মাদকাসক্তির কুফল ও তার প্রতিকার

আসসালামুয়ালাইকুম বন্ধুরা। সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চাই, মাদকদ্রব্যের কুফল ও তার প্রতিকার ।যে দ্রব্য সেবনে বা গ্রহণে মানুষ কিছু সময়ের জন্য বিশেষ প্রতিক্রিয়া অনুভব করে, দৈহিক এবং মানসিক ভাবে নেশায় আচ্ছন্ন হয় তাকে মাদকদ্রব্য বলে। আর দৈহিক ও মানসিক উত্তেজক আনন্দানুভূতির এই অস্বাভাবিক অবস্থায় মাদকাসক্তি। বিভিন্ন আকার ও অবয়বে মাদক দ্রব্য পাওয়া যায়। অবয়ব ক্ষমতা ও মূল্যমানের ভিন্নতার ওপর নির্ভর করে মাদকদ্রব্য বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। প্রাচীনকালের মাদকদ্রব্যের ভেতর রয়েছে মদ, গাজা, আফিম ইত্যাদি। গবেষণালব্ধ অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে বহুবিধ কারণে মানুষ মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। যেমন সহজ আনন্দ লাভের বাসনা, মাদকের কুফল সম্পর্কে অজ্ঞতা, বন্ধুবান্ধব ও সঙ্গী সাথীদের প্রভাব। তাছাড়া কৌতূহল মেটাতে ও তারা জড়িয়ে পড়ছে। মাদক সমস্যা মানুষের সৃষ্ট সামাজিক ,অর্থনৈতিক ও সামাজিক সমস্যা। মানবসম্পদ উন্নয়নে এ সমস্যা এক বিরাট বাধা। মাদকের অপব্যবহার ব্যক্তি তো বটেই পুরো পরিবার সমাজ এবং রাষ্ট্রের নানাভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়। মাদকের নিষ্ঠুর  ছোবলে ঝরে যাচ্ছে বহু তাজা প্রাণ, অচেতন করে তুলছে, অবক্ষয় ঘটাচ্ছে মূল্যবোধের। ফলে সুস্থ সামাজিক বিন্যাস, সুন্দর পরিবেশ ও জাতীয় স্থিতিশীলতা এক বিরাট হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। রুদ্ধ হয়ে পড়ছে সামাজিক চিন্তার স্রোত। নতুন কিছু আবিষ্কারের সম্ভাবনা তিরোহিত হচ্ছে। মানবিক মূল্যবোধের ও সামাজিক সম্পর্কের দারুন অবনতি ঘটছে। মাদকদ্রব্যের ব্যবহার তাই গোটা বিশ্বকে নিয়ে যাচ্ছে ধ্বংসের দিকে এবং মৃত্যুর দিকে। বিশ্বজুড়ে মাদকাসক্তি একটি জটিল সামাজিক সমস্যা হিসেবে প্রতিভাত হওয়ায় এ সমস্যা সমাধানে স্থানীয় জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সরকারী ও বেসরকারী উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হচ্ছে। দেশে-বিদেশে চলছে বিভিন্ন গবেষণা ও প্রতিরোধমূলক কর্মসূচি প্রণয়ন। বিশ্বের প্রতিটি শাস্ত্র , বিষয় ওধর্মে মাদককে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং এর প্রতিকার এ বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন দর্শন সমাজতত্ত্ব সাহিত্য প্রতিটি বিষয়ে তাদের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গীতে এসব নেশার নিষেধমূলক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত হয়েছে। তাই এসব অনুশাসন মেনে সুশৃঙ্খখল জীবনযাপন পারে মাদকমুক্ত সমাজ বিনির্মাণ করতে। এজন্য অবৈধ মাদক পাচার ও মাদকাসক্তি একটি ভয়াবহ সমস্যা সে সম্পর্কে সর্বস্তরের জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং এ সমস্যার সমাধানে সম্মিলিত সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে জনগণকে উৎসাহিত করা ‌। এজন্য প্রয়োজন হবে ব্যাপার সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে মানুষের মাঝে নৈতিক মূল্যবোধ ও দেশপ্রেম জাগিয়ে তোলা। এই অবস্থা থেকে যুবসমাজকে রক্ষা করতে হবে। কঠোর হস্তে বন্ধ করতে হবে মাদকাসক্তির তথা মাদকদ্রব্যের চোরাচালান। মাদকাসক্তির ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সবাইকে সম্যকভাবে অভিহিত করে এর বিরুদ্ধে সমাজের সর্বস্তরের জনগণের সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। ধন্যবাদ সবাইকে।

 

 

 

Related Posts

6 Comments

মন্তব্য করুন