কুকুর,বেড়াল, কবুতর কিংবা খরগোশ – এরা ছোট, বড় সকলেরই প্রিয় বন্ধু৷ পোষা প্রাণী ছোটদের যেমন দায়িত্ব নিতে শেখায় ও আত্মবিশ্বাসী করে, প্রবীণদের তেমনি মনকে ভালো রাখে। যারা পোশাক প্রাণীকে ভালোবাসে তারা কোনদিন খারাপ হতে পারে না এই বাণীটি একটি চিরন্তন সত্য।
শিশুদের জন্য পোষা প্রাণী
শিশুরা সাধারণত একটু দুষ্ট প্রকৃতির হয়,দুষ্টুমি করতে ভালোবাসে। তারা ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করে না,পড়াশোনা করতে চায় না। সারাদিন দুষ্টুমি করতে পছন্দ করে, খেলাধুলা করতে ভালোবাসে। এসব দোস্ত অশান্ত শিশুদের জন্য বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন যদি আপনার শিশু দুষ্টু প্রকৃতির হয় তাহলে আপনার শিশুর জন্য একটি পোষা প্রাণী দিন। দেখবেন, আপনার শিশুটি ওই পোষা প্রাণী থেকে পেলে তাকে নিয়ে আদর-যত্ন,ঘোরাঘুরি, তাকে খাওয়ানো,তাকে নিয়ে বাইরে ঘুরতে যাওয়া-এসব করার মধ্য দিয়ে আপনার শিশু দায়িত্ববান হয়ে গড়ে উঠবে।
হাঁস মুরগি শুধু খাবার নয় আনন্দ বটে
সাধারণত পোষা প্রাণী বলতে আমরা শুধু কুকুর,বিড়ালকে বুঝি একথা কিন্তু মোটেও সঠিক নয়। আমাদের বাংলাদেশেও নিম্নবিত্ত মধ্যবিত্ত মানুষের মধ্যেও দেখা যায়, যারা হাঁস-মুরগি বা অন্য কোন প্রাণী পালন করে থাকেন তারা স্বাভাবিকভাবে খুবই সৎ এবং দায়িত্বশীল হন। একটি পোষা প্রাণীর মধ্যে মালিকের অনেকগুলো দায়িত্ব থাকে। ভোরে ঘুম থেকে উঠে তাদেরকে খাওয়া দাওয়া,তার বাসস্থান পরিষ্কার করা,তাদেরকে সেবা যত্ন দেওয়া। আমাদের প্রশাসনের মধ্যে হাঁস এবং মুরগি ডিম দিলে সেদিন শুধু খাওয়ার জন্য হয়না, বাচ্চাদের প্রচুর আনন্দ দেয় আবার ডিম ফুটেযখন বাচ্চা হয় তখন শিশুদের আনন্দের সীমা থাকে না।
পাখি
আমাদের দেশে শখের বসে বিভিন্ন ধরনের পাখি পালন করা হয়। শুধু শখের বশে নয় বাণিজ্যিকভাবেও অনেকেই পাখি পালন করে থাকে। অনেকেরই ধারণা বিড়াল বা কুকুরের লোম থেকে নানা রোগব্যাধির সৃষ্টি হয়, তাই ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অনেকেই কুকুর ,বিড়াল পালন করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে না। তাই তারা পাখি পালতে ভালোবাসেন। একটা পাখি আপনার জীবনে অনেক সুখ আনন্দ এনে দেয় যদি আবার সেই পাখিকে কে কথা শিখানো হয় তাহলে তো কথাই নেই। আমাদের দেশে শালিক এবং টিয়া পাখি কথা বলতে পারে।
মস্তিষ্কের বিশ্রাম
আপনি সারাদিন অফিস আদালত কিংবা ব্যবসা বাণিজ্য যে কোন কাজ কাজেই করেন না কেন আপনাকে নিজ কর্মস্থলে প্রচন্ড মানসিক চাপের মধ্যে থাকতে হয়, বিশেষ করে যাদের কাজের জন্য মানসিকভাবে চাপে পড়েন তাদের জন্য পোষা প্রাণী খুবই উপকারী। কারণ, পোষা প্রাণী সাথে কিছুক্ষণ খেলাধুলা করলে আপনার মস্তিষ্কে কাজের চাপ একদমই ভুলে যাবেন। সে ক্ষেত্রে প্রসঙ্গ কাদের মধ্যে থেকেও অন্তত 10 মিনিটের জন্য পোষা প্রাণীদের সাথে খেলাধুলা করুন-যা সুস্থ থাকার জন্য খুবই দরকার।
প্রবীনদের বন্ধু কুকুর
যারা সাধারণত একটু বয়স বেশি তারা একটি কুকুর পালন করতে পারেন। আপনারা তো সবই জানেন, কুকুরকে প্রভুভক্ত প্রাণী পালন করা হয়। আপনি যদি কোন বিপদ আপদ পড়েন তাহলে নিজের জীবন বিনিময়ে কুকুর আপনাকে রক্ষা করতে সাহায্য করবে। বিদেশে একটি কুকুরকে নিজের সন্তানের মতন পালন করা হয়। এবং তাদের জন্য প্রতি মাসে হাজার হাজার ডলার খরচ করা হয়।
নিঃসঙ্গতা দূর করে
বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, যারা বাড়িতে পোষা প্রাণী পালন করেন সাধারণত তারা খুবই সুখী এবং স্থিতিশীল, একাকীত্বে ভোগেন না। পশ্চিমা বিশ্বে দেখা যায়, পোষা প্রাণী এবং মালিকদের মধ্যে প্রচুর আন্তরিকতা গড়ে ওঠে। আপনারা যখন একা থাকবেন তখন আপনাকে নিঃসঙ্গতা তাড়া করে বেড়াবে এই নিঃসঙ্গতা অসুস্থতার বড় একটি কারন। আপনি সেই নিঃসঙ্গতাকে দূর করতে একটি কুকুর পালন করতে পারেন।
Valo tottho
Eti Ekti porar moto post….
Very nice post
Nice post
ধন্যবাদ
ধন্যবাদ।