প্রত্যেক মানুষের হাতে হাতে অ্যাণ্ড্রয়েড ফোন চলে এসেছে । তাই এন্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারীরা সবথেকে বেশি যে বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করে সেটি হচ্ছে – কিভাবে তারা খুব সহজে তাদের ব্যাটারি এর কার্যক্ষমতা বাড়াতে পারে । কিন্তু দেখা যায় বেশিরভাগ অ্যান্ড্রয়েড ফোন গুলোতে অ্যান্ড্রয়েড এর ব্যাটারি কার্যক্ষমতা দিন দিন কমে যাচ্ছে এবং এক পর্যায়ে দেখা যায় যে তাদের এন্ড্রয়েড ফোনের ব্যাটারির চার্জ মাত্র 1 ঘন্টা বা 40 মিনিট এর মধ্যেই শেষ হয়ে যাচ্ছে । আজকে কথা বলব কিভাবে এই সমস্যা থেকে কিছুটা হলেও সমাধান পাবেন ।
সম্প্রতি অ্যাপলের নতুন আইওএস ১১ আপডেট হওয়ার পর থেকে অ্যাপল ব্যবহারকারী প্রায় 70 পার্সেন্ট লোক এই সমস্যা নিয়ে ভুগছেন । যে , তাদের ব্যাটারি আগের থেকে কার্যক্ষমতা অনেকটাই কমে গেছে । তাহলে কথা না বাড়িয়ে আমরা কাজে নেমে পরি কিভাবে সহজে আমরা আমাদের এন্ড্রয়েড বা অ্যাপল এর ব্যাটারির চার্জ এর কার্যক্ষমতা বাড়াতে পারি ।
চার্জ থেকো অ্যাপ সনাক্ত করুনঃ
অনেক ধরনের সফটওয়্যার বর্তমানে বিদ্যমান যেকোনো মোবাইল থেকে অতিরিক্ত পরিমাণে চার্জ চুষে নেয় । আপনি সর্বপ্রথম এমন এক গুলাকে শনাক্ত করুন যেগুলো আপনার মোবাইল থেকে অতিরিক্ত পরিমাণে চার্জ গ্রহণ করছে । অতিরিক্ত চার্জ গ্রহণ করছে এমন সফটওয়্যার গুলো দেখার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে সেটিংস অপশনে যেতে হবে আপনার মোবাইল থেকে । রপর ব্যাটারি অপশনে গিয়ে নিজেই দেখে নিন কোন অ্যাপটি আপনার ফোনের ব্যাটারি লাইফ শুষে নিচ্ছে । তারপর এমন অ্যাপ গুলোকে ব্যবহার করা বন্ধ করে দিবে ।
চার্জ কমে গেলেঃ
মোবাইলের চার্জ যখন 20% এর নিচে আসবে তখন আপনি ব্যাটারি সেভ অপশনটা চালু করে রাখতে পারেন । যদি আপনি ব্যাটারি সেভিং মোড অপশনটি চালু করে রাখেন তাহলে আপনার মোবাইল থেকে অনেকটাই চার্জ বেঁচে যাবে ।
কতগুলো অ্যাপ ইন্সটল করবেনঃ
বর্তমান এন্ড্রয়েড ফোন গুলোতে রেম এবং ইন্টারনাল স্টোরেজ বেশি থাকার কারণে বেশিরভাগ ব্যবহারকারী প্রচুর পরিমাণে সফটওয়্যার ইন্সটল করে থাকে । আপনি যদি আপনার ব্যাটারি কে রক্ষা করতে চান , তাহলে আপনি অবশ্যই প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ব্যতীত অন্য কোন সফটওয়্যার ব্যবহার করা বন্ধ করে দিন । তাতে আপনি ভালো ফল লাভ করতে পারবেন ।
অটো লকঃ
যেহেতু এন্ড্রয়েড ফোন বা যেকোনো মোবাইল এর স্ক্রীন চালু করা মাত্রই দেখা যায় চার্জ খরচ হচ্ছে । তাই আপনি যখন স্ক্রিন লক চালু করবেন , যাতে খুব তাড়াতাড়ি আপনার কাজ শেষ হওয়া মাত্রই স্ক্রিন অফ হয়ে যায় ।সে কারণে আপনি অটো স্ক্রিন লক অপশনটি চালু করতে পারেন । এটা চালু করার জন্য আপনি আপনার মোবাইল থেকে সেটিংস অপশনে চলে যান এবং সিকিউরিটি থেকে এই অপশনটি চালু করে নিতে পারবেন ।
লোকেশন সার্ভিসঃ
অনেক অনেক সফটওয়্যার রয়েছে মোবাইলে জন্য এর জন্য যেগুলো লোকেশন চালু থাকার কারণে সফটওয়্যার গুলো আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোন থেকে তাদেরকে লোকেশন পাঠাতে থাকে এবং আপনি যদি সফটওয়্যার গুলো ব্যাবহার নাও করেন তাহলেও তারা লোকেশন পাঠাতে থাকে আপনি যদি আপনার ফোন এর লোকেশন সার্ভিস অফ করে রাখেন তাহলে আপনার মোবাইলের চার্জ অনেকটাই বেঁচে যাবে ।
ওয়াইফাই:
ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয়ে গেলে ওয়াইফাই কানেকশন অফ করে রাখতে পারেন । কারন – যদি ওয়াইফাই কানেকশন অফ করে না রাখেন । তাহলে প্রতিনিয়ত ওয়াইফাই আপনার মোবাইল থেকে চার্জ কেড়ে নিবে কারন । ওয়াইফাই প্রতিনিয়ত সার্চ অপশনে থাকে ।
অটো ব্রাইটনেসঃ
চার্জ কে সুরক্ষা করার জন্য আপনি অটো ব্রাইটনেস অপশন টি চালু রাখতে পারেন এতে করে আপনি যখন অন্ধকারে থাকবেন , তখন আটমে টিকলি কমে যাবে এবং আপনি যখন আলোতে আসবেন তখন বেড়ে যাবে । এভাবে কিছুটা হলেও আপনি আপনার চার্জ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন ।
উপরে যে লেখাগুলো লেখা হয়েছে সেগুলো যদি আপনি ভালভাবে পড়ে থাকেন এবং সে অনুযায়ী কাজ করে থাকেন তাহলে আপনার ব্যাটারি চার্জ আগের থেকে দ্বিগুন হয়ে যাবে এবং আপনি অনেক সময় ধরে আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করতে পারবেন ।