মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে ও উচ্চবিত্ত পরিবারের মেয়ে।।। রোমান্টিক গল্প।।

।।।।।।।।।।।।।।।।এটি আমার প্রথম গল্প।।।।।।।।।।।।।।।।।।
আশাকরি আপনাদের ভাল লাগবে। আমার নাম রাশেদুল ইসলাম (রাশেদ)। আমার বাবার নাম নাসির রহমান। আমার মায়ের নাম নাজমা বেগম।এবং আমার বড় ভাই, নাম সফিকুল ইসলাম। আমার বড় ভাই বিবাহিত। আমরা মধ্যবিত্ত পরিবার।আমি এবার ইন্টার ২nd ইয়ারে পড়ি। আমার আব্বু ঢাকায় দিন মজুরের কাজ করে। পরিচয় তো হয়ে গেল।
এবার মুল বিষয়ে যাওয়া যাক।

:–>আমি ঘরে বসে আছি হঠাৎ ফোনটা 📲 বেজে উঠলো। (ও আর একটা কথা আমার ফোন নাই।আমার বড় ভাইয়ের ফোন) :–> আর তখন আমি আর এক ঘরে ছিলাম।তাই আমি
আম্মুকে বললাম: আম্মু ফোনটা রিসিভ করো।
(ভাইয়া তখন ঘুমিয়ে ছিল) :–> আম্মু ফোনটা রিসিভ করো।
:–> করতেছি রে বাবা। (ততক্ষণে আমিও ঘরে আসলাম)
:–> আম্মু কে।
:–> তোর আব্বু।
:–> কি বলতেছে।
:–> দাড়া ভালো করে শুনতেদে।
:–> আরে বলনা কি বলতেছে।
:–> তোর আব্বুর থেকেই শুন।

:–> আসসালামুয়ালাইকুম আব্বু।
:–> অলাইকুম আসসালাম।বাবা তোমার তো কলেজ বন্ধ।
:–> হুম।
:–> তাহলে ঢাকা আসো। :–> আমি তো শুনে খুব খুশি।
তোমার তো জানোই এই করোনা কালে ঘরে বসে
থাকতে থাকতে একঘেয়েমি ধরে গেছে।
তাই বলে দিলাম যাব।। :–> ঠিক করলাম আগামীকাল সকালে যাব।

:–> পরের দিন সকালে খাওয়া দাওয়া করে তারা তারি
রেডি হয়ে গেলাম।আমি একাই যাব।
তাই সকাল সকাল যাত্রা শুরু করলাম। আমার বাসা
থেকে ঢাকা পৌঁছাতে রাত ১০ টা বাজে।
ও আপনাদের তো আমার বাড়ির ঠিকানাই দেইনি।
আমার বাসা লালমনির হাট জেলার ছোট একটি
গ্রামে।মা ভাইকে বিদায় জানিয়ে রহনা দিলাম ঢাকার
উদ্দেশ্যে।

:–> আমি ঠিক ৯:৪০ এ ঢাকায় এসে পৌঁছালাম।বাস
থেকে নেমেই দেখি আব্বু আমার জন্য দাড়িয়ে।

:–> আসসালামুয়ালাইকুম আব্বু।কেমন আছেন।
:–> অলাইকুম আসসাম। আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
তোমার আস্তে কোনো অসুবিধা হয়নিতো।
:–> না আব্বু আমার কোনো অসুবিধা হয়নি।

:–> তার পর আব্বুর কাছ থেকে ফোনটা নিয়ে বাড়িতে
ফোন দিলাম।
:–> আম্মু আমি পৌঁছে গেছি।ভাইয়া কোথায়?
:–> নে তোর ভাইয়ের সাথে কথা বল।
:–> হ্যালো ভাইয়া আমি পৌঁছে গেছি।
:–> হুম ভালো করে চলা ফেরা করিশ।
দেশের যা অবস্থা।
:–> ok ভাইয়া।এখন বাই।

