সূর্য গ্রহনের সময় কি করা যাবে আর কি করা যাবে না (আসুন বিজ্ঞান ও ধর্ম কি বলে জেনে নেই)

আসসালামু আলাইকুম

আজকে আমরা জানব সূর্য গ্রহনের সময় কি করা যাবে আর কি করা যাবে না ।এসময় হযরত সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াহ সাল্লাম কি করতেন ।আমাদের সমাজে অনেক কুসংস্কার রয়েছে এনিয়ে। তা সত্যি কিনা তাই যাচাই করব আজকে পোস্টে। তো চলুন শুরু করি


সূর্যগ্রহণের সময় খাওয়া যাবে কিনা

এটি আমার সমাজে প্রচলিত একটি কুসংস্কার আমরা মনে করে থাকি ।কিন্তু এটি কুসংস্কার হলেও আংশিক সত্য কেননা বিজ্ঞান বলেছে সূর্য গ্রহনের সময় সূর্য থেকে অতিবেগুনি রশ্মি একটু বেশি পরিমাণে নির্গত হয় যা আমাদের বায়ুমন্ডলের ওজোন স্তর সম্পূর্ণ প্রতিফলিত করতে পারে না ফলে অতিবেগুনি রশ্মি পৃথিবীতে প্রতিসরিত হয় ।অতিবেগুনি রশ্মি কোন খাদ্যের উপর কিংবা কোনো মানুষের উপর পড়লে শুধু খাদ্যের নয় মানুষের জীবন্ত কোষের ক্ষতি করতে পারে ।তাই এ সময় বাইরের কোনো কিছু খাওয়া কিংবা বাইরে দাঁড়ানো উচিত নয়।


সূর্যগ্রহণ চোখ দিয়ে দেখার ঠিক হবে কি

এই প্রশ্নের উত্তর একেবারেই না কারণ নাসার বিজ্ঞানীরা বলেছেন সূর্য গ্রহণ চোখ দিয়ে দেখা যাবে না দেখলে চোখের দৃষ্টিশক্তি সমস্যা হবে ।এমনকি এটি সানগ্লাস দিও দেখা যাবে না তাই এটা না দেখাই আমাদের জন্য শ্রেয় হবে ।


সূর্য গ্রহনের সময় হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম কি করতেন

যখন সূর্য গ্রহণ হত তখন হযরত সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম সবাইকে নিয়ে জামাতে নামাজ পড়তে শুরু করতেন এবং আল্লাহর কাছে ভয়ে পা ভয়ে মাপ চেতেন বিজ্ঞানীরা যখন এটি শুনে তখন তারা উপহাস করতে থাকে নাউযুবিল্লাহ তারা বলে সূর্য গ্রহন মানে চন্দ্র সূর্য ও পৃথিবীর এক সরলরেখায় অবস্থান এতে ভয় পাওয়ার কি আছে কিন্তু মজার ব্যাপার হলো কয়েক দশক পরে তারা আবিস্কার করে যে যখন সূর্য ও পৃথিবী এক সরলরেখায় থাকে তখন মহাকর্ষ বল অনেকগুণ বেড়ে যায় ত্রিশক্তি নামে পরিচিত যার ফলে গ্যালাক্সিতে অবস্থিত বড় বড় পাথর পৃথিবীতে এসে পৃথিবীকে ধ্বংস করতে পারে তখন তারা বুঝতে পারে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম কেন এই সময় নামাজ পড়তেন এবং ভয় পেতেন।

আশাকরি সূর্যগ্রহণ সম্পর্কে আপনাদের সব ধারণা পরিষ্কার হয়েছে কোন প্রশ্ন থাকলে তা কমেন্ট করতে পারেন ।আর পোস্টটি শেয়ার করে আপনার সকল বন্ধু বান্ধবদের আত্মীয়-স্বজনদের জানিয়ে দেবেন ।

ধন্যবাদ

Related Posts