আসসালামু আলাইকুম সবাইকে। সবাই কেমন আছেন? আশাকরি সুস্থ আছেন। করোনা পরিস্থিতিতে সবাই মোটামুটি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। তাই এই সময়টা অনলাইনে কাজে লাগিয়ে অনেক টাকা আয় করা সম্ভব। চলুন আলোচনা করি।
1) অনলাইন শাড়ি বিক্রয় ব্যবসা:
শাড়ি বিক্রির এই ঐতিহ্যবাহি ব্যবসা দীর্ঘদিনের। মহিলারা দীর্ঘদিন ধরে কয়েকটি শাড়ি কিনে এবং পরিচিতদের বাড়িতে বা অফিসে গিয়ে বিক্রি করছেন। শ্রমজীবী মহিলারা যারা সবসময় ব্যস্ত থাকে, তারা প্রায়শই এ সকল শাড়ি বিক্রেতাদের উপর নির্ভরশীল থাকে। তবে বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই ব্যবসাটি কিছুটা আধুনিকায়ন করা হয়েছে। অনেকে কেবল ফেসবুক প্লাটফর্ম ব্যবহার করে স্বল্প ব্যয়ে বিপুল মুনাফার ব্যবসা করছেন।
বাংলাদেশের শাড়ি মূলত বাইরে থেকে পাইকারী তে আনা হয়। বিভিন্ন স্থান থেকে এনে অনলাইনে বিক্রি করা হয়। আপনি যদি সহজেই সঠিক পছন্দ এবং সঠিক ক্রেতার কাছে পৌঁছতে পারেন তবে আপনি খুব সহজেই অল্প পরিমাণ অর্থের জন্য ব্যবসায় করতে পারেন।
2) পোশাক ও সেলাইকরন:
পাড়ার দর্জির দোকানটি এখন একটি পুরানো ব্যবসা বললে চলে। যদি আপনি অভিনব পদ্ধতিতে পোশাক ডিজাইন করতে পারেন তবে এর পর্যাপ্ত চাহিদা রয়েছে ও প্রচুর কাস্টমার পাবেন। প্রচলিত ডিজাইনের পাশাপাশি অভিনব নকশার নকশা তৈরির দক্ষতা অর্জন করতে হবে। সাম্প্রতিক কর্পোরেট ডেভেলপমেন্টের ফলাফল হিসাবে এই পোশাক সেলাইয়ের চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এক্ষেত্রে ব্যবসাটি পুরুষ এবং মহিলা সমান ভাবে করতে পারবে।
আপনি যদি কম টাকায় ব্যবসা করতে চান তবে আপনি নিজের বাড়ি থেকে এই ব্যবসা করতে পারেন ও তা রেডি করে ঘরে ঘরে ডেলিভারি ব্যবস্থা করতে পারেন।
3) অনলাইন বুটিক ব্যবসা:
সবাই যে ডিজাইনের কাপড় পরে, তার থেকে একেবেরে ভিন্ন ডিজাইনের কাপড় পরতে পছন্দ করে অনেক ক্রেতা। এই সমস্ত ক্রেতা প্রয়োজনে পেমেন্ট কিছুটা বেশি দিতে ইচ্ছুক। এই ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে অনেক বুটিক ব্যবসায়ীর আবির্ভাব হয়েছে। এই ব্যবসায়ের মূল চ্যালেঞ্জ হলো ক্রেতার পছন্দ অনুসারে পোশাক তৈরি করা। কোনও দোকান ভাড়া নেওয়া সম্ভব না হলে আপনি এই পোশাকগুলি অনলাইনেও বিক্রি করতে পারবেন
4) কাঠের ব্যবসা:
কাঠের ব্যবসার চাহিদা অনেক বেশি ও বর্তমানে এটি অনেকে এই ব্যবসার সাথে জড়িত। এর মাধ্যমে লাভ করা যায় যদিও কিছু টা শ্রম দিতে হয়। এছাড়া এই ব্যবসা করতে একটু অর্থ লাগে। অফিসে বা বিবাহের বাড়ি সহ যে কোনও অনুষ্ঠানে পাওয়া যায় এর বিপুল চাহিদা রয়েছে। যারা এই ব্যবসা করেন তাদের প্রথমত মার্জিত ব্যবহার করা। তারা সুন্দরভাবে কাজ করে, তাদের জন্য এটা অনেক লাভজনক আইডিয়া। তারা তাদের মতো কাজ করে এবং এতে কারও জন্য সমস্যা হয় না। এই ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন জায়গায় ডাকা হয়। আপনি যদি অল্প অর্থ দিয়ে ব্যবসা করতে চান তবে আপনি এই ব্যবসা করতে পারেন