সোনার চামুচ মুখে নিয়ে সবাই জন্মায় নাই,আর যে জন্মায় সে খুব ভাগ্যবান হয়।

কেউ কেউ সোনার চামুচ মুখ নিয়ে জন্ম গ্রহণ করে।কিন্তু তার আজনা থাকে,তবে তার আশেপাশের মানুষ গুলো ঠিকই জানে।কি কারণে সে সোনার চামুচ মুখে নিয়ে জন্ম গ্রহণ করে।তো আজ আমি আপনাদের জন্য একটি গল্প লিখবো,সোনার চামুচ।
কোনো এক ধনী নগরে জন্ম গ্রহণ করে,এক শিশু।যার বাবা-মা টাকার জন্য সব কিছু করতে রাজি ছিল।কিন্তু সে টাকা তারা ভোগ করতে পারেনি।এক খুনি তাদের কে মেরে ফেলে। তার বাচ্চার নামে ১০ কোটি টাকা লিখে রাখা হয়েছে।কিন্তু বাচ্চা জানে না।তবে হঠাৎ করেই বাচ্চা টা নিখোঁজ। সেই ধনী লোকের ফ্রেন্ড শুধু জানতো তার ছেলের নামে ১০ কোটি টাকা লিখে রাখা হয়েছে।তাই তাকে খোঁজার জন্য বাসায় যায়।কিন্তু তাকে খোঁজে পাওয়া যায় না।
তাই সে পত্রিকায় সেই বাচ্চার ছবি দিয়ে বিজ্ঞাপন ছেড়ে দেয়।কিন্তু বাচ্চাটার খোঁজ কেউ দিতে পারেনা।অবশেষে, সে হতাশ হয়ে যায়।তাই সে আশা ছেড়ে দেয়। কিন্তু হঠাৎ একটা ভিখারি হাতে বাচ্চাটা দেখতে পারে।আর সেই ভিখারির কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করে কিভাবে বাচ্চাটা পেলো?সে বললো,আমি একদিন এক বাসার নিচে ভিক্ষা করতে যায়,সেখানে গিয়ে দেখি বাচ্চা টা কাঁদছে। তাই সে কোলে নিয়ে,লালন-পালন করে।আর এখন তার বয়স ৮ বছর।ভিখারির কাছে বাচ্চাটা কে নিতে চাইলে, বাচ্চা দিতে চায়না।তাই ভিখারিকে ১ লাখ টাকা দিয়ে বাচ্চা কে নিয়ে আসে।কিন্তু সমস্যা হলো ব্যাংকে গিয়ে।ব্যাংকে গিয়ে বাচ্চার নামের টাকা গুলো তুলতে চাই,কিন্তু ব্যাংক ম্যনাজার বলেন,এই বাচ্চার নামে একটা একাউন্ট আছে,তার নামের টাকা গুলো তুলতে চায়।কিন্তু ব্যাংক ম্যানেজার বলেন,তার বয়স ১৮ হওয়ার আগে কোনো টাকা সে তুলতে পারবেন না।তবে তার প্রয়োজন মাফিক টাকা তুলতে পারবে।তাই আপনি তার জন্য ১ লাখ টাকা পর্যন্ত টাকা তুলতে পারবেন।তবে বাচ্চাটির ১০ বছর হলে আপনি তার জন্য ১ লাখ টাকা তুলতে পারবেন।তাই সেই লোক বাচ্চাটিকে নিয়ে বাসায় চলে আসে।বাচ্চাটি কে নিয়ে কয়েক দিন লালন-পালন করার পর বাচ্চা টি হঠাৎ উদাও হয়ে যায়।অনেক খোঁজার পরও বাচ্চাটিকে সে আর খোঁজে পেলো না।তাই সে আবার হতাশ হলো।ঐ বাচ্চাটিকে কোনো এক সূত্রে তার দাদা-দাদি নিয়ে এসে লালান-পালন করেন।আস্তে আস্তে বড় হয়।সে ছেলেটি চাকরির জন্য তার বাবার ফ্রেন্ডের কাছে যায়।তবে তার বাবার বন্ধু তাকে চিনলেও ছেলেটি তাকে চিনে না।তখন তারা একে ওপরে পরিচিত হয়,আর তাকে জিজ্ঞেস করে তুমার নামের ব্যাংক একাউন্ট থেকে কি টাকা তুলছো,সে না করে।তাই তাকে আটকে রাখে।আর তার দাদা-দাদিকে খোঁজে দেয়।কিন্তু তার দাদা-দাদি বলে তার নামের সব টাকা তুলে ফেলছি।তাই ভিলেন তার টাকার হাতিয়ার পেয়েও সে তার সাধনার টাকা ফেরত পেল না।তারপর সেখান থেকে সে এসে ব্যাংকে যায় এবং টাকা তুলে ব্যবসা শুরু করে।আর তার জীবন খুব ভালো মতো কারাতে থাকে।কি ভাবছেন,সে টাকা আবার ব্যাংক থেকে তুলে নিয়ে আসলো,কারণ তার দাদা-দাদি মিথ্যা বলেছিল।

Related Posts

18 Comments

মন্তব্য করুন