মুমিনুলের সেঞ্চুরি এবং বাংলাদেশের ইনিংস ঘোষণা

বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিনে বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক সেঞ্চুরি করেছেন এবং মেহেদী মিরাজ তিনটি উইকেট নিয়েছেন। একই দিনে ৮ উইকেট হারিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ২২৩ রান তোলার পর ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিকরা। আগে থেকেই রানের অঙ্কে পিছিয়ে ছিলো সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল।
 
দিনের শুরুতে আগের দিন অপরাজিত থাকা মুমিনুল এবং মুশফিক ব্যাটিং করতে নামেন। বেশ ধীরে সুস্থেই অধিনায়ক খেলতে থাকেন এবং তুলে নেন নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের দশম সেঞ্চুরি। মোট ৭৬ টি ইনিংস খেলে ২০১৩ সালের মার্চে অভিষেক হওয়া মুমিনুল এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে সর্বোচ্চ দশটি শতক হাঁকিয়েছেন। তার পরের অবস্থানেই রয়েছে নয়টি সেঞ্চুরি করা ওপেনার তামিম ইকবালের নাম। ১১৫ রান করে আউট হন মুমিনুল। ১ রান তুলতেই দুই উইকেট হারানো দিশেহারা বাংলাদেশকে পথ দেখান মুমিনুল। মুশফিক ১৮ রান করে আউট হবার পর লিটনকে নিয়ে অধিনায়ক দারুণ এক জুটি গড়েন এবং লিটন ব্যক্তিগত ৬৯ রানে আউট হন। এরপর মিরাজ ৭ এবং তাইজুল ৩ রানে আউট হলে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। তাতে সফরকারীদের সামনে ৩৯৫ রানের লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে।
 
এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসে দলীয় ৩৯ রানে প্রথম ওপেনার জুটি ভাঙ্গেন মেহেদী মিরাজ এবং পরের দুইটি উইকেটও তিনি নেন। সফরকারীদের দলীয় ৪৮ রানে দ্বিতীয় এবং ৫৯ রানে তৃতীয় উইকেটটি তুলে নেন। দিনের শেষে ১১০ রান করে তিনটি উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আজ সকালে একই ভেন্যুতে শেষ দিনের তথা পঞ্চম দিনের খেলা অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের জয়ের জন্য দরকার সাতটি উইকেট এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের দরকার ২৮৫ রান।
 
এই ম্যাচে অলরাউন্ডার হিসেবে দারুণ সাফল্য পেয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রথম ইনিংসে ক্যারিয়ারের এমনকি টেস্টে প্রথম শতক পেয়েছেন এবং বল হাতে এই ম্যাচে দুটি ইনিংস মিলিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সাতটি উইকেট নিয়েছেন তিনি। আর তিনটি উইকেট পেলে সাকিবের পর রেকর্ডের খাতায় তিনিও নাম লেখাতে পারবেন একই ম্যাচে শতক এবং দশটি উইকেট অর্জনের জন্য। মিরাজ ছাড়াও মুস্তাফিজ, নাইম, তাইজুলও উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া ব্যাটসম্যান মুমিনুল হকও সফল। অধিনায়ক হিসেবে দল পরিচালনা করছেন এবং সেইসাথে ক্যারিয়ারের দশম সেঞ্চুরি করেছেন। বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ শতকের মালিক এখন তিনি। অন্যান্য ফরম্যাটে নিয়মিত না হলেও টেস্টে মুমিনুলের পারফর্মেন্স চোখে পড়ার মতো। এবার একটু সমালোচনা করা যাক। ওপেনার হিসেবে তামিম ইকবাল এবং তিনে ব্যাট করতে নামা নাজমুল হোসেন শান্তর পারফর্মেন্স হতাশাজনক ছিলো। সেইসাথে লিটন, সাকিব, সাদমান, মুশফিক কিছু রান করলেও রানের অঙ্কটা তেমন বড় করতে পারেননি। সাকিব, সাদমান প্রথম ইনিংসে এবং লিটন দ্বিতীয় ইনিংসে অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন। সিরিজের শেষ টেস্টটি শুরু হবে এই মাসের ১১ তারিখ ঢাকায়।

Related Posts

44 Comments

মন্তব্য করুন