করোনাভাইরাস হতে সুস্হ হতে কতদিন লাগে?

আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই?আশাকরি ভালো আছেন।করোনাভাইরাস নিয়ে অনেক তথ্যই তো দেখলেন,শুনলেন।আজকে আমি আপনাদের জানাব এই ভাইরাস থেকে সুস্হ হতে কত সময় লাগতে পারে।

কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত পুরো বিশ্ব।একের পর এক দেশ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পরাস্ত হয়েছে।য়ার ফলে মানুষ এখন লকডাউন ককরে ঘরে ববসে থাকতে ববাধ্য হয়েছে।এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্ত ২৯ লাখের বেশি মানুষ,২ লাখেরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছে।তবে সুস্হ মানুষের সংখ্যাও কম নয়,আট লাখেরও বেশি মানুষ এই রোগ থেকে আরোগ্য লাভ করেছেন।যেসব ডাক্তার করোনারোগীর চিকিৎসা করিয়েছেন,তারা মৃত্যুর পাশাপাশি সুস্হ হতে দেখেছেন।চলুন তাদের অবলম্বনে বয়সভেদে এই রোগ থেকে যেভাবে সুস্হ হওয়া যায় তা জেনে নিই-

১।উপসর্গ মৃদু হলে:কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির প্রথম ৪-৫ দিন শুকনো কাশি হতে পারে,জ্বরও হতে পারে।আবার অনেকের ক্লান্তি,গলাব্যাথা,মাথাব্যাথা ইত্যাদি দেখা দেয়।এই সময় অনেকে শ্বাসতন্ত্রে ভাইরাস আঘাত হানে,ফলে শুকনো কাশির সাথে শ্বাসতন্ত্রের মরা কোষও বেরিয়ে আসতে পারে।বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের মতে এই ধরনের উপসর্গ থাকলে রোগীকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম,পানি পান,তরল খাবার খেতে বলা হয়।ঔষুধ হিসেবে প্যারাসিটামল দেওয়া হয়।ফলে এই চিকিৎসা কাজে লাগলে ১ সপ্তাহের মধ্যে জ্বর সেরে সুস্থ হয়ে যায়,তবে শুকনো কাশি থেকে কফ হয়ে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত থাকতে পারে।বিশ্ব স্বাস্হ্য সংস্হার তথ্যমতে,করোনায় মৃদু উপসর্গের রোগী দুই সপ্তাহ নাগাদ সুস্হ হতে পারে।মৃদু উপসর্গের রোগীরা বেশিরভাগই পরবর্তীতে সুস্হ হন।
২।উপসর্গ গুরুতর হলে:
উপসর্গ গুরুতর হলে এবং উপরোক্ত বর্ণিত চিকিৎসা কাজে না লাগলে ৭-১০ দিনের মধ্যে শ্বাসতন্ত্রে জটিলতা দেখা দিতে পারে।ফলে শ্বাসতন্ত্রে পানি জমতে পারে।তাই এ সময় রোগীর ফুসফুসে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ করা হয় যাতে শ্বাস নিতে কস্ট না হয়।তারপর অাইসিইউ ইউনিটের চিকিৎসাগুলো দেয়া হয়।তবে এক্ষেত্রে মাত্র ১০-২০% কেসে রোগী বাঁচতে পারে না হয় মৃত্যু সুনিশ্চিত।
যারা বাঁচে তাদেরকে ধকল কাটিয়ে সুস্হ হতে দুই থেকে আট সপ্তাহ সময় লাগে।
বিশ্ব স্বাস্হ্য সংস্হা গবেষণালব্দ তথ্যমতে,প্রতি ২০ জনে ১ জন করোনারোগী আইসিইউতে যায়।
সুতরাং বিশেষজ্ঞদের তথ্য বিশ্লেসণ করলে আমরা এটা বুঝতে পারি, মৃদু উপসর্গে করোনা রোগী বেশি সুস্হ হয়ে যায়।

আমার পোস্টটি ভালো লাগলে বেশি বেশি শেয়ার করবেন।ধন্যবাদ।

Related Posts

20 Comments

মন্তব্য করুন