ফোন কেটে দিলাম।তার পর বাসায় চলে আসলাম।

:–> আব্বু একটা গলিতে একটা ছোট বাসা ভাড়া নিয়ে
থাকে।
আমি বাসায় এসে ফ্রেস হয়ে খাওয়া দাওয়া করে তারা
তারি ঘুমিয়ে পড়লাম।কারণ সকালে ঘুরতে যাওয়া
লাগবেনা।
একটাই বেড আব্বু আর আমি ঘুমিয়ে পড়লাম।
সকালে উঠে ফ্রেস হয়ে ভাবতে লাগলাম কোথায়
কোথায় যাব।

(আমি ছোট থাকতে একবার ঢাকায় এসেছিলাম।
আর সেবার আমি হারিয়ে যেতে বসেছিলাম।
থাক ওসব আজ বলবনা।এটা সত্য ঘটনা অন্য কোন গল্পে এ সম্পর্কে বলব।)

:–> আমি ভাবলাম আজ আমি প্রথমে চিরাখানায় যাব।

:–> বাবা রেডি হয়ে নাউ আজ একজনের বাসায় যাব।
:–> কি ? নাই হয়ে গেল আমার ঘুরার বারটা বেজে গেল।
ধেত ভাল লাগে না।
আব্বু চলনা বাইরে কোথাও ঘুরতে যাই।
:–> আজ না আজ একটু কাজ আছে।
:–> তাহলে তুমি যাও আমি বাসায় থাকি।
:–> না আমার সাথে চল।

কি আর করার চল।

:–> তারপর একজনের বাসায় গেলাম।
বাসাটি তিন তালা। বাসায় ঢুকলাম। বাসায় ঢুকে দেখি
একজন ভিতরে বসে, ভাবলাম এনি মনেয় বাড়ির
মালিক।
:–> তাই আসসালামুয়ালাইকুম আংকেল বললাম।
:–> অলাইকুম আসসালাম।দায়রিয়ে আছো কেন বসো।

(আব্বু এতি মধ্যে বসেছিল কারণ আব্বুর এখানে মাঝে মাঝে যাওয়া আশা ছিল মনে আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম)

:–> বসে পড়লাম।
:–> তোমার নাম কী?
:–> মোঃ রাশেদুল ইসলাম (রাশেদ)।
:–> কোন ক্লাসে পড়?
:–> আংকেল এবার ইন্টার 2nd ইয়ার।

(ও আপনাদের তো বলাই হয়নি এই আংকেল কে।একটু পর জানতে পারলাম এই আংকেল হলেন আমার আব্বুর কন্ট্রাকটার অর্থাৎ আব্বু যার আন্ডারে কাজ করে।)

:–> ও তাই ! আমার মেয়েও ইন্টার 2nd ইয়ারে।মা
মিম এদিকে একটু আসোতো।

:–> মিম: হুম বল।
:–> দেখ কে এসেছে?
:–> আসসালামুয়ালাইকুম আংকেল কেমন আছেন।
:–> অলাইকুম আসসালাম। আলহামদুলিল্লাহ ভালো।
তুমি কেমন আছো?
:–> আমিও ভালো আছি।আব্বু ও কে?
:–> ও তোমার আংকেল এর ছেলে।
আচ্ছা তুমি ওকে আমাদের বাসা ঘুরি দেখাও
আমরা একটু কথা বলব।
:–> আচ্ছ আব্বু।আসুন।

:–> [ তার পর তিনি মানে আংকেল এর মেয়ে আমাকে
তাদের পুরো বাসা ঘুরিয়ে দেখালেন।
তারপর ছাদে নিয়ে গেলেন আমাকে কি যেন
দেখাবেন। তো গেলাম।সেখানে আমাকে তিনি ওনার
নিজের তৈরি একটা বাগান দেখালেন। ]

