স্বামী-স্ত্রী দুজনে আলাদা বিছানায় শুলে কি হয়?
সম্পর্কের গাড়ি কিছুদিন গড়ানাের পরে ধীরে ধীরে উৎসাহ-উদ্দীপনা অনেক কমে যায়। আগের মতাে আবেগ ঘন মুহূর্ত খুব বেশি তৈরি হয় না। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে তা অনেক বেশি করে খাটে। সংসারের চাপে হােক অথবা অন্য কোনও কারণে, অনেক দম্পতিই বিয়ের কিছুদিন বা বছর পর থেকে আলাদা শুতে শুরু করেন। অনেক সময়ে সন্তানের জন্মের পর থেকেই তা শুরু হয়।
কিন্তু বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এতে দুজনের সম্পর্কের ক্ষতি হয়।স্বামী স্ত্রী দুজনের আলাদা সত্ত্বা রয়েছে। দুজনের প্রতি মুহূর্তে একে অপরকে প্রয়ােজন। সেখানে যদি দুজনে আলাদা শুয়ে থাকেন, তাহলে সম্পর্কে ফাটল ধরতে বাধ্য। স্বামী-স্ত্রী দুজনে আলাদা ঘরে আলাদা শুলে কি সমস্যা হতে পারে সম্পর্কের ক্ষেত্রে এগিয়ে চলার ক্ষেত্রে তা জেনে নিন বা জীবনে।
সম্পর্কে টান ধরে :
দুজনে আলাদা শুয়ে দিন কাটালে সম্পর্কের উষ্ণতা অনেক কমে যায়।
অন্তরঙ্গতা :দুজনে একই বিছানায় না শুলে, একে অপরকে জড়িয়ে ধরে সুখ-দুঃখের কথা না বললে অন্তরঙ্গতা কমে যেতে বাধ্য।
অন্যের প্রতি আকর্ষণ তৈরি হওয়া : স্বামী বা স্ত্রী যেকারও ক্ষেত্রেই এটা হতে পারে। অন্য পুরুষ বা মহিলা সঙ্গীর প্রতি আকর্ষণ জন্মায়।
ঘৃণাভাব জন্মানাে ; যদি আলাদা শুতে শুতে অন্যের প্রতি ভালােলাগা তৈরি হয়, তাহলে তারপর স্ত্রী বা স্বামীর প্রতি
অল্পেতেই ঘৃণা বা অবজ্ঞার ভাবনা মনে আসে।
তর্কই বড় হয়ে দাঁড়ায় :
এমন চলতে চলতে যদি দুজনেই দুজনের প্রতি ঘৃণার ভাবনাকে প্রশ্রয় দেন, তাহলে সারাদিন তর্কই চলতে থাকবে। এটাই সম্পর্কে প্রধান কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়ায়।
ছােট ঘটনাও বড় আকার নেয় :
আলাদা থাকতে থাকতে মনও বদলে যায়। ফলে ছােট ঘটনাতে কথা-কাটাকাটিও অনেক বড় আকার নেয়।
বন্ধুরা আশা করি লেখাটি আপনাদের ভালো লেগেছে।কেমন লেগেছে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ সবাইকে