মঙ্গল গ্রহ থেকে আসা একটি বাচ্চার সত্য ঘটনা

পৃথিবী ছাড়া মঙ্গল গ্রহই একমাত্র গ্রহ যেখানে প্রানের অস্তিত্ব থাকা সম্ভব বলে বিজ্ঞানীরা মনে করেন। আজ অামার এ লেখায় আমি এমন একটি ছেলে সম্পর্কে আপনাদের কাছে বলবো যে দাবী করে যে, গত জন্মে সে মঙ্গলগ্রহের বাসিন্দা ছিলো। শুধু দাবীই নয়, তার স্বপক্ষে সে অনেক প্রমানও দেয়। যা শুনে মনে হয় সে বোধহয় সত্যিই গত জন্মে মঙ্গল গ্রহের বাসিন্দা ছিলো।

এ বিস্ময় ছেলেটির নাম ছিলো বোরিস্কা।  ১৯৯৬ সালের ১১ ই জানুয়ারী এ বিস্ময় ছেলেটি রাশিয়ায় জন্মগ্রহন করেন। বোরিস্কা নিজের কথা সবার কাছে সত্য প্রমান করানোর জন্য এমন কিছু তথ্য প্রমান একত্রিত করে যা দেখে সবাই অবাক হয়ে যায়। এবং অনেকেই তার কথায় বিশ্বাসও করে। কিছুদিনের মধ্যেই বোরিস্কার ঘটনাটি স্থানীয় একটি নিউজপেপারে ছাপা হয়।

বোরিস্কার মা ছিলেন একজন নার্স। তিনি একটি ইন্টারভিউতে বলেন যে, তিনি ছেটোবেলা থেকে বোরিস্কার মধ্যে অদ্ভূদ কিছু বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করেছিলেন যা বাকি শিশুদের থেকে তাকে আলাদা করে।

উদাহরনস্বরূপ, বোরিস্কা জন্মগ্রহন করার কয়েক মুহুর্তের মধ্যেই সে আলো ও বিভিন্ন জিনিসের প্রতি ফোকাস করতে সক্ষম ছিলো। এবং তার চোখ আলো ও অন্যান্য বিভিন্ন বিষয়ের পরিবর্তনের বিভিন্নতায় প্রতিক্রিয়াও করতো। বোরিস্কার বয়স যখন চার মাস তখন থেকেই বোরিস্কা ছোট ছোট শব্দ উচ্চারন করতে পারতো। বোরিস্কার বয়স যখন এক বছর হয় তখন সে নিউজপেপারের হেডলাইন পড়তে পারতো। যখন বোরিস্কার বয়স দু বছর হলো তথন কিন্ডারগার্টেনে নিজের থেকে প্রায় দ্বিগুন বয়সের শিশুদের সাথে পড়তে শুরু করে। এরপর মাত্র দু বছর বয়সে বোরিস্কা সুন্দর অাঁকতেও শিখে যায়। বোরিস্কার মা জানান কখনো কখনো হঠাৎ বোরিস্কা পদ্মাসনে বসে মেডিটেশন করতে শুরু করে। আবার কখনো কখনো সে প্লানেচারি সিস্টেম, মঙ্গল গ্রহের বিভিন্ন খুটিনাটি তথ্য ও অন্য বিভিন্ন গ্রহে খুঁজে পাওয়া সভ্যতা সম্পর্কে বিস্তৃতভাবে আলোচনা করতো।  স্বাভাবিকভাবেই বোরিস্কার মা বোরিস্কার এইসব কথা শুনে খুবই অবাক হতেন কারন এত ছোট বাচ্চার পক্ষে মার্স গ্রহের বিভিন্ন তথ্য ও অন্যান্য বিভিন্ন গ্রহের সভ্যতা সম্পর্কে কোন তথ্য জানা সম্ভবই নয়। মঙ্গল গ্রহে নিজের পূর্বজন্ম সম্পর্কে বোরিস্কা কিছু অদ্ভূত তথ্যও জানায়।

