আশা করি সবাই ভালো আছেন।প্রযুক্তির ক্রমবিকাশের ফলে বর্তমানে প্রতিটি মানুষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিজের প্রতিদিনের কাজগুলো করছে।মানুষ এখন বাসায় বসে বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করতে পারছে,বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের যেকোনো খবর এখন সহজেই ইন্টারনেট ব্যবহার করে জানতে পারছে।ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য মানুষের প্রয়োজন একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস।সেটা মোবাইল,কম্পিউটার বা ল্যাপটপ হতে পারে।
যেহেতু মোবাইল সহজেই যেকোনো জায়গায় নেওয়া যায় এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায় তাই এখন প্রতিটি মানুষের কাছেই একটি স্মার্টফোন রয়েছে।স্মার্টফোন ব্যবহারের জন্য ব্যাটারির ভূমিকা সবথেকে বেশি।কারন ব্যাটারির মাধ্যমেই স্মার্টফোন ব্যবহার করা হয়।তাছাড়া ব্যাটারিতে চার্জ না থাকলে ও আমরা স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারবো না।আজকে আমি ১২ টি টিপ্স দেবো যেগুলোর মাধ্যমে আপনি স্মার্টফোনের ব্যাটারিকে ভালো রাখতে পারবেন।এবংং অনেক দিন যাবৎ কোনো সমস্যা ছাড়ায় ব্যাটারি ব্যবহার করতে পারবেন।নিচের এই ১২ টি টিপ্স অবশ্যই আপনার জানা উচিত।
১.স্মার্টফোনের চার্জারটি ব্যবহার করুন।আপনি যখন স্মার্টফোন কিনবেন তখন তার সাথে আপনাকে একটি চার্জার দেওয়া হবে।সেই চার্জারটি দিয়ে সবসময় স্মার্টফোনটি চার্জ দিবেন।এতে আপনার ব্যাটারির কোনো ক্ষতি হবে না।পাশাপাশি আপনি অল্প সময়ে বেশি চার্জ করতে পারবেন।এবং যখন স্মার্টফোন ব্যবহার করবেন তখন ও চার্জ কম কাটবে।
২.কখনোই সারারাত স্মার্টফোন চার্জ দিবেন না।অনেকেই রাতেরবেলা ঘুমানোর সময় স্মার্টফোনটি চার্জ দিয়ে ঘুমায়।এবং সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে মোবাইলটি চার্জ থেকে বিচ্ছিন্ন করে।সারারাত চার্জ দেওয়ার ফলে স্মার্টফোনে অতিরিক্ত চার্জ হয়।যা ব্যাটারিকে প্রচুর ক্ষতি করে।
৩.স্মার্টফোনে শতাভাগ চার্জ না দিতে চেষ্টা করবেন।স্মার্টফোনে শতভাগ চার্জ দেওয়ার ফলে ব্যাটারি চার্জ একটু বেশি খরচ করে।অনেক স্মার্টফোন গভেষক বলেন, ৯০% থেকে ৯৫% চার্জ দিলে স্মার্টফোনটি ভালোভাবে ব্যবহার করা যায়।এবং তা স্মার্টফোনের জন্য ও ভালো।
৪.স্মার্টফোনে একবারে কম চার্জ না থাকলে চার্জ দেওয়া উচিত না।অনেকেই ৫০% থেকে ৭০% থাকার পর ও চার্জ দিয়ে রাখে।কিন্তু আমাদের উচিত ২০% এর নিচে থাকলে চার্জ দেওয়া।এর ফলে ব্যাটারি দীর্ঘদিন পর্যন্ত কোনো সমস্যা ছাড়ায় ব্যবহার করা যায়।
৫.স্মার্টফোনে ব্লাক ওয়েলপেপার ব্যবহার করবেন।যত রঙিন ওয়েলপেপার ব্যবহার করবেন তত বেশি চার্জ খরচ হবে।অনেকেই লাইভ ওয়েলপেপার ব্যবহার করেন।যা প্রচুর চার্জ খরচ করে।কিন্তু কালো ওয়েলপেপার ব্যবহার করলে তুলনামূলক অনেক চার্জ কম খরচ হয়।
