শিশুরা শীতেই নিউমোনিয়া রোগে বেশী আক্রান্ত হয়ে থাকে

শিশু জন্ম হবার পর সারাদিনই শিশুকে যত্ন করে রাখতে হয়। শিশুর শরীরের গঠনে পুষ্টিকর খাবার ও ভিটামিনের বিশেষ প্রয়োজন হয়ে থাকে। এছাড়াও শিশু জন্ম হবার পর বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। শীতকালেই শিশুদের বিভিন্ন রোগে অক্রান্ত হতে দেখা গেছে। শীতে শিশুরা নিউমোনিয়া রোগে বেশী আক্রান্ত হয়ে থাকে। বাংলাদেশ সরকারের মেডিক্যাল বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী প্রতিবছর শীতে হাসপাতালে শিশুরা নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছেন।

শিশুদের নিউমোনিয়া রোগের অন্যতম লক্ষণ হচ্ছে কাশি ও স্বাসকষ্ট। চিকিৎসকরা বলেছেন যে শিশুদের নিউমোনিয়া অতিরিক্ত বেড়ে গেলে শিশুরা মারাত্বক ঝুকিতে পড়তে পারে। এছাড়াও শীতে শিশুরা জ্বর, সর্দি, ঠান্ডা ও অ্যাজমা রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। এ সকল রোগের অন্যতম কারণ হচ্ছে পুষ্টিহীনতা, ভিটিামিন ও মিনারেলের ঘাটতি। শিশুদের ভেতর পুষ্টিহীনতার প্রবনতা থেকেই নিউমোনিয়া রোগের বিস্তার ঘটে থাকে। শিশুদের অভিভাবকরা কিছু সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহন করলে নিউমোনিয়া থেকে খুব সহজেই রক্ষা পাওয়া যায়।

শিশুদের নিউমোনিয়া হলে যেসকল বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত:

  • শিশুর যত্নে প্রতিদিনই শিশুকে হাত বারবার ধুয়ে রাখতে হবে
  • শিশুদের খাবার তৈরী করার সময় অবশ্যই শিশুদের ডায়াপার পরিবর্তন করে ফেলতে হবে এবং শিশুদের নাকে সর্দি মোছার হাত পরিষ্কার রাখতে হবে
  • নিউমোনিয়া হলে শিশুকে শেখাতে হবে যে সে যেন নাখ ও চোখে হাত না দেয়। শিশুরা চোখ ও নাকে হাত না দিলে নিউমোনিয়ার থেকে দ্রুত সুস্থ হতে পারবে
  • নিউমোনিয়া হলে শিশুর জ্বর, বমি, ডায়েরিয়া ও চোখে সংক্রমন হয়ে থাকে এবং এমন অবস্থায় শিশুকে অন্যান্য শিশু থেকে দূরে রাখাই ভালো হবে
  • নিউমোনিয়া অবস্থায় শিশু যখন অসুস্থ থাকবে তখন শিশুকে মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে এবং প্রতিদিনই পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে হবে
  • নিউমোনিয়া অবস্থায় শিশুদের সর্দি ও কাশি হলে নির্দিষ্ট রুমাল ও টিস্যু পেপার ব্যবহার করতে হবে
  • নিউমোনিয়ার লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই শিশুর যেন ঠান্ডা না লাগে এই বিষয়ে অভিভাবকদের সতর্ক থাকতে হবে
  • নিউমোনিয়ার লক্ষণ দেখা দিলে শিশুদের ধুলা বালি থেকে দূরে রাখতে হবে

নিউমোনিয়া হলে শিশুর চিকিৎসা:

নিউমোনিয়ার লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই শিশুকে সতর্কভাবে যত্ন করতে হবে। নিউমোনিয়ার লক্ষণ দেখা দিলে শিশুকে অবশ্যই হাসপাতালে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী যত্ন করতে হবে এবং নিউমোনিয়া প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে চিকিৎসার মাধ্যমে ১৫ দিনের ভেতরই শিশু সুস্থ হয়ে যায়। নিউমোনিয়ার সাথে শিশুর ভাইরাসজনিত জ্বর হতে পারে এবং সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে এই ভাইরাস জনিত জ্ব ২ থেকে ৩ দিনের ভেতর ঠিক হয়ে যায়।

শিশু জন্ম হবার পর প্রয়োজনীয় টিকা যেগুলো আছে সবকটি টিকাই শিশুকে গ্রহন করতে হবে। টিকার মাধ্যমে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। টিকার সাথে সাথে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল শিশুকে খাওয়াতে হবে। এছাড়াও সবসময় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে।

সূত্র: বাংলানিউজ২৪.কম

Related Posts