১। নিজের স্কিল শনাক্তঃ কোন স্কিলে আপনি ভালো সেটা আগে শনাক্ত করুণ। কারণ নিজের শক্তিশালী ও দূর্বল দিক সম্পর্কে ধারণা না থাকলে সামনে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই সবার আগে নিজেকে শনাক্ত করতে হবে। আগে থেকেই কোন স্কিল সম্পর্কে আপনার ধারণা বা জ্ঞান থাকে ঔ বিষয় নিয়ে কাজ করা আপনার জন্য যুক্তিযুক্ত হবে।
২। স্কিলের ক্ষুদ্র অংশ নিয়ে কাজ করাঃ মনে করুণ আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ করতে চান । কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং একটি বিশাল নেটওয়ার্ক চাইলেও কারো পক্ষই ডিজিটাল মার্কেটিং এর সব বিষয় জানা সম্ভব নয়। এই জন্য সাব স্কিল যেমন ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেক গুলো শাখার মধ্যে ফেসবুক মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, গুগল এডস ইত্যাদি। আপনাকে এই ছোট ছোট স্কিল নিয়ে কাজ করতে হবে। সব বিষিয়ে মাথা নষ্ট না করে এক বিষয়ে ক্যারিয়ার গড়ে তুলুন। এক বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে পারলে অন্যান্য বিষয়ে দক্ষতা অর্জন সহজ হয়ে যাবে। সুতরাং ব্রেইন কে এক দিকে মনোযোগের সাথে ধাবিত করুণ।
৩। নেইবারহুড ইনভারমেন্টঃ খুবই গুরুত্বপূর্ন একটি ধাপ। আপনি যেই স্কিলে দক্ষতা অর্জন করবেন সেই বিষয় নিয়ে কথা বলবেন, ফেসবুকে সার্চ করবেন, ভিডিও দেখবেন, বই পড়বেন। নেইবারহুড ইনভারমেন্ট হলো আপনার চারিপাশে কোন একটা বিষয় নিয়ে সারাক্ষণ নিজেকে ব্যস্ত রাখা। আপনার ব্রেইনকে সেই বিষয়ে ভাবতে বাধ্য করা, চিন্তা করা, নতুন নতুন বাক্য, নিয়ম শিখা। ব্রেইন সব সময় সহজ নির্দেশনার দিকে ধাবিত হয় তাই একটু জটিল পজিশানে গেলেই ব্রেইন বেকে বসতে পারে। আর এক্ষেত্রে নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখতে হবে হাল ছাড়া যাবে না।
৪। প্রচুর পরিমাণে বই পড়া, গুগল, ইউটিউব দেখাঃ শিখার যে কয়টি উপায় আবিস্কার হয়েছে তার মধ্যে বই পড়ে শিখা সবচে কার্যকর। প্রচুর পড়ালেখা করুণ। বাজারে ফ্রিল্যান্সিং এর উপরে ভাল ভাল প্রচুর বই আছে সেগুলো পড়তে হবে। গুগলে সার্চ দিয়ে নিজের স্কিল সম্পর্কে জানতে হবে, দক্ষতা অর্জন করতে হবে। ইউটিউবে ফ্রি ভিডিও দেখে প্রাইমারী দক্ষতা অর্জন করতে হবে। দিনে কমপক্ষে ৩/৪ ঘন্টা ভিডিও দেখুন। পেইড কোর্স ছাড়াও ইউটিউবে খুব ভাল ভাল ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে ভিডিও আছে। আপনার প্রয়োজনীয় ও কাংখিত ভিডিও বাছাই করুণ ও দেখতে থাকুন। প্রথমেই পেইড কোর্সে ভর্তি হলে কঠিন অবস্থার সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা আছে, যা আপনাকে অনুৎসাহী করে তুলতে পারে।
৫। পেইড কোর্স করাঃ আপনি কিছু দক্ষতা অর্জনের পর যখন বুঝবেন আপনাকে দিয়ে হবে তখন আপনার গাইডের প্রয়োজন পরবে। সেইক্ষেত্রে আপনি একটি কোর্সে ভর্তি হতে পারেন। মনে রাখবেন কিছু না জেনে হুটহাট করে কোন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেসে একাউন্ট করবেন না। এতে একাউন্ট ব্যান্ড হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে এবং সামনে প্রয়োজনের সময় বিপদে পরতে পারেন।