৬.কখনোই সস্তা চার্জার ব্যবহার করবেন না।অনেক মানুষ আছেন যারা বাজার থেকে কমদামী চার্জার কিনে আনে।এবং তা দিয়ে স্মার্টফোন চার্জ দেয়।এর ফলে প্রচুর সময় লাগে স্মার্টফোনটি চার্জ হতে।পাশাপাশি ব্যাটারি ও ধীর গতিসম্পন্ন হতে শুরু করে।
৭.পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহার করে চার্জ করার ক্ষেত্রে কখনোই মোবাইলটি ব্যবহার করবেন না।পাওয়ার ব্যাংক দিয়ে চার্জ দিলে মোবাইলটি একটু গরম থাকে।সেইসময় যদি আপনি মোবাইলটি ব্যবহার করেন তাহলে আরো বেশি গরম হয়ে যাবে। এর ফলে যেকোনো সময় আপনার স্মার্টফোনটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
৮.কোনো থার্ডপার্টি এপ্পস ইন্সটল করবেন না।আর যদি এমন কোনো এপ্পস ইন্সটল করে থাকেন তাহলে তা এখুনি আনইন্সটল করে ফেলুন।অনেক এপ্পস আছে যাতে প্রচুর পরিমানে ভাইরাস থাকে।এবং সেই এপ্পসগুলো আপনার স্মার্টফোনের চার্জ ও প্রচুর কমিয়ে থাকে।তাই এই এপ্পসগুলো কখনোই ইন্সটল করা উচিত না।
৯.আপনার স্মার্টফোনে যদি কম চার্জ থাকে তাহলে ব্যাটারি সেভারটি অন করে দিন।এতে স্মার্টফোনের কোনো ক্ষতি হয় না।অনেক সময় অনেক দরকারি কাজের সময় যদি আমাদের ফোনের চার্জ না থাকে তাহলে আপনি ব্যাটারি সেভারটি অন করে দিতে পারেন।এতে আপনার স্মার্টফোনের চার্জ অনেক কম কাটবে।
১০.স্মার্টফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্রাইটনেস কম রাখার চেষ্টা করবেন।এতে আপনার চোখ ভালো থাকবে।তাছাড়া আপনারা চার্জ ও অনেক কম কাটবে।চেষ্টা করবেন যতটুকু সম্ভব ব্রাইটনেস কমিয়ে দেওয়ার জন্য।
১১.নতুন ফোন কিনে কখনোই আট ঘন্টা চার্জ দিবেন না।প্রায় সবসময় দেখা যায় আমরা যখন নতুন ফোন কিনি আমাদেরকে বলে দেওয়া হয় আট ঘন্টা চার্জ দেওয়ার জন্য।স্মার্টফোনের গবেষক এরিক লাইমার বলেন এটা একটি ভুল কথা।এমন কোনো কথা নেই যে স্মার্টফোন কিনে আট ঘন্টা চার্জ হবে।
১২.দ্রুত চার্জ দেওয়ার জন্য মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে বা এয়ারপ্লেন মোডটি চালু করে চার্জ দিন।চার্জ দেওয়ার সময় অনেক নোটিফিকেশন আসে মোবাইলে এবং এই নোটিফিকেশনগুলো প্রচুর চার্জ নষ্ট করে।যখন এয়ারপ্লেন মোডটি অন রাখবেন তখন আর কোনো নোটিফেকেশন এসে চার্জ ক্ষতি করতে পারবে না।
এই ১২ টি টিপ্স মেনে স্মার্টফোন ব্যবহার করলে আপনার স্মার্টফোনটি অনেক দিন ধরে ব্যবহার করতে পারবেন।এবং ব্যাটারির কোনো সমস্যা ছাড়ায় ব্যবহার করতে পারবেন।আপনি যদি একজন স্মার্টফোন ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই ১২ টি টিপ্স মেনে চলবেন ।এবং অবশ্যই লেখাটি শেয়ার করবেন।ভালো থাকবেন সবাই,ধন্যবাদ।