রাঙামাটির কিছু ভ্রমণীয় স্থান

প্রিয় পাঠকবৃন্দ,

সবাইকে সালাম ও নমস্কার। যারা দূর-দূরান্ত থেকে রাঙামাটি বেড়াতে আসলে  ভেবেই কূল পায়না যে কোথায় গেলে দিনটি সুন্দর ভাবে কাটাতে পারব। চলুন জেনে নিই রাঙামাটির সেইসব স্থান।

 

আপনারা ইতিমধ্যেই ঝুলন্ত ব্রীজ সম্পর্কে জেনে গেছেন। সুতরাং সেটা বাদে আরও অন্যান্য  কয়েকটি স্থান রয়েছে।সেগুলো হলোঃ হলিডে রির্সোট, বরাডাম, বেরান্যে লেক, টুকটুক ,  বালুখালি, ডিসি বাংলো পার্ক ইত্যাদি। এসব জায়গাগুলোর সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলঃ

হলিডে রির্সোটঃ এটি CO office এলাকার আর্মি ক্যাম্প  এর পাশে অবস্থিত। এইখানে রয়েছে বোট ডাইভিং সহ কয়েকটি রাইড। জায়গাটি দ্বীপ অঞ্চলে হওয়ায় বহুদূর পর্যন্ত দেখা যায় এবং কৃত্রিম water fall ride থাকায় লোকজন প্রতিনিয়ত weekend এ ঘুরতে যায়। বাচ্চাদের জন্যে একটি পার্ক ও রয়েছে। কতৃপক্ষ নিরাপদ সুরক্ষার  ব্যবস্থার মাধ্যমে রিসোর্টটি পরিচালনা করে। সাধারণভাবে প্রবেশ মূল্য ফি  দিয়ে এইখানে প্রবেশ করতে হয়।

বরাডামঃ রাঙামাটির একটি আকর্ষণ এই বরাডাম। এটি রাঙামাটি সদর থেকে ৪-৫কিঃমি দূরে। এইখানে যেতে হলে সিএনজি বা বাইকে করে  যেতে হয়। এটি সাধারণত কাপ্তাই রোড অর্থাৎ আসামবস্তি ব্রীজের উপর দিয়ে যেতে হয়। এই বরাডাম এর প্রধান আকর্ষণ হল কাপ্তাই হ্রদের প্রসারিত বিস্তার দেখা যায়। আশেপাশের পাহাড়গুলো  বিকালবেলা আরও মায়াবী হয়ে ওঠে। সূদুর প্রসারিত এই  জায়গাটি মন ভালো রাখার   অন্যতম একটি ক্ষেত্র।

বেরান্যে লেকঃএই জায়গাটির বিশেষঃত হচ্ছে বোট ডাইভিং করা। এটি বরাডামের পাশেই অবস্থিত । এইখানে মানুষ যায় নিজের সৌন্দর্য কে কাপ্তাই হ্রদের কাছে বিলিয়ে দিতে। নিজের পরিপূর্ণতাকে প্রকাশ করাতে।  এই জায়গার কতৃপক্ষগণ অতিথিদের আপ্যায়নের   সাথে সাথে ভাল   খাবারের ও ব্যবস্থা করেন।  পাহাড়ি তরকারি এবং সাথে রয়েছে হ্রদের সুস্বাদু মাছ যা আপনাকে তৃপ্তি  দিবে।

টুকটুক ও বালুখালিঃ এই জায়গাগুলোতে যেতে হলে পানিপথ দিয়ে বোটযোগে যেতে হবে।এগুলো সাধারণত ছোট ছোট রিসোর্ট নামে পরিচিত। এই জায়গাগুলো দেখতে এক একটি দ্বীপের মত। এছাড়াও এদের মত আরো একটি ভ্রমণীয় স্থান হলো ফেদা টিং টিং । এটি রাঙামাটির আরও একটি আকর্ষণীয় স্থান। প্রতিবছর এই জায়গাগুলোতে ভ্রমণপিপাসুদের দেখা পাওয়া যায়।

ডিসি বাংলো ও পলওয়েল পার্কঃ রাঙামাটি সদর থেকে ২কিঃমি দূরে রিজার্ভ বাজার এলাকায় এই পার্কগুলো অবস্থিত। ডিসি বাংলো পার্কটি সাধারণত ৩১৭ ফুট (প্রায়)  চাপালিশ গাছ আছে। সাধারণ পার্কের ন্যায় এই পার্কে বসার জন্য বেঞ্চ, দোলনা ইত্যাদি সরঞ্জামাদি রয়েছে। আর অন্য দিকে পলওয়েল পার্কটি আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য ভূতের দরজা ডিজাইন করে বসানো হয়েছে। ছোট ছোট   মাচাং ঘর এবং সুইমিংপুল তৈরি করা  হয়েছে। আর প্রেমিকযুগলবন্দিদের জন্য রয়েছে লাভ পয়েন্ট। যেখানে নিজেদের ভালবাসা চিরস্থায়ী করার  জন্য তালা মেরে তার চাবি পানিতে  ফেলে দেওয়া হয়।  আর ছোট্ট একটি বীচ রয়েছে  যেখানে আপনি বসে ক্লান্তি দূর করতে পারবেন।                                                                                                    সুতরাং আর দেরি নয় ঘুরে আসুন রাঙামাটির সেইসব জায়গাগুলোতে যেগুলোতে আপনি আগে কখনো  যাননি।

ধন্যবাদ সবাইকে

ভালো ও সুস্থ থাকবেন

Related Posts

16 Comments

মন্তব্য করুন