:–> এটি আমার বাগান আমি নিজে তৈরি করেছি।
:–> অনেক সুন্দর হয়েছে।
:–> তো আপনার নাম ?
:–> আমার নাম রাশেদুল ইসলাম (রাশেদ)।
আপনার নাম মিম।
:–> হুম বাট এটা আমার নিকনেম। আমার পুরো নেম
লামিয়া আক্তার মিম।আচ্ছা আপনি ফোন ইউজ করেন

:–> কেন?
:–> না এমনি।
:–> আমি ফোন ইউজ করি না।
বাসায় থাকতে বড় ভাইয়ের ফোন ইউজ করতাম।তাই
ফোন নেই নি। তাছাড়া আমাদের পারিবারিক অবস্থাও
ভালো না তাই ফোন নেই নি।
:–> ওমমম…… আপনি কি করেন?
:–> আমি কিছু করি না। ইন্টার 2nd ইয়ারে আছি।আর
আপনিও বোধহয় ইন্টার 2nd ইয়ারে।আপনার বাবার
কাছ থেকে শুনলাম।
:–> হুম।

:–> রাশেদ আসো যেতে হবে।
:–> যাচ্ছি আব্বু….. ! বাই
:–> বাই।

(ওনার সাথে কথা বলে জানতে পারলাম তাদের বাসায় তারা তিনজন সদস্য।তার বাবা মা আর সে।আর তারা ১ম তালা এবং ২য় তালা ইউজ করে।৩য় তালা ফাঁকা থাকে।)

:–> তারপর সেখান থেকে বেরিয়ে বাসা গেলাম।
বাসা যাওয়ার সময় আব্বুর সাথে আজ তো ঘোরা হল
না তাই আগামীকাল কোথায় কোথায় যাব তার একটা
প্লান করলাম।

:–> বাসায় এসে ফ্রেস হয়ে একটু আসে পাশে ঘুরা ঘুরি
করে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।

:–> পরের দিন সকালে উঠে দেখি আব্বু ব্যাগ
গোছাইতেছে।

:–> আব্বু কি করছ আজ না আমাদের ঘুরতে যাওয়ার
কথা।ব্যাগ গোছাও জানতে পারবে কোথায় যাচ্ছি।
আমি আর কিছু বললাম না। শুধু মন খারাপ
হলো।

:–> তারপর আমার গাড়ি করে একটা বাড়ির সামনে এসে
নামলাম।

:–> এটা তো কালকের আংকেল এর বাসা।আজ আবার
এখানে কেন।
:–> আগে ভিতরে চল তারপর বলতেছি।

:–> ভিতরে প্রবেশ করার পর জানতে পারলাম তাদের
বাসার ৩য় তালা
আব্বুকে ভাড়া দিয়েছে।
মনে মনে ভাবলাম যাক ভালোই হয়েছে।এই চিপা গলি
থেকে তো বাঁচলাম।
:–> তারপর রোজ মিম এর সাথে দেখা হয় কথা হয়।
কখন যে তাকে ভালো লাগা শুরু হলো আমি
নিজেও বলতে পারতেছি না।

:–> একদিন মিম হঠাৎ এসে বলতেছে।
:–> চলো তো মার্কেট যাই।
:–> আমি…মানে আমাকে যেতে হবে।
:–> হুম।
:–> ok চলো।

(এতো দিন এক সাথে থাকতে থাকতে এখন আমাদের মধ্যে তুমি করেই কথা হয়।)

:–> আমরা প্রথমে মোবাইল শপে ডুকলাম।
সে আমাকে বলতেছে
:–> দেখতো কোন ফোনটা ভালো।
:–> আমার ফোন সম্পর্কে কোনো ধারণা নাই।
আচ্ছা তোমার তো ফোন আছে তাহলে তুমি কার জন্য
ফোঊ কিনতেছো?
:–> আমার boyfriend এর জন্য।

