মার্কেট ও দোকানে শীতের গরম কাপড় কেনাবেঁচার ধুম পরেছে

বাংলাদেশে নভেম্বর ও ডিসেম্বর এই দুই মাস শীত থাকে। এই সময় শীত বস্ত্রের চাহিদা থাকে অত্যধিক। শীতে বিভিন্ন ধরণের শীত বস্ত্র কিনতে যাওয়া যায় এবং এই সময় কেনাকাটা অনেক বেশী হয়। ফুটপাত থেকে শুরু করে ছোট-বড় শপিং মল ও দোকানে ক্রেতার উপচে পড়া ভীড় দেখতে পাওয়া যায়।

শীত বস্ত্রের চাহিদা বেশী থাকায় বিক্রেতারা বিভিন্ন পাইকারী বাজার থেকে পণ্য কিনে গ্রাম-অঞ্চলেও বিক্রয় করে থাকে। শহরের ফুটপাত ও মার্কেটে বিভিন্ন ধরণের শীতের কাপড় পাওয়া যায়। শীত বস্ত্রের ভেতর আছে সোয়েটার, কার্ডিগান, জ্যাকেট, হুডি, শাল, ব্লেজার, কানটুপি ও হাতমোজা পাওয়া যায়। ফুটপাত ও মার্কেটে বিভিন্ন ধরণের সোয়েটার পাওয়া যায় এবং সোয়েটারগুলো রঙ্গিন এবং গোঁয়ে দিয়েও অনেক গরম। এইজন্য এই সোয়েটারগুলো ক্রেতার নিকট খুবই চাহিদা আছে এবং বিক্রেতারা এই সোয়েটার বিক্রয় করে লাভবান হয়ে থাকেন।

শীতে জ্যাকেটের চাহিদাও অত্যধিক। মার্কেট ও দোকনে বিভিন্ন প্রকার জ্যাকেট পাওয়া যায় এবং ক্রেতারা রঙিন ও স্টাইলিস্ট জ্যাকেট কিনে তাদের চাহিদা পূরণ করে থাকে। মার্কেট ও শপিংমলে ক্রেতারা বিভিন্ন ব্রান্ডের শীতবস্ত্র পাওয়া যায় এবং এই শীত বস্ত্রগুলোর চাহিদা অভিজাত্য এলাকাতে বেশী দেখা যায়। এই ব্রান্ডের জ্যাকেটগুলো চওড়া দামে পাইকারীভাবে আমদানী করে আভিজাত্য এলাকাতে বিক্রয় করা হয়ে থাকে। রাজধানীর নিউমার্কেটে বাচ্চাদের গরম কাপড় কিনতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় দেখা দিয়েছে। আবার অনেকেই আগাম শীতের বস্ত্র কিনেছেন এবং জিতেছেন।

কলাবাগানের বাসিন্দা আবুল হোসেন জানান শীত চলে এলেও শীত পড়তে অনেক সময় লেগেছে এবং তিনি ৬০০ টাকা দিয়ে নিউমার্কেট থেকে দুইটি শীতের গেঞ্জি কিনেছেন। আবুল হোসেন জানান, শীত ভালোভাবে পড়লে এই শীতের বস্ত্রই হাজার টাকাই বিক্রয় করা হবে। এছাড়াও রাজধানীর এলিফ্যান্ডরোড ও বায়তুল মোকারম মার্কেটে গরম কাপড় কিনতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় দেখতে পাওয়া যায়। মহিলাদের শালের চাহিদাও অনেক বেশী এই মার্কেটে এবং তারা বিভিন্ন ধরণের শাল ক্রয় করে ক্রেতার চাহিদা পূরণ করে থাকে। রাজধানী ছাড়াও সারাদেশের গ্রাম-অঞ্চলে পাইকারীভাবে শীতের গরম কাপড় বিক্রয়ের জন্য বিক্রেতারা তাদের দোকনের জন্য ক্রয় করে থাকে। জেলা ও গ্রাম-অঞ্চলে শীতের কাপড় ক্রয়ে ক্রেতারা বেশ মৃতব্যয়ী এবং তারা তাদের পছন্দমত শীতবস্ত্র ফুটপাত কিনবা দোকান থেকে ক্রয় করে থাকে।

এই সকল শীতবস্ত্রের চাহিদা ক্রেতার কাছে অত্যাধিক যার কারণে শীতে গ্রাম-অঞ্চলেও শীত বস্ত্রের বেশ চাহিদা দেখতে পাওয়া যায়। শীতে বিক্রেতারা শীত বস্ত্র বিক্রয় করে অত্যধিক লাভবান হয়ে থাকেন এবং ক্রেতারাও তাদের পছন্দমত শীত বস্ত্র হাতে পেয়ে অত্যন্ত খুশী মনে শীতকে উপভোগ করেন।

সূত্র: জাগোনিউজ২৪.কম

Related Posts

13 Comments

মন্তব্য করুন