টপোলজি নেটওয়ার্কে পূর্বের পর্বে ছিলো রিং টপোলজি কী ? কিভাবে কাজ করে । এইপর্বে থাকছে রিং টপোলজির সুবিধা অসুবিধাসমূহ এবং ট্রি টপোলজি কি ?
রিং টপোলজির সুবিধা
- প্রতিটি কম্পিউটার নেটওয়ার্কে সমান একসেস পায়। কারন, টোকেন প্রত্যেক কম্পিউটারের কাজেই যায় । সেই কারনে কোন কম্পিউটার পুরো নেটওয়ার্কে আধিপত্য চালাতে পারে না ।
- সব কম্পিউটারের সমাধিকার থাকার ফলে নেটওয়ার্কে ডিগ্রোডেশনও থাকে সমানভাবে । তার মানে কম্পিউটারের সংখ্যা বেশি হয়ে গেলে নেটওয়ার্কের পারফম্যান্স হ্রাস পায় ।এবং হ্রাস পাওয়ার ফল সবাই সমানভাবে ভোগ করে।
- নেটওয়ার্কে কম্পিউটার সংখ্যা বাড়লেও এর দক্ষতা খুব বেশি প্রভাবিত হয় না ।
- নেটওয়ার্কে কোন সার্ভার কম্পিউটারের প্রয়োজন হয় না
অসুবিধাসমূহ
- রিঙ্গের একটি কম্পিউটার আকেজো হলে নেটওয়ার্ক অকেজো হয়ে যায়
- রিং নেটওয়ার্কে কোন সমস্যা হলে ত্রুটি খুজে বের করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়
- নেটওয়ার্ক রিং থেকে কোন কম্পিউটার সরিয়ে নিলে কিংবা এতে কোন কম্পিউটার যোগ করলে নেটওয়ার্কের কাজ বিঘ্নিইত হয়
- নেটওয়ার্কে কোন কম্পিউটার যোগ করলে বা সরিয়ে নিলে তা পুরো নেটওয়ার্কের কার্যক্রম ব্যাহত করে ।
- এ নেটওয়ার্কে কম্পিউটারে সংখ্যা বাড়লে ডেটা ট্রান্সমিশনের সময়ও বেড়ে যায় ।
- রিং টপোলজির জন্য জটিল নিয়ন্রন সফটওয়্যার ব্যবহারিত হয় ।
ট্রি টপোলজি কী ?
মূলত স্টার টপোজির সম্প্রসারিত রুপই হলো ট্রি টপোলজি ।এ টপোলজিতে একাধিক হাব ব্যবহার করতে সমস্ত কম্পিউটাগুলোকে একটি বিশেষ স্থানে সংযুক্ত করা হয় যাকে বলে রুট। সেখানে তাদের সংকেত পাঠানোর গতি বৃদ্ধির জন্য উচ্চ গতি বিশিষ্ট সংযোগ দ্বারা সার্ভার কম্পিউটারের সাথে যুক্ত করা হয় । ট্রি সংগঠন এক বা একাধিক স্তরের কম্পিউটার হোষ্ট কম্পিউটারে সাথে যুক্ত থাকে । দ্বিতীয় স্তরের কম্পিউটারের সাথে আবার তৃতীয় বা একাধিক কম্পিউটার যুক্ত থাকে । দ্বিতীয় স্তরের কম্পিউটারগুলো তৃতীয় স্তরের কম্পিউটারের হোস্ট কাজ করে ।
ট্রি টপোলজির সুবিধা
- নতুন সৃষ্টির মাধ্যমে ট্রি টপোলজির নেটওয়ার্ক সম্প্রসরন বেশ সুবিধা।
- অফিস ব্যবস্থাপনা কাজে এ নেটওয়ার্কের গঠন বেশ উপযোগ।
- নতুন কোন নোড সংযোগ করা বা বাদ দেওয়া সহজ।
- এতে নেটওয়ার্কে স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয় না ।
ট্রি টপোলজির অসুবিধা
- রুট বা সার্ভার কম্পিউটারে কোন ত্রুটি দেখা দিলে ট্রি নেটওয়ার্ক অচল হয়ে যায় ।
- অন্যান্য টপোলজির তুলনায় অপেক্ষাকৃত জটিল।