মুরগীর নতুন জাত উদ্ভাবন, এক কেজি হবে মাত্র ৫৬ দিনের ভেতরই

বাংলাদেশের অধিকাংশ ভোক্তারাই আমিষের চাহিদা পূরণ করতে মুরগীর মাংসকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকে। অনেকেই প্রতিদিনের খাবারে মুরগীর মাংসকেই পছন্দ করে থাকে। বাজারে মুরগীর বিভিন্ন ধরণের জাত আছে এবং যার ভেতর পল্ট্রি মুরগী, লেয়ার মুরগী, সোনালী মুরগী ও দেশী মুরগীই অন্যতম। তবে নতুন এক ধরণের মুরগীর জাত আবিষ্কার করেছে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনষ্টিটিউট (বিএলআরআই)।

এই নতুন পরীবর্তনশীল আবহাওয়ার মুরগীর নাম দেওয়া হয়েছে ‘মাল্টি কালার টেবিল চিকেন’ (এমসিটিসি)। বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেসণা ইনিষ্টিটিউটের গবেষকরা বলেন যে বাংলাদেশের ভৌগলিক পরিবেশ ও জলবায়ুর গবেষণা করেই এই মুরগী উদ্ভাবন করা হয়েছে। কৃষি বৈঙ্গানিরা এই মুরগীর গুণগত মান গবেষনা করছে। বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনিষ্টিটিউটের ঊর্ধতন বৈঙ্গানিক কর্মকর্তা মোঃ আতাউল গণি রাব্বানী বলেন বিশিষ্ট বিশেষঙ্গ প্যানেল দ্বারা এই ‘মাল্টি কালার টেবিল চিকেন’ প্রজাতির মুরগরি পরীক্ষা-নিরিক্ষা সম্পূর্ণ হয়েছে।

এছাড়াও পরীক্ষা-নিরিক্ষা করার পর দেখা যাচ্ছে যে এই মুরগী আমাদের দেশের দেশী-মুরগীর মতই এবং এই মুরগী চাষাবাদে খামারীদের অত্যন্ত লাভ হবে। এই নতুন প্রজাতির মুরগী খামারে লালন-পালন করার সময় ১ কেজি ওজন হবে মাত্র ৫৬ দিনে। তাই বিশেষঙ্গদের মতে, এই মুরগী লালন-পালনে খামারীরা অত্যন্ত লাভবান হবেন। বাংলাদেশ প্রানিসম্পদ গবেষনা ইনিষ্টিউটের মতে মাংসের চাহিদা পূরণ করার লক্ষ্যেই এই ‘মাল্টি কালার টেবিল চিকেন’ প্রজাতির মুরগীর উদ্ভাবন করা হয়েছে। বিশেষঙ্গদের ধারণা, মুরগীর এই নতুন জাত খামারীদের আর্থিকভাবে লাভবান করতে সহায়তা করবে এবং ভোক্তাদের মাংসের চাহিদা কমিয়ে আনবে। বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন প্রজাতির মুরগী পাওয়া যায়।

মুরগীর ভেতর দেশী-মুরগী, সোনালী-মুরগী, পল্ট্রি-মুরগী ও লেয়ার মুরগী অন্যতম। বর্তমানে বাজারে পল্ট্রি-মুরগী ও সোঁনালী-মুরগীর চাহিদা ভোক্তাদের কাছে অত্যধিক। এছাড়াও পল্ট্রি-মুরগী ও সোঁনালী-মুরগী প্রতিদিনের খাবারের জন্য অন্যতম। দেশী-মুরগী ও লেয়ার-মুরগীর দাম অত্যধিক বেশী হওয়াতে এই মুরগীর চাহিদা থাকলেও বাজারে বিক্রয় খুবই কম হয়। তবে নতুন প্রজাতির এই ‘মাল্টি কালার টেবিল চিকেন’ অনেকটাই দেশী মুরগীর মতনই এবং এই মুরগী খেতেও দেশে মুরগীর মতন। তাই বিশেষঙ্গরা আশা করছে যে বাজারে মাংসের চাহিদা মেটাতে নতুন প্রজাতির এই মুরগী বিশেষ অবদান রাখবে। বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনিষ্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল জলিল বলেন যে এমসিটিসি মুরগীর জাতটিকে দেশীয় ব্রয়লার বলা হয়ে থাকে। তিনি বলেন যে সরকারী ৪টা ফার্ম ও প্রাইভেট দুইটা ফার্মের মাদ্যমে আমরা পুরো বাংলাদেশকে কভার করে থাকবো।

পরবর্তীতে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনিষ্টিটিউট চাহিদার উপর নির্ভর করে অন্যান্য এলাকাতে মুরগী সরবারহ করে থাকবেন। মুরগীর এই নতুন প্রজাতি ‘মাল্টি কালার টেবিল চিকেন’ ভোক্তাদের চাহিদা মিটিয়ে খামারীদের আর্থিকভাবে উপকৃত করবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনিষ্টিটিউট।

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন

Related Posts