মোবাইলের জন্য সেরা একটি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার (Youcut Video Editor + Free Premium Membership)

আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন প্রিয় ভাই ও বোনেরা? আল্লাহর রহমতে আমিও ভালো আছি বরাবরের মতো। আপনাদের জন্য একটা নতুন ভিডিও এডিটিং অ্যাপের সন্ধান নিয়ে এসেছি..

আজ আমরা জানবো একটি সেরা ভিডিও এডিটিং সফ্টওয়্যার সম্পর্কে। সেই সাথে ভিডিও এডিট নিয়ে কয়েকটি টিপস এবং কিভাবে ফ্রি তে আপনি প্রিমিয়াম মেম্বারশীপ নিবেন। এখন, আসুন আমরা পুরো পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ি…

আমাদের অনেকরই ইউটিউবে চ্যানেল আছে, অনেকেই ফেসবুক পেইজের এডমিনের দায়িত্ব পালন করছি। দৈনন্দিন প্রয়োজনে আমরা ফেসবুকের জন্য ভিডিও বানাই, ইউটিউব চ্যানেলের জন্য ভিডিও তৈরি করি। আজ আমি আপনাদেরকে একটি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারের সাথে পরিচয় করিয়ে দিব, যেটার মাধ্যমে আপনি সহজেই একটি ভিডিওকে ম্যাজিক ইফেক্টসহ ইডিট করতে পারবেন। অনেকগুলে স্লাইড-শো, ইন্ট্রো ও ইন্টারভাল এডিটিং ফিচার পাবেন। ফটোকে ভিডিওতে রূপান্তরিত করতে পারবেন এবং প্রত্যেক ভিডিওর ট্রানজিশনের জন্য অনেকগুলো ইডিটিং ফিচার পাবেন।

অ্যাপটির নাম হলো:-  YouCut – Video Editor
[ গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে YouCut লিখে সার্চ করলেই প্রথমেই পেয়ে যাবেন সফটওয়্যারটি ]

আমাদের মধ্যে যারা সফল এডিটর, তারা হয়তো অন্যান্য অনেক পেইড সফটওয়্যার ব্যবহার করি, আবার অনেকে সফটওয়্যার ক্র্যাক করেও ব্যবহার করি। তবে আমার কাছে মোবাইলে ভিডিও এডিটিংয়ের জন্য এটাই খুব ভালো লেগেছে। আর যারা নতুন, তারা হয়তো জানিনা কিভাবে একটা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারের সবগুলো ফিচার ফ্রি তে ব্যবহার করা যায়। আসলে, হ্যাক বা ক্র্যাক করা ছাড়া আপনি কোন অ্যাপের সকল ফিচার ফ্রি তে ব্যবহার করতে পারবেননা। এর আগে এখানেই আমি একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, কিভাবে এন্ড্রয়েড অ্যাপ হ্যাক করে ফ্রি তে প্রিমিয়াম মেম্বারদের মতো একটি অ্যাপের সকল ফিচার ব্যবহার করবেন। সেটি পড়তে নিচের লিংকটিতে ক্লিক করুন। সম্পূর্ণ ফ্রি।

পোস্টের লিংক: https://grathor.com/%e0%a6%97%e0%a7%87%e0%a6%ae%e0%a6%b8-%e0%a6%93-%e0%a6%b8%e0%a6%ab%e0%a6%9f%e0%a6%93%e0%a7%9f%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%b9%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%95-%e0%a6%95%e0%a6%b0/

আশা করি উপরের লিংক থেকে এন্ড্রয়েড সফটওয়্যার হ্যাক করার নিয়মটা শিখে গেছেন। খুব ভালো!
লিংকে দেওয়া পোস্টটির নিয়মানুসারে YouCut – Video Editor সফটওয়্যারটিও হ্যাক করে নিন। হ্যাকের কারণে এখন আপনি সফটওয়্যারটির যেসব অতি মূল্যবান ফিচারগুলো ব্যবহার করতে পারবেন,

(১) প্রিমিয়াম মেম্বারশীপ নিয়ে নিতে পারবেন।

(২) অ্যাপটির সকল এডিটিং ফিচার ব্যবহার করতে পারবেন।

(৩) অ্যাপটিতে এখন থেকে ইডিট করা ভিডিওগুলো 1280p এবং 2160p -তে সেভ করতে পারবেন।

(৪) ওয়াটারমার্ক উঠিয়ে নিতে পারবেন। নিজের তৈরি করা লোগো ও নাম বসাতে পারবেন।

(৫) সারাজীবনের জন্য অ্যাপটির মধ্য থেকে আসা গুগল-এডস বন্ধ করতে পারবেন।

আর কি লাগে! আপনি এখন চাইলে নিজেই একটা কোয়ালিফায়েড ভিডিও সহজেই তৈরি করতে পারবেন। আর এডিটিংয়ের সম্পূর্ণ ক্রেডিট নিয়ে নিতে পারবেন।

