আসসালামু আলাইকুম। আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আজকে আমার এই পোষ্টে বলবো কীভাবে স্ন্যাপসীড দিয়ে আকর্ষণীয় উপায়ে আপনারা ফটো ইডিট করতে পারেন বা স্ন্যাপসীড এর বিভিন্ন টুলসের ব্যাবহার।
গুগল কোম্পানির সত্যায়িত মোবাইল ফটো ইডিটিং সফটওয়্যার “স্ন্যাপসীড”। খুবই স্বল্প সময়ে আর সহজ উপায়ে এই সফটওয়্যার বা এপটির মাধ্যমে ফটো ইডিট করা সম্ভব। গুগল প্লে স্টোরে এপটি পেয়ে যাবেন। এপটিতে মোট ফটো এডিটিং টুল ২৮ টি। আমি অতি প্রয়োজনীয় কিছু টুলসের ব্যাবহার স্বমন্ধ্যে আপনাদের বলবো।
১. টিউন ইমেজ : স্ন্যাপসীডের প্রথম টুলই এটা। এর মাধ্যমে মুলত আপনি ফটো রিটাচ অথবা ইনহ্যান্স করতে পারবেন। যেমন: ফটোর আলো কিংবা ব্রাইটনেস বাড়ানো,কনট্রাস্ট বাড়ানো,স্যাচুরেসন বাড়ানো,এম্বিয়েন্স,হাইলাইট শ্যাডো বাড়ানো কমানো এবং টেম্পারেচার নিয়ন্ত্রন। এই টুলসটার মধ্যে ব্রাইটনেস,কন্ট্রাস্ট, স্যাচুরেসন,এম্বিয়েন্স বেশি প্রয়োজন হয় ফটো ইডিটিং।
২. এক্সপ্যান্ড : এই টুলসটির মাধ্যমে মুলত আপনি ফটোর চারদিকে আয়তন বাড়াতে পারবেন।
৩. সিলেক্টিভ : এই টুলসের মাধ্যমে মুলত আপনি যায়গা সিলেক্ট করে। সিলেক্টেড জায়গাটুকুর ব্রাইটনেস,কনট্রাস্ট,স্যচুরেশন,এবং স্ট্রাকচার নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন। এই টুলসটির মাধ্যমে আপনি আপনার ছবির স্কিনটোন ঠিক করতে পারবেন। এর জন্য আপনার স্কিনের ওপরে সিলেক্টিভ সার্কেলটা সেট করতে হবে তারপর সেন্টার সাইজ ঠিক করে ব্রাইটনেস বাড়িয়ে দিলেই আপনার স্কিন উজ্জ্বল হয়ে যাবে। ব্রাইটনেস ৫০-৫৫ রাখাই উত্তম।
৪. হিলিং : এর মাধ্যমে মুলত আপনি ব্রন কিংবা মেছতা ক্লিয়ার করতে পারবেন। আপনার ছবিটা জুম ইন করে ব্রনের অংশে হালকা করে টানুন। ব্রাশ সার্কেল যত ছোট হবে হিলিং তত নিখুত হবে। এই টুলসটির মাধ্যমে আপনি অবজেক্ট ও রিমুভ করতে পারবেন।
৫. এইচডিয়ার স্কেপ : এর মাধ্যমে আপনি আপনার ছবির স্ট্র্যাকচার বাড়িয়ে ফেলতে পারবেন। যার ফলে আপনার ছবিটা অনেল নয়েজি হয়ে যাবে।
৬. টোটাল কন্ট্রাস্ট : এর মাধ্যমে সেক্টর অনুযায়ী কন্ট্রাস্ট কন্ট্রোল করতে পারবেন। যেমন হাই টোন,মিড টোন,লো টোন। এটা দিয়ে আপনি আপনার ছবির স্পষ্টতা বাড়াতে সক্ষম হবেন অনেকাংশে।
৭. ড্রামা : এর কাজ অনেকটা এইচডিয়ার স্কেপের মতো। তবে এর নয়েজ এইচডিয়ার স্কেপের চেয়ে অনেকাংশে কম।
৮. ভিন্টেজ : এখানে আপনি আলাদা আলাদা প্রায় ১২ টি প্রিসেট পাবেন এই প্রিসেট গুলোর মাধ্যমে আপনি আপনার ফটোর লুকে আনতে পারবেন নেক্সট লেভেল। এখান থেকে স্যাচুরেসন,ব্রাইটনেস কমিয়ে বাড়িয়ে ফটো আরো আকর্ষণীয় করতে পারবেন।
৯. ব্ল্যাক এন্ড হোয়াইট : বেশ কিছু সাদাকালো ফটো প্রিসেট পাবেন এই অপশনে।
১০. নইর : বেশ কিছু টেম্পারেচার বেইসড প্রিসেট রয়েছে এই টুলসে।
১১. প্রোট্রেট : এর মাধ্যমে মুলত আপনি অটোমেটিক ফেস রিকগনিশন সিস্টেমের মাধ্যমে স্কিনটোন, স্কিন স্মুথ নেস ও চোখের স্ট্রাকচার নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন। এই টুলসের স্মুথ-১ এবং স্মুথ-২ প্রিসেট অধিক কার্যকর।
১২. লেন্স ব্লার : এর মাধ্যমে আপনি আপনার ইচ্ছা মতো ফটো তে ব্লার বা ঘোলা লুক আনতে পারবেন।
১৩. ভিগ্নেটে : এর মাধ্যমে আপনি ছবির চারকোনার ব্রাইটনেস কন্ট্রোল করতে পারবেন। আমার মতে এর ব্রাইটনেস -৭৫ রাখলে ফটোতে প্রফেশনাল লুক পাবেন।
১৪. ডাবল এক্সপোজার : এর মাধ্যমে আপনি আপনার ছবির উপরে অন্য ছবি বসাতে পারবেন।
১৫. টেক্সট : আপনি পছন্দ মতো আপনার ফটোর উপরে লিখতে পারবেন।
১৬. ফ্রেম : আকর্ষণীয় কিছু ফটো ফ্রেম পাবেন এই অপশনে।
১৭. ভিউ ইডিট : মেইন ইন্টারফেসের ঠিক উপরে একটা বাকা তীর চিহ্নের মতো আছে। এটা স্ন্যাপসীডের মোস্ট ইম্পর্ট্যান্ট টুলস। এর মাধ্যমে আপনারা আপনাদের ইডিট আনডু এবং কাস্টোমাইজড করতে পারবেন। নির্ধারিত ব্রাশ এর মাধ্যমে।
আশা করি সবাই বুঝতে পেরেছেন। এছাড়া কোনো সমস্যা থাকলে কমেন্ট করে জানাবেন আমি সমাধানের চেষ্টা করবো। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সবাই বাসায় থাকুন এবং সচেতন থাকুন।
ধন্যবাদ!