:–> তাকে একটু তোতলায় বললাম
:–> তোমার বয়ফ্রেন্ড আছে?
:–> হুম।ও তোমাকে তো জানানোই হয়নি।আসলে আমরা
বয়ফ্রেন্ড আছে।তাকে আমি অনেক দিন থেকে
ভালোবাসি।ধরো তোমার ঢাকা আশার কয় এক সপ্তাহ
আগথেকেই তাকে ভালোবাসি।

:–> কথাটা শুনার পর আমরা ভিতরে কেমন যেন করতে
শুরু করলো। নিজেকে সামলাতে পারলাম না ভিতরে
ভিতরে কেঁদে উঠলাম কিন্তু বুঝতে দেইনি।
এতো দিনে তার প্রতি আমার ভালো লাগা শুরু
হয়েছিল।

:–> তার পর সে তার বয়ফ্রেন্ড এর জন্য একটা পাঞ্জাবি
আর একটা জিন্স 👖 কিনলো।
কেনাকাটা করে বাসায় ফিরলাম।

:–> আমি ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়লাম।আর তখন অনেক কন্না
পেয়েছিল নিজকে কোনো ভাবে একটু কন্টল করলাম।
আর ভাবতে
লাগলাম আমি মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে আর মিম
উচ্চবিত্ত পরিবারের সে তো আমাকে কখনোই ভালো
বাসবে না।এসব ভাবতে লাগলাম আর ভাবতে ভাবতে
ঘুমিয়ে পড়লাম।
:–> সকালে উঠে মনটা হালকা করার জন্য একটু ছাদে
গেলাম।ছাদে গিয়ে দেখি মিম আগে থেকে সেখানে বসে
আছে।
আমি নিজেকে একটু কন্টল করে তাকে গিয়ে বললাম।
:–> তোমার বয়ফ্রেন্ডকে গিফট দিছো।
:–> না এখনো দেয়ই নি।
:–> কেন?
:–> কারণ সে আমার সাথে এখন দেখা করতে আসলো।
:–> মানে কোথায়।তাকে ডাকো।

:–> মিম আমার হাতে গিফট গুলো দিয়ে বললো।
:–> I Love You আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচতে পারব না।
:–> মানে?
:–> মানে, তুমি কি করে ভাবলে আমি অন্য কাউকে
ভালোবাসব।

:–> I LOVE YOU.আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি।

:–> পরে আমি বললাম।
আমি মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে আর তুমি উচ্চবিত্ত
পরিবারের মেয়ে তোমার বাবা মা কি মেনে নেবে।

:–> তারপর দেখি তার বাবা মা আমার আব্বু একসাথে
আসতেছে।
:–> আমি তো কিছুই বুঝতে পারতেছিনা।

:–> তার বাবা মানে আংকেল বললো তোমাকে আমার
মেয়ে তোমার ফটো দেখে পছন্দ করেছিল।

:–> তোমাকে এখানে মানে ঢাকায় আনা থেকে শুরু করে
আমাদের বাসায় আনার সব প্লান আমার মেয়ের ছিল।

:–> আমি কেঁদে বললাম তুমি আমাকে আগে বলো নাই
কেনো।
:–> জানো আমি কাল কতোটা কষ্ট পেয়েছি।

:–> Sorry Sorry Sorry
:–> It’s ok. I Love You

।।।।।।।।।।।।।।।।আর এখানেই গল্পের সমাপ্তি।।।।।।।।।।।।।

লেখকের নাম:—> মোঃ শামিম ইসলাম

(বি:দ্র: আমার এটি প্রথম লেখা লাভ স্টোরি। এখানে আপনি হয় তো কোনো কথার সাথে কোন কথার মিল নাও থাকতে পারে।
যদি কোথাও ভুল হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমা করে দিবেন।আর ভুলগুলো একটু সুদরিয়ে পড়বেন। আমি চেষ্টা করবো কথাও যেন ভুল না থাকে)

গল্পটি কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না।
আমি শিগ্রই আরো সুন্দর গল্প
আপনাদের পেশ
করবো।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।সবাইকে ধন্যবাদ।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।

Related Posts