১)মোবাইল আসক্তিঃ তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে মোবাইল, ইন্টারনেট, কম্পিউটার এসব ছাড়া চলা যায় না।কিন্তু এগুলোর প্রতি তরুন প্রজন্মের আসক্তি দিন দিন বেড়েই চলছে।ঘন্টার পর ঘন্টা গেইম খেলা,মুভি দেখা ইত্যাদি নিয়েই ব্যস্ত থাকে ছেলেমেয়েরা।কথায় আছে, মানুষের এক মনে দুই বস্তু একসাথে স্থান পায় না।তাই অনেক সময় ছাত্ররা পড়ালেখার জগতের কথা চিন্তাই করতে পারে না এইসব আসক্তির প্রভাবে।
২)সোশাল মিডিয়ার প্রভাবঃ একসময় ছেলেমেয়েরা তাদের অবসর সময় কাটাতো বিভিন্ন গল্পের বই,ম্যাগাজিন,ধর্মীয় বই, বিভিন্ন সাহিত্যিকদের কালজয়ী উপন্যাস ইত্যাদি পড়ে।আর এখন ফেসবুক, টিকটক এসব এসে তাদের জায়গাগুলো দখল করে নিয়েছে।এখন কে নতুন নতুন স্ট্যাটাস দিতে পারে ইত্যাদি প্রতিযোগিতায় তারা লিপ্ত। পড়ার টেবিল ছেড়ে তাদের মন পড়ে থাকে তার স্ট্যাটাসে কত লাইক পড়েছে,কে কেমন কমেন্ট করেছে ইত্যাদির দিকে।
৩)খারাপ বন্ধু-বান্ধবদের প্রভাবঃ আপনার সন্তানের পড়ালেখায় অমনোযোগী হওয়ার অন্যতম একটি কারন হতে পারে খারাপ সংগী-সাথী।এদের প্রভাবে পড়ার টেবিল ছেড়ে অনেক সন্তান চলে যায় গান বাজনার আড্ডায়,নেশার রাজ্যে।আবার অনেক সময় অনেক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডেও জড়িয়ে যায় ছেলে মেয়েরা তাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধবদের সাহচর্যে।
৪)মুখস্থ বিদ্যার প্রবনতাঃ অভিবাবকের ভয়ে বা গৃহশিক্ষক এর চাপে পড়ে অনেক ছাত্রছাত্রী গদবাধা কিছু টপিক মুখস্ত করে।এতে তাদের স্বাভাবিক চিন্তা-শক্তির বিকাশ ঘটে না।যার কারনে তারা কেবল মুখস্থ বিদ্যার দিকে ঝুকে পড়ে।কিভাবে কেবল পরীক্ষার আগের রাতে পড়ে পাশ করা যায় এই চিন্তাই ঘুর ঘুর করে।
৫)ঘরকুনো করে রাখাঃ অনেক পিতা মাতা আছে যারা তাদের সন্তানদের সহজে ঘর থেকে বের হতে দেয় না,খেলতে দেয় না।এর ফলে সন্তান মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকে।পড়ালেখাসহ যেকোন ভালো কাজেই তার অনীহা এসে যায়।ঘুম,খাওয়া আর মিডিয়াজগত বাইরের কোন জগতের সাথে তার আর কোন সম্পর্ক থাকে না।
৬)অত্যধিক অভাব অনটনঃযদি পরিবারে অার্থিক সমস্যা লেগেই থাকে তবে তা হতে পারে সন্তানের পড়ালেখার অমনোযোগীতার আর একটি কারন।যদি সময় মত বই কিনে দিতে না পারেন, ভালো শিক্ষকের ব্যবস্থা করতে না পারেন অথবা মৌলিক প্রয়োজনীয় ব্যাপারগুলো সরবরাহ করতে না পারেন তাহলে হয়তো আপনার সন্তান পড়ালেখা ছেড়ে দিতে পারে। এরুপ ক্ষেত্রে অনেক ছেলেমেয়েরাই স্কুল কলেজ বাদ দিয়ে অর্থ উপার্জনের দিকে মনোযোগী হয়।
৭)অনাকাঙ্ক্ষিত আবেগঃ উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েরা অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের আবেগে জড়িয়ে পড়ে।তারা এমন এক কল্পনার রাজ্যে চলে যায় যেখান থেকে উঠে আসা সহজ নয়।ফলশ্রুতিতে তাদের পড়ালেখা মারাত্মকভাবে বিঘ্ন ঘটে।।অবিভাবকের উচিত তাদের এই সময়গুলোতে বন্ধুসুলভ আচরন করা ও বুঝিয়ে শুনিয়ে পড়ালেখার দিকে মনোযোগ ফিরিয়ে আনা।