মহাবিশ্বের অজানা কিছু রহস্য! যা আজও অমীমাংসিত

এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড রহস্য দিয়ে ঘেরা। যখনই আপনি রাতের আকাশে দেখবেন তখনই আপনি অসংখ্য তারাকে দেখতে পান। আর ওই সময় আপনি এমন একটি দুনিয়াতে চলেযান যেখানে আমাদের এই পৃথিবী কিছুই না। আর মানুষ খুবই ছোট্ট একটি প্রাণী, মানুষ এই ইউনিভার্সের ওই রহস্যকে জানার চেষ্টা করছে যা তাঁর জ্ঞানেরও বাইরে। আমরা মানুষ যতই অ্যাডভান্স হয়না কেন এখনো আমাদের ইউনিভার্সে এমন সব রহস্য রয়ে গেছে যার খোঁজ হলে আমাদের জন্য এই ইউনিভার্সকে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি সম্পূর্ণ পাল্টে যাবে। আজকে আমরা এমন কিছু রহস্য সম্পর্কে জানবো যা আপনাকে ভীষণ অবাক করবে।

যখনই আমরা আমাদের এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সম্পর্কে ভাবি তখনই আমাদের মাথায় একটি প্রশ্ন আসে, আর সেটা হলো আমাদের এই ইউনিভার্সের বাইরে কি আছে? আমরা কি ইউনিভার্সের বাইরে এমনই অবাক করা কোনো কিছুকি দেখতে পারবো যার সম্পর্কে আজ পর্যন্ত আমরা কল্পনাও করতে পারিনি? নাকি এটাই ইউনিভার্সের শেষ যার বাইরে আর কোন কিছুই নেই! অনেকেই মাল্টিভার্স থিউরিকে বিশ্বাস করেন। তারা মনে করেন আমাদের ইউনিভার্সের মত আরো অনেক ইউনিভার্স আছে, আর হয়তো ঐ সমস্ত ইউনিভার্সের পদার্থবিজ্ঞানের সূত্র এবং অন্যান্য কিছু আমাদের এই ইউনিভার্সের মত নয়। কিছু কিছু এমনও আছে যেখানে মনে করা হয় আমাদের এই ইউনিভার্সে থাকা প্রতিটি ব্ল্যাক হোলের ভিতরে আরো একটি করে ইউনিভার্স মজুদ আছে।

করদেশেভ স্কেলে টাইপ ফাইভ সিভিলাইজেশন ওটাকেই বলা হয়েছে যেটা শুধুমাত্র আমাদের এই ইউনিভার্সে নয় বরং মাল্টিভার্সে মজুদ প্রতিটি ইউনিভার্সের সম্পর্কে জ্ঞান রাখবে এবং রাজত্ব করবে। অনেকে আবার এমনও মনে করেন যে আমাদের ইউনিভার্স একটি বাবলের মতো। যখনই আপনি এর বাইরে যাবেন তখন আপনি এরকম হাজারো লাখো বাবলস দেখতে পাবেন। এখন আমাদের এই ইউনিভার্স কোনো বাবল নাকি অ্যাডভান্স সিভিলাইজেশন দ্বারা তৈরি করা কোনো কম্পিউটার প্রোগ্রাম! এটাতো আমরা তখনই জানতে পারবো যখন আমরা ইউনিভার্সের বাইরে দেখার অথবা তার সম্পর্কে জানার দক্ষতাকে অর্জন করতে পারবো। যখনই আমরা মহাবিশ্বের রহস্যের কথা বলি তখনই আমাদের মাথায় আসে ব্ল্যাকহোলের কথা। এখনো পর্যন্ত আমরা শুধুমাত্র এই ব্ল্যাকহোলের একটিমাত্র ছবি নিতেই সক্ষম হয়েছি।

আমরা সাই-ফাই মুভিতে ব্ল্যাকহোলের সম্পর্কে অনেক কিছুই দেখেছি এবং শুনেছি, যেখানে ব্ল্যাকহোলের ভয়ঙ্কর এবং বিধ্বংসী দেখানো হয়েছে। যার ভেতরে গিয়ে যেকোনো বস্তুই টুকরো টুকরো হয়ে যায় আর সারা জীবনের জন্য হারিয়ে যায়। ব্ল্যাকহোল স্পেসের ওইসব স্থানকে বলা হয় যেখানকার ফোর্স অফ গ্রাবিটি মাত্রা অতিরিক্ত হয়ে থাকে। আর ওই স্থান থেকে আলো পর্যন্ত ফিরে আসতে পারে না। আর এ কারণেই আমরা ব্ল্যাকহোলকে দেখতে পারিনা। ব্ল্যাকহোল একটি বিন্দু থেকে শুরু করে আমাদের সূর্যের থেকেও বিলিয়নগুণ অধিক বড় হতে পারে। আর বিজ্ঞানীদের একটি ধারণা শুধুমাত্র আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতেই ১০ কোটির থেকেও অধিক ব্ল্যাকহোল হতে পারে এবং আমাদের মিল্কিওয়ের কেন্দ্রে মজুদ আছে একটি সুপার্ম্যাসিভ ব্লাক হোল।

