বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং শক্তিশালী লেনদেনের মাধ্যম হচ্ছে পেপাল। এটি আন্তর্জাতিক লেনদেনের মাধ্যম।ইউএস ডলার,ইউরো সহ বিভিন্ন কারেন্সি পেপালের মাধ্যমে লেন-দেন করা যায়। পেপাল বৈধতা দেয় এমন সকল দেশের মানুষ একে অপরের সাথে লেনদেন করতে পারবে খুব সহজেই। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের দেশে অর্থাৎ বাংলাদেশে পেপাল সাপোর্টেড নয়।
আসসালামু আলাইকুম …!
হ্যালো বন্ধুরা,,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভাল আছেন। আর যদি ভালো না থাকেন তবে কোন সমস্যা নেই।কারণ আমি আজকে আপনাদের শেখাবো কিভাবে বৈধ না হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ থেকে পেপাল ব্যবহার করবেন,কিভাবে পেপাল একাউন্ট খুলবেন।তো,বেশি বক বক না করে চলুন শুরু করা যাক।
প্রথমে,যেকোন একটি ব্রাউজার ওপেন করুন। আমি গুগলের ক্রোম ব্রাউজার রিকমান্ড করব।ব্রাউজার ওপেন করার পর সার্চ বারে লিখুন পেপাল.কম/সিওয়াই ( ইংরেজিতে ) অথবা নিচের লিংকের মাধ্যমেও যেতে পারেন।
লিংকঃ এখানে ক্লিক করুন
এখন আপনার সামনের পেপাল এর ইন্টারফেস খুলে গেছে।এখান থেকে একটু লক্ষ্য করলেই সাইন আপ নামে একটি অপশন দেখতে পারবেন। সেখানে ক্লিক করুন। এখানে যদি সাইনআপ অপশন দেখতে না পান। তবে, বামদিকে উপরে একটি থ্রি ডট অপশন দেখবেন। সেখানে ক্লিক করুন। ক্লিক করলে সবার নিচে দেখতে পাবেন আরো একটি সাইনআপ নামের অপশন।সেখানে ক্লিক করুন।
এবার,আপনার সামনে আরও একটি নতুন ইন্টারফেস খুলে যাবে। সেখানে দেখতে পারবেন আপনার ই-মেইল এড্রেসটি দেওয়ার একটি ঘর রয়েছে। সেই ঘরে আপনার ই-মেইল এড্রেসটি দিয়ে “নেক্সট” এ ক্লিক করুন।
এরপর, নেক্সট এ ক্লিক করার পর আরেকটি নতুন ইন্টারেস্ট খুলে যাবে এবং সেখানে আপনাকে একটি পাসওয়ার্ড দিতে বলবে। পাসওয়ার্ড লেখা ঘরে একটা কঠিন পাসওয়ার্ড দিন।কঠিন/শক্তিশালী পাসওয়ার্ড হবে এমন যেখানে ছোট হাতের,বড় হাতের অক্ষর,চিহ্ন, সংখ্যার মিশ্রণ থাকবে। এমন একটি পাসওর্য়াড দিন।এরপর “নেক্সট” এ ক্লিক করুন।
তারপর, আপনার সামনে একটি ফর্ম আসবে। যেখানে এড্রেস,নাম আর ফোন নাম্বার চাইবে। আপনার ভোটার আইডি কার্ড দেখে ফরমটি পূরণ করুন। নামের জায়গায় নাম, এড্রেস এর জায়গায় অ্যাড্রেস, জিপ কোড এর জায়গায় জিপ কোড, ফোন নাম্বারের জায়গায় ফোন নাম্বার দিয়ে ফরমটি পুরণ করুন। অবশ্যই অবশ্যই ভোটার আইডি কার্ড দেখে দিবেন। এরপর পেপালের টার্মস এন্ড পলিসি এগ্রি করে “সাবমিট” এ ক্লিক করুন।
তারপর, আপনার সামনে আবার নতুন একটি ইন্টারফেস খুলে যাবে। যেখানে বিজনেস টাইপ লেখা বলে একটা অপশন আছে। সেই অপশনে ক্লিক করে ইনডিভিডুয়াল এ ক্লিক করুন। এরপর বিজনেস টাইপ ঘরে মার্কেটিং লিখে “নেক্সট” এ ক্লিক করুন
এরপর,আরো একটি নতুন ইন্টারফেস খুললে যাবে। সেখানে আইডেন্টিটি হিসেবে ন্যাশনাল আইডি কার্ড সিলেক্ট করে দিন এবং সেখানে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার টা সঠিক ভাবে দিয়ে দিন। আর নিচে ডেট অফ বার্থ যেটা রয়েছে সে অপশনে ভোটার আইডি কার্ড দেখে দেখে ডেট অফ বার্থ তারিখ, মাস,সাল সিলেক্ট করে দিন। তারপর শুধু নিচে থাকা “ক্রিয়েট “অপশনে ক্লিক করলেই আপনার পেপাল অ্যাকাউন্ট খোলা হয়ে যাবে।
আপনি যে ইমেইল এড্রেসটি দিয়েছেন সেই ইমেইল এড্রেসে পেপাল থেকে একটা কনফার্মেশন মেইল যাবে। সেই মেইলটি শুধু কনফার্ম করে দিলেই আপনার পেপাল লেনদেন করার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে।
আমরা অনলাইনে বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করে থাকি। আর সেখানে পেমেন্ট এর জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় পেপাল। যদিও আমাদের দেশে পেপাল বৈধ নয়, তবুও আমরা আমার পেপাল ব্যবহার করতে পারি।যেমনটা আমি দেখেছি সেভাবে পেপাল একাউন্ট তৈরি করে।তবে আর দেরি নয় পেপালে পেমেন্ট নেয়া শুরু করে দিন।
তো,আজ এখানেই আমি মোঃ তাহমিদ আলম বিদায় নিচ্ছি।শীঘ্রই দেখা হবে আবারও। ততক্ষণ ভালো থাকুন,সুস্থ থাকুন এই কামনাই করি। আর হ্যাঁ,, ধন্যবাদ………!!!
এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য।
আল্লাহ হাফিজ…!