হিংসার কারণে দা দিয়ে কুপিয়ে ছাদের গাছ কাটলেন এই মহিলা।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যেখানে এক মহিলাকে দা নিয়ে ছাদের গাছ কাটতে দেখা যায়। সমগ্র জাতির মনে সারা ফেলে ওই মহিলার পৈশাচিক কর্মকান্ড। ঘটনাটি ঘটে সাভার এলাকায়, অক্টোবর ২২ তারিখে। ঘটনার ভিডিও ধারণকারীর আর্তনাত ই বলে দিয়েছিল গাছের প্রতি তাদের ভালোবাসা কতটা। তিনি বার বার চিৎকার করছিলেন তাদের গাছ কেটে ফেলার জন্য। ভুক্তভোগীর দাবি তারাও ওই বিল্ডিং এর ২ টি ফ্ল্যাট কিনেন,সকলের মত তাদেরও ওই বিল্ডিং এর ছাদ ব্যাবহার করার অধিকার আছে। সেই অধিকার এর কথা বিবেচনা করেই তারা ছাদের এক কোণে কিছু গাছ লাগান। গাছগুলো বেশ বড় হয়েছে এবং কিছু গাছে ফল ধরে আছে। কিন্তু একই বিল্ডিং এর একজন মহিলার নাকি এসব গাছ সহ্য হয় না এজন্য তিনি গাছগুলো সরিয়ে ফেলতে বলেন। নিদিষ্ট তারিখ বেধে দেন যে,এই তারিখের মধ্যে গাছ সরাতে হবে। কিন্তু গাছ প্রেমি ভুক্তভোগী গাছগুলো সরায় নি। যার কারণে ওই মহিলা এবং তার ছেলে কিছু গুণ্ডাপাণ্ডা নিয়ে এসে দা দিয়ে কুপিয়ে গাছগুলো কেটে ফেলেন। মোবাইল ফোনে ভিডিও রেকর্ড করায় মাঝে মাঝেই তেড়ে আসেন মোবাইল এর দিকে কোপ দেয়ার জন্য। তিনি বলেন গাছ ভালোবাসে না এমন মানুষও পৃথিবীতে আছে এটা অকল্পনীয়। তিনি বার বার বলছিলেন গাছ তো কারোর উপকার ছাড়া ক্ষতি করে না। তাহলে কেন ওই মহিলা এভাবে পৈশাচিক ভাবে ধরন্ত গাছগুলো কেটে ফেললেন। এটা মেনে নেওয়া যায় না। ভুক্তভোগী দাবি করেন হিংসার কারণে গাছগুলো এভাবে কেটে ফেলা হয়েছে।

ঘটনাটি সকলকে ব্যথিত করেছে। গাছগুলো এমনি এমনি হয়নি, শখের বসে খুব যত্ন করে গাছগুলো বড় করা হয়েছে, গাছগুলোতে ফলও এসেছে।সকলেই ওই পৈশাচিক নারীর কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন। আমরা জানি গাছ মানুষের সবচেয়ে ভালো বন্ধু। গাছ ছাড়া পরিবেশ টিকিয়ে রাখা সম্ভব না। যেখানে মানুষকে ছাদকৃষির জন্য সরকার উদ্ভূত করে যাচ্ছেন সেখানে মানুষকে অনুপ্রাণিত না করে এই মহিলা নিজে গাছ কেটে দিচ্ছেন, যা সত্যিই দুঃখজনক এবং এটি আইনগত দণ্ডনীয় অপরাধের সামিল। অক্সিজেন ছাড়া আমরা এক মুহূর্ত বাচতে পারবো না। তাই আমাদের সকলকে বেশি বেশি গাছ লাগাতে হবে যদি আমরা আমাদের পরিবেশকে বাঁচাতে চাই, যদি আমরা আমাদের নিজেদের বাঁচাতে চাই।

যখনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব ছড়িয়ে পরে তখন। ওই পৈশাচিক মহিলা ছেলে ফেসবুক লাইভে এসে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করেন। তিনি উল্টো ভুক্তভোগীদের দোষ দেয়ার চেষ্টা করেন মানুষকে নানান কথা বুঝানোর চেষ্টা করেন। তিনি দাবি করেন মানুষ না জেনেই তাকে এবং তার মা কে গালি দিচ্ছেন। কিন্তু পরে মানুষের তোপের মুখে আরো একবার লাইভে এসে ক্ষমা চান এবং অঙ্গিকার করেন যে, তিনি বেশি বেশি গাছ লাগাবেন এবং সবাইকে গাছ লাগানোর পরামর্শ দেন।

Related Posts