মা হওয়ার আগে সতর্কতামূলক যেসব জরুরী পরীক্ষা করা জরুরী ।

মা হওয়ার আগে বাচ্চার সুস্থতা নিশ্চিত করার জন্য কিছু মূল্যায়ন গুরুত্বপূর্ণ। এটা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে সন্তানের স্বাস্থ্য ভালো না হয়, তবে অতিরিক্ত যে মা তাকে পরছেন। একটি অস্বাভাবিক গর্ভবতী হওয়া তখন সম্ভাব্য সহজ।

প্রাথমিক পরীক্ষা এবং পরিকল্পনা তৈরি –

গর্ভবতী হওয়ার একেবারে শুরুতে প্রথমে কয়েকটি প্রেসিং পরীক্ষা করা উচিত। তাদের মধ্যে প্রধান হল রক্ত পরীক্ষার বিভিন্ন বৈচিত্র্য। ব্লাড সেলুলার, প্লেটলেট কাউন্ট নম্বর ইত্যাদি। সম্পূর্ণ রক্ত নির্ভর পরীক্ষার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গর্ভাবস্থায় মা অ্যানিমিক নাকি আর নেই তা বোঝা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হিমোগ্লোবিন পর্যায়, আয়রন ডিগ্রী এবং তাই। ঘন ঘন চেক করা উচিত.এসজিপিটি এর ডিগ্রিও পরীক্ষা করা হয়।

এ ছাড়া মায়ের সুগার লেভেল, স্ট্রেস স্টেজ ঘন ঘন পরীক্ষা করতে হবে। অনেক লোকের গর্ভাবস্থার সময়কালের জন্য রক্তচাপ বা চিনির পরিসীমা ওঠানামা করে, যদিও অন্য ক্ষেত্রে তারা হেরফের হয়। অনেক মানুষের এই সময়ে থাইরক্সিন হরমোন নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকে। অনেক মেয়েও গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে ভুগে থাকে কারণ উচ্চ চিনির স্তর রয়েছে। একটি গ্লুকোজ প্রকল্প পরীক্ষা করা হয়। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী প্রতিকার গ্রহণ করে থাইরয়েড, সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। শুধু চিন্তা করলেই হবে না, শিশুর জন্মের আগেই শিক্ষা শুরু করতে হবে।

গর্ভধারণের আগে বিভিন্ন সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, যার মধ্যে রয়েছে রুবেলা ভ্যাকসিন। এইচআইভি স্ক্রীনিং, যৌনবাহিত রোগ ইত্যাদি সম্পর্কে সচেতন হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একইভাবে শিশুর শুরু হওয়ার পরেও আপনার ফ্রেমটি একটি স্বাস্থ্যকর উপায়ে শিশুকে বজায় রাখার জন্য প্রস্তুত কিনা তা পরীক্ষা করা প্রয়োজন। গাইনোকোলজিস্ট ড. অভিনিবেশ চট্টোপাধ্যায়ের মতে, “প্রসবপূর্ব পরীক্ষা গর্ভাবস্থার একটি সম্পূর্ণ গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই পরীক্ষাগুলি গর্ভবতী হওয়ার এক পর্যায়ে মা এবং অনাগত সন্তানের ফিটনেস সংরক্ষণের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। স্বাতন্ত্র্যসূচক ধরনের প্রস্রাব পরীক্ষা, রক্ত পরীক্ষা, আল্ট্রাসাউন্ড চেক-এর মাধ্যমে আমরা আগে অনেক বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারি।

শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন-

যেহেতু আপনার গর্ভের ভ্রূণটি ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে, এটি সম্পূর্ণরূপে স্বাস্থ্যকর কিনা বা কোনো মাথাব্যথা বাড়ছে কিনা তা নিশ্চিত করার অনেক উপায় রয়েছে। চিকিৎসকরা এর জন্য একাধিক আল্ট্রাসাউন্ড স্ক্রিনিংয়ের সাহায্য নেন। শিশুর ক্রোমোজোমাল অসুস্থতা বা ডাউন সিনড্রোমের সুযোগ আছে কিনা তাও ডাবল মার্কার চেকের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হয়। গর্ভাবস্থার অগ্রগতির সাথে সাথে ভ্রূণের ইকোকার্ডিওগ্রাফি ২ডি ত্রৈমাসিকের মধ্যে সঞ্চালিত হয় যাতে শিশুর হৃদয় ভালভাবে কাজ করছে কিনা। এটি একইভাবে এক ধরনের আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষা।

অনাগত শিশুর গতি এবং বৃদ্ধি প্রকাশের জন্য প্রতি ত্রৈমাসিকে ইউএসজিগুলির একটি সিরিজ সঞ্চালিত হয়। গর্ভবতী হওয়ার পাঁচ মাস পরে (২০সপ্তাহের পরে) একটি সঠিক অসঙ্গতি পরীক্ষা করা হয়। মাত্রা, ওজন, মনের বৃদ্ধি, মেরুদন্ড এবং অন্যান্য হাড়ের গঠন, হার্টের চার্জ এবং ক্রমবর্ধমান ভ্রূণের অন্যান্য শারীরবৃত্তীয় কার্যাবলী বিস্তারিতভাবে অধ্যয়ন করা কার্যকর। যদি কোন ঝামেলা হয়, তবে এটি এই আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষায় সনাক্ত করা হয় এবং এর ফলস্বরূপ গতি নেওয়া যেতে পারে। শিশুর জন্য সহজ নয়, তবে মায়ের পেলভিক অবস্থান, প্লাসেন্টা, অ্যামনিওটিক ফ্লুইড ইত্যাদির নির্দিষ্ট ছবি। এই পরীক্ষায় দৃশ্যমান হতে পারে। এই অসঙ্গতি পরীক্ষা ফলস্বরূপ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

টিকা এবং সুরক্ষা –

গর্ভবতী হওয়ার পরিকল্পনা এবং গর্ভবতী হওয়ার আগে একাধিক টিকা নেওয়া যেতে পারে। ফ্লু এবং টিটেনাসের মতো সুপরিচিত ভ্যাকসিনগুলি ছাড়াও, ডিপথেরিয়া, ফাউল পক্স, হুপিং কাশির মতো অসুস্থতাগুলিকে বাঁচানোর জন্য আরও কিছু টিকা সুপারিশ করা হয়। যাইহোক, আপনাকে প্রয়োজনীয় সময়ে আপনার ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ভ্যাকসিন নিতে হবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে গর্ভাবস্থা যত বেশি পরিপক্ক হবে, ১/৩-ত্রৈমাসিকের আল্ট্রাসাউন্ডের মধ্যে সি প্রোগ্রাম ভাষার সময়কাল হ্রাস পাবে।

প্রতি দুই থেকে 3 সপ্তাহে, ডাক্তাররা বাচ্চার বৃদ্ধি এবং রক্ত প্রবাহের দিকে নজর দেন এবং ফলস্বরূপ পরিবহনের পরিকল্পনা করেন (সি-ফেজের ক্ষেত্রে)। অতএব, ডপলার আল্ট্রাসাউন্ড বর্তমানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সন্তানের আগমনের খবর পাওয়া মাত্রই মায়েদের বিভিন্ন সতর্কতা, বিধিবিধান এবং পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। কিন্তু সবই করা হয় বিপদের সুযোগ এড়াতে। নির্দেশিকাগুলি অনুসরণ করে, একটি স্বাভাবিক সন্তুষ্ট অস্তিত্বকে যতটা সম্ভব সম্ভব হিসাবে রাখা এবং এই মুহুর্তে আপনার নিজেকে প্রাণবন্ত রাখা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তবেই মাতৃত্বের যাত্রা সহজ হবে।

Related Posts

2 Comments

মন্তব্য করুন