প্রিয় পাঠক, নিঃসন্দেহে দুনিয়ার জীবন আখেরাতের তুলনায় খুবই ক্ষণস্থায়ী প্রতিটি প্রাণী অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে। যুগে যুগে কালে কালে এই পর্যন্ত ঘটেনি আগামীতেও ঘটবে না। আমরা মানুষ দুনিয়ার রঙ তামাশায় ডুবে মৃত্যুর কথা ভুলে যাই। ভুলে যাই যে আমাদের জীবনের জন্য একটি সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। সে সময় এসে গেলে এক সেকেন্ড বৃদ্ধি করা হবে না, একটি মাত্র নির্দেশে আমাদের কত শত রঙ্গিন সম্পন্ন উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রস্তুতি বহু সাধনার কসারি আর যত্নে গড়া ঘরবাড়ি সুন্দর দাম্পত্য জীবনের প্রশ্ন তা পারিবারিক নিবির বন্ধু সব কিছু পেছনে ফেলে চলে যেতে হবে। না ফেরার দেশে সেখান থেকে ফিরে আসা আর কখনো সুযোগ থাকবে না। সেই অবধারিত বাস্তবতা অন্তিম জীবনের কথা আমাদের হৃদয়ের জাগ্রত থাকলে সত্যি আমাদের জীবনটা অন্যরকম হতো। দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী আবার কে এত এত সব রঙ্গিন কল্পনাবিলাস আর ভালোবাসা দিয়ে না ঘরে চিরস্থায়ী আবাসভূমিতে প্রসাদ তৈরি করার প্রস্তুতি বেশি মনোযোগী হতাম, আর সমস্ত এত অন্যায় পাপাচারে হাবুডুবু খেত না বরং এক অনাবিল শুদ্ধতা পরিবর্তিত অবশেষে পরে থাকত আমাদের চারদিকে পারস্পরিকতা।
যাহোক নিম্নে হৃদয় পটে সর্বদা মৃত্যুর কথা জাগ্রত রাখার জন্য কয়েকটি উপায় তুলে ধরা হলো।
১/ তরজমা তাফসির সহ কুরআন পড়া কেননা কোরআনের মৃত্যু ও পৃথিবীর ধ্বংস আখেরাত হাশর ওয়াজ জান্নাত জাহান্নাম ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা আছে।
২/ক কবর প্রদর্শন সুখ আজাব ফেরেশতাদের কঠোরতা এবং ভয়াবহতা ইত্যাদি সংক্রান্ত হাদিস গুলো পাঠ করা
৩/ মির্তু কবর এবং আখেরাত সংক্রান্ত বই-পুস্তক পড়া এবং বিজ্ঞ আলেমদের বক্তৃতা শোনা।
৪/ যখনই সম্ভব কবর জিয়ারত করা।
৫/বেশি বেশি মৃত্যুর কথা স্মরণ করা।
৬/ মৃত মানুষদের গোসল দাফন কাফন করা এবং জানাজা ইত্যাদি কাজে অংশগ্রহণ করা।
৭/ নিজের পরিচিত আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব প্রতিবেশী যারা সম্পর্কিত মৃত্যুবরণ করেছে তাদের কথা স্মরণ করা যে তারা একই দিনে পূর্বে দুনিয়ার জীবন যাপন করত কিন্তু এখন আর তারা দুনিয়াতে নেই।
৮/বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা টিভি নিউজ ও সোশ্যাল মিডিয়ার যে সকল দুর্ঘটনা প্রকৃত দুর্যোগে প্রাণহানির খবর আসে সেগুলো দেখে শিক্ষা নেওয়া যে মৃত্যু কত নিকটে।
৯/ মাঝেমধ্যে হাসপাতালের রোগীদের অবস্থা দেখতে যাওয়া অথবা এলাকার কোন মানুষ হলে বা মৃত্যুশয্যায় শায়িত থাকলে তাকে দেখতে যাওয়া এবং যথাসাধ্য রোগীর সেবা যত্ন করা।
১০/ পর্ব পূর্ববর্তী ধ্বংসপ্রাপ্ত জাতি সমূহের ইতিহাস করা এবং শিক্ষা গ্রহণ করা শিক্ষা গ্রহণের উদ্দেশ্যে তাদের স্থান স্থান গুলো দেখতে যাওয়া।
এই দশটি বিষয়ের উপরে আমাদের সুন্দর ভাবে লক্ষ্য রাখা এবং আমল করার চেষ্টা করা যাতে করে মৃত্যুকে স্মরণ রাখা যেতে পারে আল্লাহর রাসূলের বানিয়েছিল আমাদেরকে কমপক্ষে দৈনিক 100 বার মৃত্যুকে স্মরণ করা মৃত্যুর স্মরণ করলে মানুষের আখলাক-চরিত্র সুন্দর পরিণত হয় আল্লাহ আমাদের তৌফিক দান করুন আমিন।