আসসালামু আলাইকুম গ্রাথোর পরিবার। সবাই নিশ্চয় অনেক ভালো আছো। আজ আমি তোমাদের কাছে একটি স্বাস্থ্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। এ বিষয়টি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ছোট বড় সবাই এই সমস্যার সম্মুখীন হই আমরা। তাই এটার থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় নিয়ে তোমাদেরকে কিছু টিপস দিব। আমি তোমাদের অনেক কাজে আসবে। চলো দেখি বিষয়টা কি?
বিষয়টা হচ্ছে কৃমি। বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের খুব সমস্যা হয় এটা নিয়ে। তাই এই বিষয়ে তোমাদেরকে কিছু ঘরোয়া প্রাকৃতিক জিনিস দিয়ে কিভাবে সমস্যা সমাধান করা যায় ,টসে বিষয়ে টিপস দিতে এসেছি।👇👇👇
টিপস নাম্বার -১-বাচ্চাদের যদি খালি পেটে নারিকেল দিয়ে চিনি মিক্স করে খাওয়ানো হয়, তাহলে কৃমির সমস্যা চলে যায়।
টিপস নাম্বার-২-খালি পেটে সকালে আনারস খাওয়ালে কৃমি সমস্যা সমাধান হয়। আনারস কৃমিনাশক ওষুধের কাজ করে।
টিপস নাম্বার-৩-কালো তুলসী পাতা নিয়ে এক গ্লাস পানিতে সিদ্ধ করে, সিদ্ধ পানি গুলো রাতে শোয়ার সময় খেয়ে ফেললে, সকালে উঠে দেখবে কৃমির সমস্যা সমাধান হয়ে গেছে। তবে এক গ্লাস পানি কে সিদ্ধ করে আধা গ্লাস করতে হবে তুলসী পাতা সহ।
টিপস নাম্বার-৪-আখের গুড়ের সাথে জোয়ান মিশিয়ে ছোট ছোট বরি করে নিয়ে ,সেগুলো প্রতিদিন খালি পেটে খেলে কৃমির সমস্যা সমাধান হয়ে যায়। এটা কয়েক দিন খেলে সমস্যার সমাধান হবে।
বন্ধুরা এই টিপসগুলো তোমরা ব্যবহার করে দেখতে পারো। আশাকরি ভাল ফলাফল পাবে। বাচ্চাদের কৃমির সমস্যা নিয়ে কখনো অবহেলা করবে না। কারণ এটি একটি বড় সমস্যা। কৃমি হলে বাচ্চারা অপুষ্টিতে ভোগে। আরো অনেক রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। কৃমির কারণে বাচ্চারা ঠিকমতো বড় হতে পারে না। তাই প্রাকৃতিক উপায় এ খাওয়াতে পারবে না, অবশ্যই প্রতি তিন মাস বা ছয় মাস পরপর বাচ্চাদেরকে কৃমির ওষুধ খাওয়াবে। শুধুমাত্র বাচ্চারা না বড়দের ও এ সমস্যা হয়। বন্ধুরা আরেকটি কথা, যখনই তোমরা কৃমির ওষুধ খাবে, এখন ঘরের যতজন সদস্য আছে সবাই খেতে হবে একসাথে। তা না হলে কাজ হবে না।