বাঙালি মেয়েদের জনপ্রিয় পোশাক হল শাড়ি। সেই প্রাচীনকাল থেকেই মেয়েরা শাড়ি পড়ে আসছে। শাড়ি পরলে মেয়েদের কে খুব সুন্দর দেখায়। বাংলাদেশের খুব কম পুরুষ আসেন যারা শাড়ি পছন্দ করেন না। তাইতো শাড়ি নিয়ে রচিত হয়েছে বিভিন্ন গান,কবিতা,গল্প।
বাল্যকাল পেরিয়ে যৌবন,যৌবনের আরেক ধাপ পেরিয়ে বিয়ের মাধ্যমে নতুন জীবন শুরু হয়। গাঁয়ে লাল বেনারসি শাড়ি পরে নতুন যাত্রা শুরু করে একটি নারী। কবি সুবোধ সরকার তার কবিতায় লিখেছেন,
‘বিয়েতে একান্নটা শাড়ি পেয়েছিল মেয়েটা/অষ্টমঙ্গলায় ফিরে এসে আরো ছটা/এত শাড়ি একসঙ্গে সে জীবনে দেখেনি/আলমারি প্রথম তাকে সে রাখলো সব নীল শাড়ি/হালকা নীল একটা কে জরিয়ে ধরে বল্লো, তুই আমার আকাশ/ দ্বিতীয় তাকে রাখলো সব গোলাপি শাড়ি।
বাংলাদেশের জনপ্রিয় কবি শামসুর রহমান কবিতায় উঠে এসেছে শাড়ি নিয়ে মুগ্ধকর বাক্য। মেয়েদের শাড়ি পোশাকটাই আসলেই বৈচিত্র্যময়। অন্য পোশাক বাদে একটা মেয়েকে শাড়ি পড়লে অন্য পোশাকের তুলনায় বেশি সুন্দর লাগে।
শাড়ি হল নারীর সৌন্দর্যের প্রতীক, নারীর প্রতিচ্ছবি। শাড়ি বাঙালি মেয়েদের জন্য ঐতিহ্য এবং গৌরবের। পরিশেষে হুমায়ূন আহমেদের একটি উক্তি দিয়ে শেষ করি,
মাঝে মাঝে শাড়ি পরা ভালো। শাড়ির যে কোন তাড়াশে পৃথিবীর অন্য কোন পোশাকে সেই ক্ষমতা নেই। সরি একটা মেয়ের পার্সোনালিটি বদলে দিতে পারে।
- হুমায়ূন আহমেদ।