মানসিক প্রশান্তি ! পর্ব-২ , ভোগে সুখ নয়, ত্যাগেই সুখ !

গত পর্বে আমার ছোট মাথার ছোট কিছু ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে তুলে ধরেছি আমার মত করে , আজকেও কিছু আলোচনা করবো , তার আগে গত পর্বের কিছু ভুলের কারনে আমি সকলের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি ।  ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি এই কারনে যে, আমি আমার ভুলগুলো বুঝতে পেরে ওনেকটা মানসিক চাপে ছিলাম নিজেকেই নিজে কষ্ট দেওয়ার মত একটা পরিস্থিতিতে পরে গেছি । মনে মনে এটাই ভাবছিলাম যে কখন কে কি কথা বলে বসে । কিন্তু এখন সকলের কাছে ক্ষমা চাওয়াতে এখন আর এমন কোন ভাবনা আসছে না যে কেও খারাপ মন্তব্য করবে । এটাও মানসিক চাপ থেকে বাচার একটা চেষ্টা ।

আসলে মানুষের মনে যখন অনেক দুশ্চিন্তা থাকে তখনি সেই ব্যাক্তি মানসিক প্রশান্তি পায় না । মোট কথা যে ব্যাক্তি নিজের মনের মাঝে অনেক কিছু লুকিয়া রাখে তিনিই মানসিক প্রশান্তি থেকে বঞ্চিত থাকে । আপনি একজনের সাথে খারাপ আচরণ করেছেন কিন্তু পরে বুঝতে পারলেন এটা আপনারই ভুল । তখন যদি আপনি সাথে সাথে সেই ব্যাক্তির কাছে আপনার ভুলের কথা স্বীকার করেন তাহলে দেখবেন আপনি নিজেকে অনেক হালকা অনুভুব করবেন । কিন্তু যদি তা না করেন তাহলে নিজের কাছে অস্বস্থি একটা ভাব চলে আসবে হয় সেটা অন্য কেও না জানুক  আপনি কিন্তু বারতি একটা মানসিক চাপের মধ্যে থাকবেন ।

আসলে যে ব্যাক্তি যত বেশি পরিস্কার মনের মানুষ সেই ব্যাক্তি তত বেশি মানুসিক ভাবে প্রফুল্ল । তাহলে বলা চলে আপনি নিজের কাছে যত গোপন কথা বা কাজের বিষয় গোপন করে রাখবেন ততই আপনি মানসিক চাপে থাকবেন । এতে করে আপনার মানসিক প্রশান্তি মিলবে না কখনোই  যতদিন পর্যন্ত না আপনি সেই গোপন পরিস্কার না করবেন ।

সবথেকে বেশি মানসিক প্রশান্তি মিলে অন্যের উপকারে নিজেকে বিলিয়ে দিতে পারলে এটা আমার কথা না, এটা আপনার নিজের কথা আপনি নিজেই পরিক্ষা করে দেখতে পারেন । কাউকে কোন কাজে সাহায্য করে দেখুন আপনার মনে অন্যরকম একটা প্রতিকৃয়া সৃষ্টি হবে । মাথা উচু করে বাচার একটা ভাব চলে আসবে আপনার মনে  । আর যদি অন্য কারো কোন ক্ষতি করেন সেটা কেও না জানলেও নিজের কাছেই নিজেকে অপরাধী মনে হবে ও সেই চিন্তা অর্থাৎ বারতি একটা দুশ্চিন্তা আপনাকে সব সময় ভাবনায় রাখবে । এতে করে আপনি মানসিক রোগিতে পরিনত হতে থাকবেন । কাজে মন বসবে না, খাওয়া ভালো লাগবে না শুধু সেই যে আপনি অন্যের ক্ষতি করলেন সেই চিন্তাই আপনার মাথায় ঘুর ঘুর করতে থাকবে ।

মানুষের মনে সুচিন্তা বেশিক্ষন থাকে না দুশ্চিন্তা থাকে বেশিক্ষন । তাই আমি বলবো আপনি না করেন,  কিন্তু চেষ্টা করবেন সবসময় সরল ভাবে সকল কাজ করার জন্য অর্থাৎ কোন কাজে প্যাচ লাগিয়ে রাখবেন না । কারো সাথে ঝগড়া লাগলে তাঁর সাথেই বসে সেটার একটা সমাধান বের করে ফেলার চেষ্টা করবেন । যদি সম্ভব হয় তাহলে নিজের কিছু ক্ষতি করে হলেও সেটার সমাধান যত তারাতারি সম্ভব মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করবেন । এতে করে আপনার মাথা থেকে বাড়তি বোঝা/ টেনশনটা সরিয়ে ফেলতে পারবেন ।

মানুষ বেশি দুশ্চিন্তা করে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা, অর্থ/সম্পদ, বিজয়ি হওয়া ও মান সম্মান নিয়ে এসব পেতে অনেকে অসৎ পথ অবলম্বন করে । কিন্তু একবারও চিন্তা করে না যে একটু সুখে থাকার জন্য আমি যে অসৎ পথ অবলম্বন করে এসব নিজের  করতে চাচ্ছি তাতে কি প্রকৃত পক্ষেই আমি সুখ পাচ্ছি । আসলে প্রকৃতি সুখ ভোগে থাকে না প্রকৃত সুখ ত্যাগেই লুকিয়ে আছে । চিন্তা যুক্ত মনে এসির বাতাসে ঘুমিয়েও সুখ পাওয়া যায় না, চিন্তা মুক্ত মনে গাছ তলায় ঘুমিয়েও রাজ্যের সুখ অনুভব করা যায় ।

আজকে এই পর্যন্তই , ভুলভ্রান্তি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন । ভালো লাগা মন্দ লাগা কমেন্ট করে জানাবেন । প্রথম পর্বের আলোচনা পড়তে এই লিংকে ক্লিক করুন https://grathor.com/%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a6%95-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%b6%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%bf-%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ac-%e0%a7%a7/

Related Posts

5 Comments

মন্তব্য করুন