Microsoft laptop 4 core i7 এই ল্যাপটপ মডেলটি এখন অধিকাংশ ল্যাপটপ ইউজারদের পছন্দের শীর্ষ স্থানে নিজের জায়গা করে নিয়েছে। ২০২১ রিলিজ হওয়া মাইক্রোসফটের এই মডেলটি বাজার কাপাচ্ছে সেই তখন থেকে, এতে দেওয়া দুর্দান্ত স্পেসিফিকেশন যা এই রেঞ্জে থাকা অন্যান্য ল্যাপটপের সাথে তুলনা করলে বুঝে যাবে কেন এই ল্যাপটপটি এতো বিশেষ। এই ল্যাপটপটির ওজন কম বা লাইটওয়েট হওয়াই যে কোন জায়গায় খুব সহজেই বহন করা যায়।
বিশেষ করে অফিস বা ভার্সিটির ক্ষেত্রে এটি একটি ভালো সমাধান। প্রশ্ন আসতে পারে কি এমন বিশেষ স্পেক এতে দেওয়া আছে যার কারনে ল্যাপটপ ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায় এটি জায়গা করে নেয়। প্রথমে সংক্ষপে এর উত্তরটি দেওয়া যাক। এই ল্যাপটপটি রিলিজ হওয়ার পর থেকেই বাজারে ভালো একটা অবস্থান করে নিয়েছে। এ
র পিছনে প্রধান কারন এর স্পেসিফিকেশন যা এই প্রাইস রেঞ্জ এ খুবই অসাধারন এবং গ্রহনযোগ্যও বটে। এতে দেওয়া বিশেষ একটি ফিচার হলো Ambient light sensor যা এই রেঞ্জ এ থাকা প্রায় অনেক ল্যাপটপই নেই। এছাড়াও এতে রয়েছে core i7 এর শক্তিশালি একটি প্রসেসর যার কম্বিনেশন করা হয়েছে Integrated Intel Iris Xe Graphics এর সাথে যেটি খুব ভালো একটি কম্বিনেশন।
এছাড়াও এই ল্যাপটপটি স্পেক এ পরিপূর্ণ । চলুন দেখে নেওয়া যাক বিশেষ কি বৈশিষ্ট্য রয়েছে এই ল্যাপটপটির মধ্যে এবং কেন এই ল্যাপটপটির এতো চাহিদা বর্তমান বাজারে। এছাড়াও মাইক্সোসফটের অন্যান্য মডেল এর দাম সম্পর্কে জানতে এখানে ভিজিট করতে পারেন microsoft surface price in bangladesh
প্রসেসর
প্রসেসর হিসেবে Microsoft laptop 4 ব্যবহার করা হয়েছে Intel Core i7-1185G7 এর প্রসেসর। যার বেস ফ্রিকোয়েন্সি 3.00 GHz যা সর্বচ্চো 4.80 GHz পর্যন্ত যেটি সতিই খুব দুর্দান্ত এবং শক্তিশালি প্রসেসরও বটে । তবে Microsoft laptop 4 এ প্রতিটিটা ভেরিয়েন্টে আলাদা আলাদা প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে।
এতো ভেরিয়েন্ট হওয়াই অনেকেই কনফিউশনে পড়ে যায় কোনটা কোন ভেরিয়েন্ট তাই এই ল্যাপটপ মডেলটির ভেরিয়েন্ট চিহ্নিত করতে মডেল নামের শেষে প্রসেসর এর নাম যুক্ত করা হয় যার ফলে খুব সহজেই ভেরিয়েন্ট গুলি চিহ্নিত করা যায়। ইন্টেল এর Core i7 এই প্রসেসরটি নিয়ে নতুন করে বলার কিছু বহু সময় ধরে এই প্রসেসরটি একচেটিয়া রাজ করে আসতেছে এর দুর্দান্ত পারর্ফমেন্স এর মাধ্যমে।
ব্রাউজিং থেকে শুরু মোটামুটি হেভি গেমিং পর্যন্ত সবকিছুই এই প্রসেসরটিতে অনায়েশে করা যাবে। যারা হেভি ইউজিং এবং মোটামুটি একটু ভালো গেমিং পারর্ফমেন্স তাদের জন্য এই প্রসেসরটি হতে পারে অসাধারন একটা পছন্দ।
