একটি মানসিক রোগ , আমার সবচেয়ে কৌতুহলের বিষয় । বলা হয়, স্কিতজোফ্রেনিয়া প্রচন্ড একটি মানসিক ব্যাধি।মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যার এ মানসিক রোগকে ক্যান্সার এর সাথে তুলনা করেছেন। আমার কৌতুহল রোগটি নিয়ে নয়, বরং রোগীকে নিয়ে! আমার একটি অদ্ভুত ইচ্ছা হলো স্কিতজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত একটি রোগীকে সামনাসামনি দেখা।যাই হোক আপাতত সেই ইচ্ছা না পূরণ হলেও অনেকের কাছ থেকে শুনেছি এ রোগে আক্রান্ত মানুষ কেমন আচরণ করে..
স্কিতজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত রোগী এমন এক অবস্থায় থাকে যে অবস্থায় সে বাস্তবতা আর কাল্পনিক জিনিস গুলিয়ে ফেলে। বলা যায় তারা বাস্তব দুনিয়ায় থাকে না। অনেক সময় তারা এমন কিছুর সাথে কথা বলে যা আমাদের দুনিয়ায় না থাকলেও তাদের জন্য সেটাই হয়তো দুনিয়া…আমার আগ্রহ এই জায়গায় যে তারা কি দেখে, কি শুনে,বা কেমন আচরণ করে, তাদের কেন ই বা এমন হলো!!
দুঃখজনক হলেও এখনো এ রোগের কারণ তেমন জানা যায় নি। এ রোগে আক্রান্তরা হ্যালুসিনেশন,অবাস্তব বন্ধু এসব লক্ষ্মণ প্রকাশ করে থাকে। হয়তো এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আগে রোগী খুব একা ছিলো, বা বন্ধুত্বে ধোকা খেয়েছে, বা মা /বাবা কে হারানোর শোকে আরও কত কি …
পৃথিবীতে ৫১ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ এ রোগে আক্রান্ত (১ মিলিয়ন =১০লাখ)। ভাবা যায়! শারীরিক অসুস্থতার চেয়েও মানসিক অসুস্থতা বেশি ভয়ংকর। কেননা শারীরিক অসুস্থতা দৃশ্যমান হলেও মানসিক অসুস্থতা কাওকে বোঝানো সম্ভব না।
স্কিতজোফ্রেনিয়া পুরোপুরি নিরাময়যোগ্য না হলেও চিকিৎসা দিয়ে কিছুটা কমানো যায়।
একটি ঘটনা তুলে ধরি।
একজনের কাছ থেকে শুনা… একটি মেয়ে দীর্ঘদিন যাবত একাকিত্বে ভুগছে। তার বন্ধু / বান্ধবীরা তাকে কেনো জানি এড়িয়ে চলছে।সে একটু খুতখুতে স্বভাবের ছিলো বলে বন্ধুমহলে অনেকেই তাকে তেমন পাত্তা দিত না। শুধু তাই ই না সে সবার সাথে কেনো জানি প্রাণ খুলে কথা বলতে পারতো না৷ বিশ্বাস করতো না.. যে কারণে অনেকেই বিরক্ত হতো। কিছুদিন হলো তারই এক বান্ধুবী খেয়াল করলো মেয়েটি কলেজের বাথরুমে কার সাথে জানি কথা বলছে। কিন্তু আশেপাশে কেউ নেই। আবার তার পরিবার তার মধ্যে কিছু অসংগতি দেখতে পায়৷ যেমন একদম চুপচাপ হয়ে যাওয়া। আনমনে হাসা, এমন সব ছবি একেছে যা দেখতে ভয়ংকর। তাকে বুঝে উঠার আগেই সে সুইসাইড করে।
পরিশেষে বলতে চাই মানসিকভাবে সুস্থ থাকাটা সবচেয়ে বড় ব্যাপার। সবাইকে তাদের মতো করে বুঝতে চেষ্টা করি। কাওকে কষ্ট না দিই