লিপি কিভাবে এলো জেনে নিন

আমাদের বাংলা লিপি এসেছে ব্রাহ্মী লিপি থেকে।লিখন পদ্ধতির আবিষ্কার মানব সভ্যতার জন্য অনেক বড় আবিষ্কার। এ আবিষ্কার একদিকে যেমন মানুষের কঠিন মেধাশ্রমের ফল, তেমনি এর ফলে মানুষের অন্যান্য মেধাশ্রম সৃষ্ট বিজ্ঞানের আবিষ্কার, প্রাচীন জীবনযাপনের কথা, সভ্যতার কথা, ইতিহাস বিভিন্ন দেশ ও জাতির কথা, প্রাকৃতিক সম্পদের কথা সংরক্ষণ করা যায়। তাই লিখন পদ্ধতি আবিষ্কারের গুরুত্ব অত্যধিক। |প্রাচীনকালে লিখন পদ্ধতি ছিল ছবিভিত্তিক। বাস্তব জীবনের ঘটনা গাছ, মাছ-নদী-পাহাড়-মানুষ ইত্যাদির ছবি এঁকে মানুষ তার মনের ভাব প্রকাশ করত। এসব ছবি একের পর এক সাজিয়ে দিয়ে হয়ে যেত একেকটি বাক্য। তবে এভাবে লেখা খুবই কষ্টসাধ্য এবং সময়সাপেক্ষ ছিল। এজন্য ধীরে ধীরে মানুষ বিভিন্ন ধরনের সরল চিহসমূহ ব্যবহারের মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করত। মানুষ তাদের মনের ভাষা প্রকাশ করার জন্য পাহাড়ের গুহা, পশুর চামড়া ইত্যাদিতে ছবি আঁকতাে। চিত্রের মাধ্যমে সহজেই কাজের ধরন বােঝা যায়।
উপযুক্ত পদ্ধতিগুলাে অবলম্বনের মাধ্যমেই চিত্রের সাহায্যে মানুষ মনের ভাব প্রকাশ করত। আদিকাল থেকেই মানুষ জীবনটাকে আরও উন্নত, আরামদায়ক ও ঝুকিহীন করার কথা ভাবছে। এভাবে ভাবতে ভাবতে মানুষ। আবিষ্কার করছে নানাকিছু। এক দেশের মানুষ যা আবিষ্কার করত। আরেক দেশের মানুষ বা বহুকাল পরের মানুষ তা জানতে পারত না। এ নিয়ে প্রাচীনকালে খুবই সমস্যা হতাে। এছাড়াও এ যুগের মানুষ। কিছু আবিষ্কার করলে অন্য যুগের মানুষের তা জানার কোনাে উপায় ছিলাে না। এসকল সমস্যাবলি দুর করার জন্য আবিষ্কৃত হয়েছে লিখন। পদ্ধতি। লিখন পদ্ধতি ছাড়া এসব আবিষ্কারের কথা জানার উপায় ছিলাে না। লিখন পদ্ধতি আবিষ্কৃত বিষয়গুলােকে খুব সহজেই সংরক্ষণ করে দীর্ঘদিন ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে। আবার যেকোনাে কিছু আবিষ্কারের কথা তাৎক্ষণিক মনে আসলে তা লিখে রাখা যায়। যার ফলে আমাদের মেধা সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়। লিখন পদ্ধতির ফলে বিজ্ঞানের আবিষ্কার, প্রাচীন জীবনযাপনের কথা, সভ্যতার কথা, সময়ের অপচয় রােধ করা সম্ভব হয়েছে। তাই বলা যায়, লিখন | ইতিহাস, বিভিন্ন দেশ ও জাতির কথা সহজেই সংরক্ষণ করা যায় এবং পদ্ধতি আবিষ্কারের ফলে মানুষের মেধাশ্রম রক্ষা পেয়েছে।

Related Posts