আসসালামু আলাইকুম,
সবাই কেমন আছেন?
আশা করি ভালো আছেন।
আজকে আমার পোস্ট টি মুলত ৯ম শ্রেণিরর অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে।
অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ-
তোমার এলাকায় প্রধান প্রধান ফসলের নাম উল্লেখ পূর্বক ফসল গুলো চাষাবাদের কারণ ওসেগুলো জমি প্রস্তুতির বিবরণ সহ একটি প্রতিবেদন তৈরি করো-
মাটি ও পরিবেশের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী ফসল নির্বাচন –
মাটি ফসল উৎপাদনের অন্যতম মাধ্যম।ফসল উৎপাদন মাটির বৈশিষ্ট্যর উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল। মাটিই হচ্ছে পানি ও পুস্টির প্রাকৃতিক উৎস।সব মাটিতে সব ফসল জন্মায় না।যেমন-ধানগাছ কাদামাটি, কাদা দো-আশ মাটি পছন্দ করে।অপর দিকে বাদাম বেলে বা বেলে দো-আশ মাটি পছন্দ করে।তবে বাংলাদেশের মাটি পদ্মা,ব্রহ্মপুত্র,ও মেঘনা পলি দ্বারা সৃষ্টি হওয়ার কারনে সব ধরনের ফসলই কমবেশি জন্মায়।বাংলাদেশের অধিকাংশ মাটিই নরম, হালকা,ধুলিময় ও কর্ষনযোগ্য। মাটি বলতে তাকেই বোঝায় যেখানে ফসল জন্মায়,বন সৃষ্টি হয় আর গবাদি পশু বিচরন করে।একজন কৃষককে যখন মাটি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয় তিনি ঝটপট বলে থাকেন-“ভূ-ত্বকের গভীরে যতটুকু লাঙলের ফলা পৌছে,যা ফসল উৎপাদনের উপযোগী তাই মাটি।অথার্ৎ কৃষকের ভাষায় ভূ-পৃষ্টের ১৫-১৮ সেমি গভীর স্তরকে মাটি বলা হয়। অতএব,ফসল উপযোগী মাটির বৈশিষ্ট্য এ স্তরেই নিহিত।
ধান চাষপযোগী মাটির বৈশিষ্ট্য-
★এটেল ও এটেল দোআশ মাটি ধান চাষের জন্য খুব ভালো।নদ-নদীর অবহিকায় পলি যুক্ত স্থানে ধান চাষ ভালো হয়।
★মাটির অম্লাত্মক থেকে নিরপেক্ষ অবস্থা ধান চাষের অনকূল।
★প্রয়োজনীয় সার ব্যবহার করতে হবে।
গম চাষপযোগী মাটির বৈশিস্থ্য-
★দোআশ বা বেলে দোআশ মাটি গম চাষের জন্য ভালো।
★বাংলাদেশের উত্তর অঞ্চলে গম চাষ ভালো হয়।
★যে মাটিতে ph (অম্লাত্মক -ক্ষারত্মক) ৬.০-৭.০ সেসব মাটিতে গম ভালো হয়।
ডাল চাষপযোগী মাটির বৈশিষ্ট্য –
★ দোআশ,বেলে দোআশ, এটেল দোআশ এবং পলি দোআশ মাটিতে ডাল জাতীয় ফসল ভালো জন্মে।
★শুষ্ক ও ঠান্ডা আবহাওয়া এবং অল্প বৃষ্টি পাত ডাল চাষের উপযোগী।
ফসল উৎপাদনের জন্য জমি প্রস্ততি-
জমি প্রস্ততির জন্য বহুমুখী কাজ জড়িত।যথা- জমি চাষ,মই দেওয়া,সার প্রয়োগ ইত্যাদি।নিচে ফসল ভিত্তিক প্রত্যেকটি কাজ আলোচনা করা হলো-
ধান চাষের জন্য জমির প্রস্তুতি-
ধান বাংলাদেশে সারা বছর চাষ করা হয়।তবে বেশিরভাগবীজতলায় চারা উৎপাদন করতে হয়।
গম চাষের জন্য জমি প্রস্তুততি করন-
গম চাষের উপযুক্ত সময় বর্ষা মৌসুম শেষ হওয়ার পর অর্থাৎ কার্তিক অগ্রাহায়ন পর্যন্ত গমের মাটি ঝুরঝুরা করে প্রস্তুত করা প্রয়োজন। গমের মাটির জন্যেই দোআঁশ বা বেলে দোআঁশ মাটি উপযুক্ত। এই মাটি সহজে জুরজুরা হয়।
ডাল জাতীয় শস্য জন্য জমি প্রস্তুতিকরন-
বাংলাদেশি ডাল জাতীয় শস্য জন্য জমি চাষ করা হয় না। তবে মসুর ডালের জন্য জমিতে দু’একটি চাষ দেওয়া হয়। বর্ষা শেষ হলে আশ্বিন-কার্তিক যখন নদীর চর ও নিচু এলাকা থেকে পানি সরে যায় তখন নরম পলিমাটিতে বিনা চাষে বীজ বপন করা হয়।
আলু চাষের জমি প্রস্তুতিকরন-
নিচু এলাকায় বর্ষার পানি নেমে গেলে বা উঁচু এলাকায় আশ্বিন মাস হলে আলু চাষের জন্য জমি প্রস্তুতির কাজ শুরু করা হয়। সাধারণত দোআঁশ মাটিতে আলু চাষ করা হয় আলুর জমিতে থেকে ৫-৬ বার চাষ ও বারকয়েক মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরা করে জমি প্রস্তুত করা হয়। পাওয়ার টিলার দ্বারা চাষ করা হয় বলে তিন চারবার খাড়াখাড়ি। চাষ দিলে জুরজুরা হয়
নলা তৈরী-
জমি ভালোভাবে চাষ ও মই দেওয়ার পর জমি সমান করে বীজ বপনের জন্য মাথা পর্যন্ত নালা করতে হবে। প্রত্যেকটি নালা ১৩-১২ সেন্টিমিটার গভীর করতে হবে একটি নলা থেকে আরেকটি নলার দূরত্ব হবে ৬০ সেন্টিমিটার অন্তত ১৫ সেন্টিমিটার দূরে দূরে বীজ বপন করতে হবে
সবাইকে ধন্যবাদ।
grathor.com.এর সাথেই থাকুন।