বলার পর নূরিন আমাকে বলে আমি আসলে সরি এই সব এর জন্য। তখন আমার আম্মু আর নূরিনের আম্মু বলে যা আগে হয়েছে তা বাদ দাও।নতুন করে তোমরা জীবন শুরু করো।

আমি আর নূরিন এই বিয়ে সম্মতি দেই।বিয়ে ধুমধাম ভাবে হয়।বাসর রাত এ আমার জন্য নূরিন বসে আছে।আমি বাসর ঘরে ঢুকলাম।খাটের উপর বসতে যাবো তখন বলে দাড়াও আমি বললাম কেন?
নূরিন তখন বলতেছে আমি দাড়াতে বলেছি দাড়াও আমি বললাম আচ্ছা।
তারপর নূরিন বলে ২৫ বার কান ধরে ওঠাবসা করো।আমি বললাম কেনো।নূরিন তখন বলে এত দিন যাবৎ আমাকে কষ্ট দিয়েছো সেই জন্য।

আমি বললাম আমাকে যে কষ্ট দিয়েছো তার বেলায় কি হবে।এই কথা বলার পর নূরিন কান্না করে আমাকে জড়িয়ে ধরে।

তারপর আমি নূরিনকে বলি চলো ছাদে আকাশে আজ আধার থেকে পূর্ণিমার চাঁদ উঠেছে।

তারপর ছাদের দোলনায় বসে আকাশের চাঁদ দেখতেছিলাম।আজ নূরিনকে পূর্নিমার আলোয় আরও অনেক সুন্দর লাগছে।নূরিন আমার কাধে মাথায় রেখে শুয়ে আছে।তখন নূরিন আমাকে বলে আচ্ছা তুমি কি আমাকে আগের মত ভালোবাসো এখনো। আমি বলি ভালোবাসার বিশালতা শেষ হয় না।ভালোবাসি খুব ভালোবাসি।

(হঠাৎ যদি আপনার হারিয়ে যাওয়া কাছের মানুষকে ফিরে পেয়ে যান তাহলে আপনার অনুভূতি কেমন হবে?জানাবেন প্লিজ,আপনাদের উত্তরের অপেক্ষায়…!!)

Related Posts