রোজা রেখে যে কাজ করা কখনোই উচিত নয়।।

আসসালামুয়ালাইকুম বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম! রমজান মাসের শুভেচ্ছা রইল।
প্রিয় ইসলামী ভাই ও বোনেরা আশাকরি সবাই পরম কৃপাময় আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আপনাদের ইচ্ছায় এবং পরম কৃপাময় মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় ভালো আছি।
বারোটি মাসের মধ্যে রমজান হলো শ্রেষ্ঠ মাস।যে মাস শোয়াব ও নেকি লুটে পুটে নেওয়া মাস।যে মাসে জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেয়া হয় এবং জান্নাতের দরজা খুলে দেওয়া হয়।ইবলিশকে বন্দি রাখা হয় যাতে রোজাদারদের কুপথে না নিয়ে যেতে পারে। স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা রোজাদারদের উপহার দেবেন। রোজাদারদের মুখের গন্ধকে আল্লাহ তায়ালা সব চেয়ে বেশি পছন্দ করেন। যে রোজাদারদের জন্য আল্লাহ তায়ালা এত খুশির কথা ঘোষণা করেছেন সেই রোজাদারদের ৩ টি ভুলের কারণে আল্লাহ তায়ালা তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন। ভাবতে পারেন।তাই রোজাদার ভাই বোনেরা সাবধান হয়ে যান।এই তিনটি ভুল কি তা জানুন এবং এই তিনটি ভুল থেকে আপনারা বেঁচে থাকুন।
আসুন জেনে নেই এই ৬টি ভুল কি কি।
১.মিথ্যাচার করা বা মিথ্যা কথা বলা। মানুষ সারাদিন না খেয়ে রোজা রাখে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির জন্য। কিন্ত কেউ কেউ আছেন রোজা রেখে দিধাবোধ করে না। ব্যবসা করতে গিয়ে দোকানদারী করতে গিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে রোজা অবস্থায় মিথ্যা কথা বলে। যেমন ফল বিক্রেতা বলে : ভাই ১০০ টাকায় কেনা নেই ১২০ টাকা দেন।অথচ দেখা গেল সে ৪০ টাকায় কিনেছে। এরকম মিথ্যা বলে নিজের রোজা ধ্বংস করে ফেলছেন। হাদীস বলে যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা বলা ও মিথ্যাচার ছাড়েনি তার খানাপিনা ছেড়ে দেওয়া তে আল্লাহর কোন প্রয়োজন নেই।
২.নামজ না পড়া। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন গোটা এক মাস রোজা আদায় করেন। রোজা রেখে সারাদিন কঠোর পরিশ্রম করেন কিন্তু নামাজ পড়েন না। একটি রোজা রাখা কতটা কষ্ট কিন্তু পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ রোজার চেয়ে একভাগ ও কষ্ট করতে হয় না। সারাদিন রোজা রাখলেন কিন্তু নামাজ পড়লেন না তাহলে লাভ কি হলো।
৩.লোক দেখানো রোজা রাখা। অনেকেই আছেন সেহেরির সময় সবাইকে ফোন করে ডেকে দেয় এবং ইফতারের আগে মেসওয়াক নিয়ে ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে ঘন্টা খানেক ধরে মেসওয়াক করতে থাকে। দেখো আমি রোজা আছি আমি রোজাদার।অথচ সারাদিন না নামাজ না কোরআন তেলাওয়াত। দিন পার করার জন্য অনেকে টিভিও দেখেন।

যারা লোক দেখানো রোজা করেন আল্লাহ তায়ালা তাদের ক্ষমা করেন না। কিয়ামতের দিন লোক দেখানো ইবাদতকারীকে সর্বপ্রথম বিচার করবেন এবং জাহান্নামে প্রেরণ করবেন। অতএব নিয়ত ঠিক করতে।
তাই বন্ধুরা এই তিনটি ভুল কখনই করবেন না।তা না হলে সব কিছুই করবেন কিন্তু কিছুই হবে না। আল্লাহ আমাদের সঠিক বুঝ দান করুক। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে কল্যাণ সাধন করুক। রমজানে ৩০টি রোজা রাখার তৌফিক দান করুন আমিন।

বন্ধুরা লেখাটি ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন!!( ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা রইল মুসলিম বন্ধুরা)

Related Posts

14 Comments

মন্তব্য করুন