এটা কেউ বলতে পারবেনা ব্ল্যাক হোলের ভিতরে যাওয়া বস্তুর আসলে কি হয়। অনেকেই বলে থাকেন ব্ল্যাক হোলের ভিতরে যাওয়া যেকোন বস্তু লম্বা হতে হতে একসময় ভ্যানিস হয়ে যায়, আবার অনেকের ধারণা ব্ল্যাক হোল একটি অবজেক্ট যার ভেতরে গিয়ে আমরা অন্য কোন ইউনিভার্সে চলে যেতে পারবো, কিন্তু এখনও পর্যন্ত এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ব্ল্যাকহোল সম্পর্কে একটি রহস্য এটাও আছে যে এই সমস্ত ব্ল্যাকহোল এত বড় কি করে হতে পারে? যেমন আমি কিছুক্ষণ আগেই বললাম আমাদের সূর্য থেকেও বিলিয়নগুণ অধিক বড় ব্ল্যাকহোল হতে পারে এবং এদের ডেনসিটি অনেকটাই বেশি হবে। এর মানে ব্ল্যাকহোলের একটি স্থানে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন জিনিস জমা হয়ে থাকে, যতই সে আশেপাশের সব অবজেক্টকে খেতে শুরু করে সে ততই আরও অধিক বিশাল হতে থাকে। আর এ কারণেই এর ফোর্স অফ এটাকশনও আরো দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পেতে থাকে।

বিজ্ঞানীরা এখনো এটাকে সঠিকভাবে অধ্যায়ন করতে পারেননি। যদি আমাদের এই ইউনিভার্সের বয়স ১৩.৮ বিলিয়ন বছর হয়ে থাকে তাহলে এই সমস্ত সুপার্ম্যাসিভ ব্লাক হোল এত বড় আর এতো শক্তিশালী এতটা কম সময়ের মধ্যে কি করে হতে পারলো, এটা একটি ইউনিভার্সের বড় রহস্য। এখন যখন আমরা রহস্য নিয়েই কথা বলছি তো আমরা আমাদের পৃথিবীর কথাই বলি বা ইউনিভার্সের যেখানকার কথায় হোক এখানে এলিয়েনতো অবশ্যই আসবে। এখন এলিয়েন আছে কি নেই এটা নিয়ে বিভিন্ন রকমের মত হতে পারে। যেমন ড্রেক ইকোয়েশন, এই ইউনিভার্সে কোটি কোটি এলিয়েন সিভিলাইজেশন হবার কথা বলে। কিন্তু অপরদিকে ফারমি প্যারাডক্স এর উপর প্রশ্ন চিহ্ন দাঁড় করিয়ে দেয়, যদি সত্যিই এলিয়েন হয় তো আজ পর্যন্ত আমরা কেনো এলেন সিভিলাইজেশন এর সাথে যোগাযোগ করতে পারিনি।

হতে পারে আমরা এই ইউনিভার্সের একমাত্র সিভিলাইজেশন। এছাড়াও আপনি কি জু হাইপোথেসিসের সম্পর্কে শুনেছেন? এর অনুসারে এলিয়েন আমাদের সাথে ঠিক ওই রকমই ব্যবহার করছে যেমন ব্যবহার আমরা করছি চিড়িয়াখানায় অন্য সব প্রাণীদের আটকে রেখে। ওরাও আমাদের দুর থেকেও অবজার্ভ করছে আর আমরা তাদের সাথে তখনই যোগাযোগ করতে পারবো যখন আমরা তাদের সমান যোগ্যতা অর্জন করতে পারবো। এর মানে যখন আমাদের টেকনোলজি এতটা অ্যাডভান্স হয়ে যাবে যে আমরা তাদের কাছে যেতে পারবো। তো আমরা এলিয়েনের সাথে অবশ্যই দেখা করতে পারি। ঠিক এমনই ভাবে প্রাচীন বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে এলিয়েনের কথা বলা হয়েছে। প্রাচীন সময়ে এলিয়েন এই পৃথিবীতে আসতো এবং তাদের দেওয়া জ্ঞান থেকেই মানুষ মানবতার শিক্ষা পেয়েছে, সেই সাথে মানুষের বুদ্ধির বিকাশ হয়েছে! আপনার কী মনে হয় সত্যিই কি এমনটা হয়েছিল? আমার তা জানা নেই।

Related Posts

9 Comments

  1. আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু
    আপনার একটা সাসক্রাইব আর একটা লাইক আমার জন্য অনুপ্রেরণা
    Please support me🙂

    Youtube Channel: https://www.youtube.com/channel/UCcrbrQxUzsavUjfXMgrsM6Q

    Facebook page: https://www.facebook.com/107324621876693/posts/107963605146128/?app=fbl

মন্তব্য করুন