শুধু হরলিক্স খেলেই বুদ্ধি বাড়েনা, ধোঁকা খেলেও বাড়ে। বেশি বেশি ধোঁকা খাও আর বুদ্ধি বাড়াও।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ
প্রিয় পাঠক, কেমন আছেন সবাই? আশা করি অনেক অনেক ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি, আলহামদুলিল্লাহ।

জীবনে চলার পথে আমরা বার বার ধোঁকা খেয়েছি, হোঁচট খেয়েছি। শুধু তাই নয় ধোঁকা আর হোঁচট খেতে খেতে অপরিপক্ক থেকে পরিপক্ক হয়েছি বারবার। তবু জীবনকে আমরা থমকে যেতে দেইনি। হয়তো শুধু হেরে গিয়েছি। হেরে গিয়েও উঠে দাঁড়িয়েছি বারবার।

একটি টেলিভিশন এডে দেখেছি, বিজ্ঞাপন চলছে ” হরলিক্স খেলে বুদ্ধি বাড়ে। ব্রেন ডেভেলপমেন্ট হয়”। হয়তো হয়, নয়তো হয় না। কিন্তু চলমান জীবনে বিষয় অবশ্যই খেয়াল করে দেখবেন, প্রতিনিয়ত নানা ধরনের মানুষের সাথে আমরা চলছি। কাজে অকাজে, ইচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায়। চলতে চলতে এরই মাঝে বিভিন্ন মানুষের সাথে বিভিন্ন ধরনের কাজ কর্মেও লিপ্ত হতে হয়। সরল বিশ্বাসেও চলে সবার সাথে লেনাদেনা।

এই লেনাদেনা করার মানুষগুলো কখনো কখনো ভালোও হয়না। তাদের মনে থাকে কুটনামি আর মুখে থাকে ফুলঝুরি। এ মানুষগুলোই সহজ সরল মানুষগুলোকে সরলতার সুযোগ নিয়ে ধোঁকা দিয়ে থাকে। তখন ধোঁকা খাওয়া মানুষগুলোর আর কিছুই করার থাকেনা। শুধু নিরবে আর নিবৃত্তে কান্না করা ছাড়া। তখন হয়তোবা ধোঁকা খাওয়া মানুষটির মনে আফসোস জাগে ইস! যদি তাকে বিশ্বাস না করতাম। তাহলে হয়তো সে আমার সাথে ধোঁকাবাজি করার সুযোগ পেত না।

আফসোস করতে মনে মনে নিজেকে স্বান্তনা দেয় এই বলে যে এমন ভুল আর জীবনেও করবো না। চুর পালালে বুদ্ধি বাড়ার মতো। সেও তখন বুদ্ধিমান হয়ে যায়। কথায় আছে, শিখছো কোথায়? উত্তরটি হলো, ঠেকছি যেখানে শিখছি সেখানে।

তবুও সবকিছু হারিয়ে বুদ্ধিমান হওয়ার চেয়ে বুদ্ধিমান হয়ে সবকিছুকে হারিয়ে দেবার জন্য আমাদের জন্ম হয়েছে। কারন, আমরা মানুষ। সৃষ্টির সেরা জীব আমরা। তবুও মুখোসদারি কিছু মানুষরুপি শয়তানের কাছে আমাদের হেরে যেতে হয়। যদিও এই হেরে যাওয়াটা কারও কাম্য নয়।

মানুষ হিসেবে আমাদের উচিত হরলিক্স খেয়ে ময়, ধোঁকা খেয়েও নয়, মানুষ হিসেবে আগে থেকেই বুদ্ধি খাটিয়ে বুদ্ধিমান হওয়া উচিত। আল্লাহ আমাদের সবাইকে ধোঁকাবাজ, ঠকবাজ, প্রতারক, খারাপ মানুষ ও শয়তানের হাত থেকে হেফাজত করুন। আমিন।

Related Posts