YouCut -অ্যাপ এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:

১. অ্যাপটি খুলতেই আপনি দেখতে পাবেন একটি (+) প্লাস চিহ্ন। সেখানে ক্লিক করলে আপনাকে আপনার সেটের গ্যালরী এক্সেস করতে বলবে। গ্যালারী থেকে সর্বনিম্ন ১টি ভিডিও অথবা ১টি ফটো সিলেক্ট করতে হবে এডিটিংয়ের জন্য। মিডিয়া সিলেক্ট করা হয়ে গেলে নেক্সটে ক্লিক করুন।

২. এখন অনেকগুলে ফিচার আপনার সামনে শো করছে। গুরুত্বপূর্ণ যে ফিচার গুলো রয়েছে, তাহলো –

Trim: এখান থেকে আপনি একটি ভিডিওর কোন ছোট/বড় অংশ কেটে ওই কাটা অংশটি ইডিট করতে চাইলে করতে পারবেন।
Music: এখান থেকে আপনি চাইলে ভিডিও কিংবা ছবি-তে মিউজিক যোগ করতে পারবেন।

Filter: এখান থেকে আপনি একটি ভিডিওকে ফটোর মতো ইডিট করে পরিষ্কার করতে পারবেন।

Effect: এখানে আপনি সব ধরণের ইফেক্ট পাবেন। যেমন ধরুন, আপনি আপনার ভিডিওতে গ্লীচ ইফেক্ট যোগ করতে চাইছেন বা আপনার ভিডিওকে আপনি সিনেমেটিক বানাতে চাইছেন, সেটা করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার ভিডিওর উপযুক্ত স্থানে, যে স্থানে আপনি ইফেক্ট বসাবেন, সেখানে আপনার পছন্দ হওয়া ইফেক্টটির উপর টাচ করে ধরে রাখবেন। ইফেক্ট বসে যাবে। আবার ইফেক্ট রিমুভ করারও টুল আছে ওখানে। অতএব ইফেক্ট বসানো নিয়ে আপনাকে কোন চিন্তা করতে হবেনা।

Text: এ অপশন থেকে আপনি আপনার ভিডিওর উপর যেকোন টেক্সট লিখে বসাতে পাবেন।

Sticker: এ অপশন থেকে আপনি আপনার ভিডিওর উপর পছন্দমতো স্টিকার বসাতে পাবেন।

Speed: এখান থেকে আপনি আপনার ভিডিওর প্লে স্পীড কম/বেশি করতে পারবেন। স্লো এবং ফাস্ট মোশন ভিডিও তৈরি করা যাবে।

Record: এ অপশন থেকে আপনি ভয়েস রেকর্ড করতে পারবেন। আর রেকর্ড করা ভয়েস ইডিট করে ভিডিওর উপর বসাতে পারবেন।

Volume: ভিডিওর মধ্যে যদি সাউন্ড থাকে, তাহলে এই অপশন থেকে তা বাড়াতে কমাতে পারেন।

Crop: ভিডিওকে নিজের ইচ্ছামতো রিসাইজ করতে পারবেন। এই অপশনটি ছবিকে ভিডিও আানানের ক্ষেত্রে বেশি কাজে দেয়।

বন্ধুরা, আজ এই পর্যন্তই থাক। পরবর্তী পোস্টে আমি আমার দেখা সবচেয়ে সেরা একটি ফটো-ইডিটিং সফটওয়্যার নিয়ে আলোচনা করবো। আসলে, কষ্ট কম হয়না পোস্টগুলো লিখতে; প্রায় ২ ঘন্টা সময় ব্যয় হয়ে যায়। তবুও মনের আশে লেখালিখি করি। দোয়া করবেন সবাই আমার জন্য।

পোস্ট দ্বারা উপকৃত হলে শেয়ার করে জানিয়ে দিন অন্যদেরও। কমেন্ট করে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে একদম ভুলবেননা।

পোস্টটি নিয়ে আপনার কোন প্রশ্ন, কৌতূহল, মতামত, অভিমত, পরামর্শ থাকলে নির্দ্বিধায় দিতে পারেন। আসসালামু আলাইকুম।

Related Posts

5 Comments

মন্তব্য করুন