মিথ্যার আগে সত্যের জয় (প্রথম পর্ব)

মিথ্যার আগে সত্যের জয় গল্পটি পড়লে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে গল্পটি অনেক লম্বা তাই আমি পর্ব আকারে আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম ভালো লাগলে পোস্টটি শেয়ার করুন এবং পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করবেন

কোন এক গ্রামে রাহুল নামের এক 12 বছরের ছেলে নিজের মা বাবার সাথে থাকতো। রাহুল খুবই সাহসী এবং বুদ্ধিমান ছেলে ছিল, তার বাবা-মা তাকে নিয়ে খুবই গর্ব করতেন।রাহুলের মা-বাবার কাছে বেশি টাকা পয়সা ছিল না,ঘরে যাতে কিছু টাকা আসে তার জন্য সে তার বাবার সাথে চায়ের দোকানে কাজ করতো,উনাদের গ্রামে একজন জমিদার ছিল,যে ধ্বনি হওয়ার সাথে সাথে খুবই খারাপ লোক ছিল,সব গ্রামবাসীরা টাকার জন্য তার কাছেই যেতেন এবং তার বদলে গ্রামবাসীরা নিজেদের জমি কে তার হাতে তুলে দিতেন,এই ভাবেই কোন একদিন রাহুল যখন তার বাবার সাথে চায়ের দোকানে কাজ করছিল,তখন জমিদার ওনাদের দোকানে বসে থাকা একজন শ্রমিকের কাছে গেলেন, এবং একজন শ্রমিককে নাম ধরে ডেকে বললেন আরে ওই হরি তুই আমার টাকা দিবি না নাকি, খুব মজা করে তো এখানে চায়ে চুমুক দেওয়া হচ্ছে, তখন শ্রমিকটা বলল মহাশয় আপনার টাকা আমি খুব তাড়াতাড়ি দিয়ে দিব,যদি আরো কিছুটা সময় দিতেন তাহলে আমার জন্য খুবই ভালো হতো,তখন জবাবে জমিদার বলল তোর কাছে তো শুধু এই মাস্টারি সময় আছে এরমধ্যে তুই যদি জমির ধারে টাকা আমাকে ফিরিয়ে না দিস তাহলে তোর জমি আমি কেড়ে নিয়ে অন্যের কাছে বেঁচে দিবো, এই কথা বলে জমিদার দোকান থেকে চলে গেল আর এই কথা ভেবে হরি হাউ মাউ করে কাঁদতে লাগল, আর বলতে লাগলো এই জমিদারি অনেক বাজে লোক প্রথমে আমাকে কথার জালে ফাঁসালে এবং তারপর আমাকে টাকা দিল, যেদিন থেকে আমি ওর কাছ থেকে টাকা নিয়েছি তারপর থেকে রোজ আমাকে বিরক্ত করছে সে আমাকে বলেছিল যে আমার কাছে এক মাস সময় আছে কিন্তু তবুও আমাকে সে শান্তিতে বাঁচতে দিচ্ছেনা সে যখন তখন আমাকে বিরক্ত করতে চলে আসছে যাতে আমি অপমানিত বোধ করি এবং তাকে আমার জমিটা দিয়ে দি তখন রাহুলের বাবা শ্রমিক তাকে বলল আরে ভাই কোন ব্যাপার নয় একটু শান্ত হও যখন তোমার কাছে টাকা আসবে তখন তুমি জমিদারের মুখে ছুড়ে মারবে আমি খুব চেষ্টা করেছি কিন্তু এই জমিদার আমাকে কোন জায়গায় ছোট করার সুযোগ ছাড়ে না তাহলে আমরা নিজেরাই নিজেদের টাকায় কেনা জমি অন্যদের হাতে তুলে দিতে পারি শুধু কোনভাবে টাকার ব্যবস্থা হয়ে যান তাহলে আমি জমিদারকে টাকা দিয়ে আমি আমার জমিনটা ফিরিয়ে নিবে এই কথা বলে আমি সেখান থেকে চলে গেল খুব তাড়াতাড়ি এইসব কথা রাহুল সেখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শুনছিল হরি চলে যাওয়ার পর রাহুল তার কথা ভেবে অনেক কষ্ট পেল আর সে তার বাবাকে বললো বাবা

 

জমিদারটা খুবই লোভী একে কি আমরা শিক্ষা দিতে পারি না নিজের ক্ষমতার বলে সে সবার উপর অত্যাচার করে চলেছে তখন রাহুলের বাবা রাহুল কে বলল বাবা ওরা অনেক ধনী লোক নিজের টাকার জোরে ওরা সবকিছুই করিয়ে নিতে পারে যতটা পারা যায় এদের থেকে আমরাই দূরে থাকলে ভালো হবে তখন রাহুল তার বাবার কথা মেনে নিয়ে চুপচাপ কাজ করতে লাগলো এইভাবে কিছুদিন কেটে গেল তারপর এমন একটি ঘটনা শুনলো যা শুনে রাহুলের মনে অনেক বড় একটা ধাক্কা লাগলো রাহুল জানতে পারলো যে জমিদারের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ওই শ্রমীকটা আত্মহত্যা করতে বাধ্য হলো সেটা সহ্য করতে পারল না যে তার জমিটা অন্যের হাতে চলে যাবে এই কথাটি জানার পর রাহুল তার বাবাকে বললো বাবা এটা কি হয়ে গেল ওই জমিদার টা তো নিজের সময় পার করে দিল এইরকম কিভাবে চলতে পারে বাবা আমাদের কিছু একটা করা উচিত বাবা তখন রাহুলের বাবা রাহুল কে বলল বাবা আমরা কি বা করতে পারি ও আমাদের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী নিজের বাবার কথা শুনে রাহুল নিরাশ হয়ে গেল কিন্তু রাহুল মনে মনে ঠিক করে নিয়েছিল যে এবার জমিদারকে তার উচিত শিক্ষা দিতে হবে তাই সে মনে মনে ভাবল কিছুদিন পরেই তো নবরাত্রি শুরু হচ্ছে আর তারপরেই তো দসেরা আমি এটা প্রতিজ্ঞা করছি যে রাবন দহনের সাথে সাথে আমি এই জমিদারের মনের ভিতরের রাবন কে বের করে দিবএটা চিন্তা করার পর রাহুল তার বন্ধুদের সাথে দেখা করতে গেল সেখানে গিয়ে রাহুল সবাইকে জমিদারের অত্যাচারের কথা জানালো আর তার সাথে সে সবাইকে সাহায্য করার জন্য বলল রাহুলের সব বন্ধুরা তাকে সাহায্য করার জন্য রাজি হল……………..

Related Posts