বোরিস্কা জানায় মঙ্গল গ্রহে পৃথিবীর মত জীবনের অস্তিত্ব ছিলো এবং মঙ্গল গ্রহে বসবাসকারী মানুষরা আলাদা আলাদা কলোনীতে থাকতেন যাদের মধ্যে অনেক বিধ্বংসী যুদ্ধ হয়। তাই সেখানকার পরিবেশ এখন বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। সে কারনে মঙ্গল গ্রহের অধিবাসীরা সেখানে আন্ডারগ্রাউন্ড শহর বানিয়ে থাকতে শুরু করে এবং এখনও পর্যন্ত মঙ্গল গ্রহের অধিবাসীরা আন্ডারগ্রাউন্ড শহরেই বসবাস করছে। যুক্তরাষ্ট্রের একজন বৈজ্ঞানিক ডঃ জন ব্রেন্ডন বার্বো নিজের এক থিওরিতে মঙ্গল গ্রহে নিওক্লিয়ার ওয়ার সম্পর্কে জানান। যার ফলে মঙ্গলগ্রহের আবহাওয়া সম্পূর্ণরূপে মানুষের বসবাসের অযোগ্য হয়ে ওঠে। তার এ থিওরি যদি সঠিক হয় তাহলে তা বোরিস্কার কথার স্বপক্ষে একটি বড় প্রমান।

বোরিস্কা জানান মার্সের অধিবাসীরা বেচে থাকার জন্য শরীরে কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস গ্রহন করে থাকে। সে এমনও জানায় সে যখন মঙ্গলগ্রহে ছিলো সে তখন বেশ কয়েকবার পৃথিবীতেও এসেছিলো। বোরিস্কা এও জানায় যে, এ বিশ্ব ভ্রমান্ডের অনেক গ্রহেই জীবনের অস্তিত্ব আছে এবং সেইসব গ্রহের জীবেরা সময়যাত্রা করতে বা অন্য গ্রহে যেতেও সক্ষম।  অন্য গ্রহে যাওয়ার জন্য তারা প্লাজমা পাওয়ার বা আয়রন পাওয়ারের মাধ্যমে চলা যন্ত্রের ব্যবহার করে। এই যন্ত্রগুলি খুব কম জ্বালানীর সাহায্যে খুব কম সময়ে অনেক দূর পর্যন্ত ভ্রমন করতে সক্ষম। অবাক করা কান্ড হলো এই যে নাসাও একটি প্রেস কনফারেন্সে জানিয়েছিলো যে মার্সে জলের একটি নদী পাওয়া গেছে। এবং যদি মঙ্গল গ্রহে জলের অস্তিত্ব থেকে থাকে তবে সেখানে প্রাণের অস্তিত্ব থাকাও খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। বোরিস্কাকে প্রশ্ন করা হলো যে, মঙ্গল গ্রহের কাছাকাছি পৌছালেই কেন পৃথিবী থেকে প্রেরিত স্পেস ক্রাফট নষ্ট হয়ে যায়? তখন বোরিস্কা জানায় মঙ্গল গ্রহের অধিবাসীরা একটি সিগনাল পাঠিয়ে থাকে যা অনবরত কোনো অজানা রেডিয়েশনকে খুজতে থাকে। তাই পৃথিবী থেকে প্রেরিত স্পেস ক্রাফট থেকে রেডিয়েশন বেরোলেই সেই স্পেস ক্রাফটিকে ধ্বংস করে দেয়া হয়।

বোরিস্কাকে এমনও প্রশ্ন করা হয় যে, মার্সের অধিবাসী হওয়ার সত্ত্বেও সে পৃথিবীতে কিভাবে জন্মালো? তখন বোরিস্কা জানায় যে, মার্সে কেউ কখনো মারা যায় না। শুধুমাত্র তাদের শরীর নষ্ট হয়ে যাওয়ার পরে তাদের প্রাণ পাথরের মধ্যে থেকে যায়। আর মঙ্গল গ্রহে সে সকল পাথরে মাঝে মাঝে বিস্ফোরণ হয়। যদি এমন পাথরের বিষ্ফোরন হয় যাতে আত্না আছে তবে তা বিশ্ব ভ্রমান্ডে ছড়িয়ে পড়ে। তারপর তা পৃথিবী বা অন্য কোনো গ্রহে মানুষ হিসেবে জন্মগ্রহন করে। বোরিস্কার জন্মও এইভাবে ঘটেছিলো।

সত্যিই কি বোরিস্কা মঙ্গল গ্রহের বাসিন্দা ছিলো? নাকি সবকিছুই তার কল্পনা?সত্যিই কি একটি শিশুর পক্ষে এত কিছু জানা সম্ভব?আপনি কি মনে করেন, সত্যিই কি বোরিস্কা মঙ্গল গ্রহের বাসিন্দা ছিলো?

ধন্যবাদ সকলকে।

Related Posts

9 Comments

মন্তব্য করুন