স্যাটেলাইট মাইক্রোওয়েভ
স্যাটেলাইট বা উপগ্রহ মহাকাশে থেকে পৃথিবীকে ঘিরে ঘুরতে থাকে। পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ বলের কারনে এটা ঘুরে, তাই এটাকে মহাকাশে রাখার জন্য কোন জ্বালানী বা শক্তি খরচ করতে হয় না। কারন,স্যাটেলাইটে মাইক্রোওয়েভের ইলেকট্রনিক সার্টিকগুলো চালানোর জন্য সোলার পাওয়ার ব্যাবহারিত হয়। পৃথিবী তার অক্ষে চব্বিশ ঘন্টায় ঘুরে আসে,স্যাটেলাইনকেও যদি ঠিক চব্বিশ ঘণ্টায় একবার ঘুরিয়ে আনা যায় তাহলে পৃথিবী থেকে মনে হবে সেটা বুঝি আকাশের কোন এক জায়গায় স্থির হয়ে আছে। এ ধরনের স্যাটেলাইটকে বলে জিও স্টেশনারি স্যাটেলাইন। যেকোন উচ্চতায় জিও স্টেশনারি স্যাটেলাইট রাখা যায় না।
এইটা রাখার জন্য ৩৪ হাজার কিলোমিটার উপরে একটা নিদির্ষ্ট কক্ষ পথে রাখতে হয়। প্রতিটি স্যাটেলাইট এর বেসিক উপাদানগুলো হলো প্রাপক ,প্রাপক এন্টেনা ,প্রেরক ,প্রেরক এন্টেনা এবং এই ইলেকট্রনিক্যাল যন্ত্র গুলো চালানোর জন্য প্রয়োজন পাওয়ার ,যা সোলার প্যানেলের মাধ্যমে জেনারেশন করা হয়ে থাকে। পৃথিবিতে অবস্থিত এই স্টেশনগুলোতে শক্তিশালী এন্টেনা থাকে যার নাম ভিএসএটি । আকাশে একবার জি স্টেশনারি স্যাটেলাইট বসানো হলে পৃথিবীর একপ্রান্ত থেকে প্রেরক যন্ত্র সেকেন্ড প্রায় ৬০০ কোটি বা কার কাছাকাছি বার কম্পন বিশিষ্ট মাইক্রোওয়েব সংকেত স্যাটেলাইটে পাঠায়।
স্যাটেলাইটে পাঠানোর পর সংকেত অত্যন্ত ক্ষীন হয়ে পড়ে । স্যাটেলাইটে অনেকগুলো ট্রান্সপোন্ডার থাকে।এই ট্রান্সপোন্ডার ক্ষীন সংকেতকে অ্যামপ্লিফায়ার এর মাধ্যমে অ্যামপ্লিফায়াই করে ৪০০ কোটিবার কম্পন বিশিষ্ট সংকেত পরিনিত করে পৃথিবীর গ্রাহক যন্ত্রে পাঠায়। এইভাবে দুটি ভিএসএটি এর মাধ্যমে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়।
ভিএসএটি এর এন্টেনাকে এমন দিকে রাখতে হয় যাতে তা সবসময় স্যাটেলাইটের দিকে নির্দেশ করে থাকে। স্যাটেলাইটগুলো অনেক দূরে অবস্থান করার কারনে অধিক শক্তিতে বিদ্যুৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গ বিকরণ করতে হয়।
স্যাটেলাইট একটি মাইক্রোওয়েব রিপিটার হিসাবে কাজ করে। এধরনের যোগাযোগ ব্যাবস্থায় পৃথিবীতে অনেকগুলো মাইক্রোওয়েব প্রেরক থাকে।এ ধরনের ট্রান্সমিশনে ল্যানের কোন কম্পিউটার ক্যাবলের মাধ্যমে সিগনাল পাঠায় এন্টেনা বা স্যাটেলাইটে ডিশের কাছে আর স্যাটেলাইট ডিস সেই সিগনাল ধীম পাঠায় পৃথিবীর অক্ষে অবস্থিত স্যাটেলাইটের নিকট।
সেই স্যাটেলাইট তখন তূপৃষ্টের অন্য কোন স্যাটেলাইট ডিশের নিকট পাঠিয়ে দেয়। গন্তব্য স্যাটেলাইট ডিশ যদি পৃথিবীর অন্যপ্রান্তে থাকে কিংবা স্যাটেলাইট থেকে সরাসরি সেটিকে দেখা না যায় তাহলে সেই স্যাটেলাইট ওই সিগনালকে অন্য স্যাটেলাইট নিকট পাঠিয়ে দিবে পারে। দ্বিতীয় স্যাটেলাইট যদি গন্তব্য স্যাটেলাইট ডিশকে দেখতে পায় তাহলে সেই সিগনালকে গন্তব্যে পোছে দেয়।