গ্রফিক্স
Core i7 প্রসেসর এর সাথে এটিকে আরও আকষর্ণীয় করে তুলতে এতে ব্যবহার করা হয়েছে Integrated Intel Iris Xe Graphics যা আসলেই একটি অসাধারন কম্বিনেশন বলতে হয়। এই গ্রাফিক্সটি তৈরি করা হয়েছে ভালো গেমিং এবং হাই ইউজিং এর উপর ভিত্তি করে। এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে Intel Iris Xe প্রসেসরটি Radeon Ryzen 7 4300u এর অধিক বেঞ্চ মার্ক স্কোর করেছে।
যা চমকে দেওয়ার মতো একটি খবর এবং এটির মাধ্যমে আমরা এটাও ধারনা করতে পারি এই গ্রফিক্সটি কতটা শক্তিশালি এবং কি পরিমান পারর্ফমেন্স দিতে সক্ষম।
ডিসপ্লে
ডিসপ্লে হিসেবে এতে ব্যবহার করা হয়েছে ১৩.৫ ইঞ্চির একটি PixelSense Display যার রেজুলেশন (2256 x 1504) এবং অ্যাসপেক্ট রেটিও ৩:২ এছাড়াও এতে রয়েছে সারফেস পেন ব্যবহারের সার্পোট এবং ১০ পয়েন্ট মাল্টি টার্চ সিস্টেম। যা এই রেঞ্জে থাকা অনেক ডিসপ্লে থেকে অনেক ভালো বলা যায়।
তবে এর ডিসপ্লে সাইজটা একটু ছোট হওয়ার কারনে গেমিং যা স্টিমিং এ একটু ভোগতে হতে পারে। তবে যারা ছোট ডিসপ্লে ব্যবহার করে অব্যস্ত তাদের জন্য এটি এক কথায় অসাধারণ।
অন্যান্য
এই ল্যাপটপটির সাথে স্টোরেজ হিসেবে থাকছে 512 GB SSD যা 1 TB পর্যন্ত আপগ্রেড করা যাবে এবং এতে র্যাম ব্যবহার করা হয়েছে 16GB LPDDR4x এর র্যাম যা অতি পরিচিতি একটি মিশ্রন এছাড়া এতে রয়েছে 47.4 Wh এর একটি বিশাল ব্যাটারি যেটিকে Long Life Battery বলে উল্লেখ করা হয়।
শুধু তাই নয় এতে আরো রয়েছে Dual far-field Studio Mics যেটি খুব দুর্দান্ত একটি অডিও সিস্টেম এবং এই ল্যাপটপটির ওজন রয়েছে 1.5 kg যা ক্যারি বা বহন করার জন্য অসাধারন এবং এই ল্যাপটটির সাথে রয়েছে ১ বছরের ওয়ারেন্টি।
আমারা মতামত
সকল দিক বিবেচনা করে এককথায় বলা যায় এই প্রাইস রেঞ্জে এর থেকে ভালো কনফিগারেশন এবং দাম খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন। যদি আমার ব্যাক্তিগত মতামত জানতে চান এই ল্যাপটপটি সম্পর্কে তবে আমি বলবো এই রেঞ্জে এইটিই সবথেকে সেরা হবে।
তবে একটা জায়গায় অনেকের সমস্যা হতে পারে তাহলো এর ডিসপ্লে সেকশনে যারা একটু বড় ডিসপ্লে পছন্দ করে বা ব্যবহার করে অব্যস্ত তাদের জন্য এই ডিসপ্লেটা একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে। তবে ডিসপ্লে যদি তেমন কোন ফেক্ট না হয় আপনার কাছে তবে এই রেঞ্জে এর বিকল্প আর কোনোটি হবে না। আপনাদের মতামত আমাকে জানাবেন। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