৫টি সাইকোলজিক্যাল (মনস্তাত্ত্বিক) কৌশল মানুষের মনে কী আছে তা বোঝার

আপনি হয়তো অনেক সময় চিন্তা করেছেন, কেমন হত যদি খুব সহজেই আমরা অন্য কারো মনে কী আছে তা সহজেই বুঝতে পারতাম। কিছু লোক তাদের Intuition (অন্তর্জ্ঞান যা কোন রকম বুদ্ধি না খাটিয়েই এমনিতেই বোঝা যায়) ব্যবহারের মাধ্যমে করতে পারে। কিন্তু আপনার উপলব্দি ক্ষমতা যদি অতটা প্রখর না হয় তাহলে একটা উপায় অবশ্যই আছে, তা হল মানুষের Body Language (অঙ্গভঙ্গি) বুঝতে শিখা।

একটা প্রতিষ্ঠিত সত্য এই যে, আমরা ৫০ ভাগেরও বেশি তথ্য শুধুমাত্র নন ভার্বাল (মৌখিক নয়) উপায়ে পেয়ে থাকি। বডি ল্যাংগুয়েজ এক্সপার্টদের মতে, অনুকরণ, ইশারা-ইঙ্গিত এবং অন্যান্য দেহ-ভঙ্গির মাধ্যমে মানুষের প্রকৃত অভিপ্রায় বুঝতে পারা যায় এবং কে কী ভাবছে তা বলে দেয়া যায়। আপনি নিজেই যদি তা আয়ত্ত্ব করতে চান তাহলে কিছু কৌশল অবলম্বন করতে পারেন।

১) যখন আপনি কাউকে কোন কাজ করতে বলেন এবং দেখেন সেই লোক অতিরিক্ত মাথা নাড়ছেন তাহলে বুঝতে হবে যে সে আসলে নিশ্চিত না যে সে কাজটি করতে পারবে কিনা। যখন কেউ কোন নির্দেশ যথাযথ পালন করতে গিয়ে নিজের সক্ষমতার ব্যাপারে সন্দিহান হয় তখন মাত্রাতিরিক্ত মাথা নাড়তে থাকে। এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে তাকে বলে দেখেন যে আপনি আসলে বুঝতে পেরেছেন সে পুরোপুরি আপনার নির্দেশনা বুঝতে পারেনি। দেখবেন সে অবাক হয়ে যাবে।

২) আপনার আশেপাশের কেউ যখন আপনি যা করেন তা অনুকরন করতে থাকে তাহলে বিরক্ত হবেন না। বরঞ্চ এটা একটা ভালো লক্ষণ। মানুষ যখন গভীরভাবে কারো সাথে কানেক্ট হতে পারে তখন তার নিজের মনের অজান্তে সে ঐ ব্যক্তিকে অনুকরন করতে থাকে। যেমন- আপনি আপনার নাক চুলকালে বা চুলে হাত দিলে সেও যদি তা করতে থাকে তা নিশ্চিত থাকেন আপনাদের আলাপচারিতা ভালোই এগোচ্ছে। আপনি নিজেও এই পদ্ধতি অবলম্বন করে অন্যের মনে জায়গা করে নিতে পারেন।

৩) আরেকটা সচরাচর যেটি দেখা যায় তা হলো নখ কামড়ানো। এটা নিশ্চিতভাবে কোন বিষয়ে অস্থিরতা বা উদ্বিগ্ন হওয়ার লক্ষণ। তাই যখনই এমন কিছু দেখবেন তাহলে কথার টপিক পরিবর্তন করে দেখতে পারেন। লোকটি তখন কিছুটা স্বস্তিবোধ করবে।

৪) কোন মানুষ যদি কথা বলার সময় তার মাথা সোজা ও উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকেন সেটা তার আত্মবিশ্বাস ও দৃঢ় মনোবলের দিকে ইঙ্গিত করে।

৫) বলা হয়ে থাকে চোখ হলো মনের দরজা। চোখের দিকে তাকিয়ে আমরা মানুষের আবেগ ও অনুভূতি উপলব্দি করতে পারি। কপোত-কপোতীরা চোখের মণি বড় হয়ে যাওয়া দেখার জন্য একে অন্যের দিকে তাকিয়ে থাকে যা একটি শুভ লক্ষণ। কারণ সাধারণ অবস্থার চেয়ে তখন  চোখের মণি চারগুণ বড় হয়ে যায়। অন্যদিকে মানুষ রেগে গেলে তার চোখের মণি স্বাভাবিকের চেয়ে ছোট হয়ে যায়।

তাই নেক্সট টাইম যখন এই বিষয়গুলো লক্ষ্য করবেন তাহলে সবকিছুই আগে থেকে আচ করে সামনের থাকা মানুষটিকে চমকে দিন।

Related Posts