আজকে আমি আপনাদের সাথে ১৫ টি ছোট লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে আপনাদের সাথে আলোচনা করব ।
আমাদের দেশে অনেকেই আছেন যারা পুঁজি না থাকার কারণে, ব্যবসা শুরু করতে পারতেছেন না । অল্প পুঁজি দিয়ে শুরু করে প্রথমে দিকে কিন্তু ছোট ব্যবসা করে ও তার পরে আপনারা আস্তে আস্তে ধনী ব্যক্তিতে রূপান্তর হতে পারবেন । একটা কথা মনে রাখবেন , গাছে কিন্তু প্রথমে ফুল হয় , আর তার পরেই কিন্তু সেটা হতে ফল হয় ।
তাই আপনাদের প্রথমে লাভজনক যে সকল ব্যবসা আছে সেগুলোতে হাত দেওয়া দরকার । আর এই রকমের ভাবে কাজ করলেই, কিন্তু আপনারা দিন শেষে সাফল্য আপনাদের জন্য নিশ্চিত । আর তাই আজকে আমরা এই লেখার ভিতরে ১৫ টা ছোট আর বেশি লাভ জনক হয়ে থাকে । এরকমের ব্যবসার আইডিয়া আপনাদের সাথে শেয়ার করব ।
স্টেশনারির দোকান দিতে পারেন –
বই-পুস্তক, খাতা-কলম এর চাহিদা কিন্তু এখন বর্তমানে খুব তারাতারি বৃদ্ধি পেয়ে যাচ্ছে । আমাদের দেশের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে কিন্তু এখন বেড়ে যাচ্ছে । অফিস আদালত, ব্যবসা-বাণিজ্য । আর তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দপ্তর যে গুলো রয়েছে সেগুলো ও ।
এই সমস্ত প্রতিষ্ঠানে কিন্তু এখন বর্তমানে রেজিস্টার করার খাতা, পেন্সিল, কলম, ফাইল এই সকল জিনিসের , দরকার হয়ে থাকে । স্টেশনারিতে এই সকল দরকারি যে সকল, খাতা আছে, তার পরে কলম, পেন্সিল, স্কেল এই সকল জিনিস কিন্তু খুব সহজেই পাওয়া যায় । আর এই সকল উপকরনের চাহিদার পরিমান কিন্তু আসলে সব সময়তেই থাকে ।
মুদির দোকান দিতে পারেন :
“ মুদির দোকান হচ্ছে যেখান থেকে আমরা, আমাদের দৈনন্দিন জীবনের যে সকল জিনিসপত্র কিনে থাকি, তাকেই মুদির দোকান বলা হয়ে থাকে ।” যে কোনো বেকার নারী কিংবা পুরুষ মুদি দোকান এর মাধ্যমে আয় করতে পারেন । নিজেদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে নিতে পারেন ।
শারীরিক ভাবে যদি প্রতিবন্ধী নারী-পুরুষ, ভারী কাজ করতে অক্ষম যে সকল মানুষেরা আছেন তারা ও এই কাজ করতে পারেন।
মুদি দোকান এর যে সমস্ত পণ্য বিক্রি করা হয়ে থাকে । তার চাহিদা সারা বছরেই কিন্তু মানুষের থাকে। এই ব্যবসায় লোকসান এর পরিমানের সম্ভাবনা অনেকটাই কম থাকে । মুদির দোকান মূলত হাটে, বাজারে কিংবা রাস্তার মোড়েই বেশি দেখা গিয়ে থাকে । আবার, বসত বাড়ির বাহিরের অংশে মুদির দোকান কিন্তু দিতে পারেন ।”
ব্যানার আর সাইনবোর্ডের দোকান খুলতে পারেন :
ব্যানার মূলত স্বল্প সময় এর অধিবেশন আর স্বল্পকালীন তথ্য প্রদান এর জন্যই ব্যবহৃত হয়ে থাকে । তাই ব্যানার সাধারণত কাপড় এর উপরেই অনেক ধরন এর রং দিয়ে লেখা হয়ে থাকে । সাইনবোর্ড সাধারণত দোকান, অনেক প্রতিষ্ঠান এ যেমন মনে করুন যে , স্কুল, কলেজ, আর বিশ্ববিদ্যালয়, তার পরে , অফিস, আদালত, দোকান এই সকল কিছুর সামনে লাগানো হয়ে থাকে ।
আর তা ছাড়া ও কিন্তু রাস্তা এর পাশে অনেক ধরনের নির্দেশ । আর নানান দীর্ঘমেয়াদি বিজ্ঞাপন প্রচার এর জন্যই , সাইনবোর্ড ব্যবহার করা হয়ে থাকে । সাইনবোর্ড সাধারণত বেশি সময় এর জন্যই ব্যবহৃত করা হয়ে থাকে । এই কারণেই কিন্তু আসলে সাইনবোর্ডে লেখবার জন্যই অ্যালুমিনিয়াম, টিন, স্টিল কিংবা কাঠ ব্যবহার করে থাকেন ।
কাঠের আসবাবপত্রের ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন –
স্বাবলম্বী হবার জন্যই মানুষের নানান রকমের ধরনের কাজ করতে থাকেন । কাঠের আসবাবপত্রের ব্যবসা এর ভিতরে কিন্তু অন্যতম। পুঁজি বেশি যদি থেকে থাকে । তাহলে কিন্তু যে কোনো ব্যক্তি কাঠের আসবাব পত্রের ব্যবসা করেই , স্বাবলম্বী হয়ে যেতে পারেন । কাঠ দিয়ে বিভিন্ন রকমেরই আসবাবপত্র, শো-পিস, সৌখিন পণ্য । এই সকল পণ্য তৈরি আর তার সাথে সাথে কাঠ এ্র আসবাবপত্র বিক্রি করা হয়ে থাকে।
উভয়ই কিন্তু আসলে আপনাদের জন্য ব্যবসা হতে পারে। এই ক্ষেত্রে আপনাদেরকে দেখা গিয়ে থাকবে । যে এই ধরন এর ব্যবসায়ীরা কাঠমিস্ত্রি যারা আছেন । তাদের কাছে থেকেই, অর্ডার দিয়ে তার পরে তারা , অনেক ধরনের ডিজাইন এর আসবাবপত্র বানিয়ে । তার পরে , তারা সেগুলোকে তাদের দোকানে এ নিয়ে এসে বিক্রি করে থাকেন ।
কাঠের ব্লক তৈরি এর ব্যবসা:
“কাপড় ছাপানো এর জন্যই কিন্তু আসলে কাঠ এর ব্লক ব্যবহার করা হয়ে থাকে । শাড়ি, জামা-পায়জামা, Table Cloth , এই সকল জিনিসে কিন্তু অনেক ধরন এর ব্লক ডিজাইন করা হয়েই থাকে । মানুষদের রুচি পরিবর্তন এর সঙ্গে সঙ্গেই কিন্তু নিত্য নতুন ডিজাইন এর চাহিদা দেখা দেওয়া শুরু করে দিয়েছে । আর সেই জন্যই , আপনাদেরকে নিত্য নতুন ডিজাইনে এর কাঠ এর ব্লক তৈরিকেউ পেশা হিসেবে । বেছে নিয়ে যে কোনো ব্যক্তি নিজেদের কর্মসংস্থান এর ব্যবস্থা করে নিতে পারেন ।
১ রঙা কাপড়েই কিন্তু অনেক ডিজাইন আর অনেক ধরনের, রঙের ছাপ দিয়েই কাপড়টাকে আরো সুন্দর করে তোলা হয়ে থাকে । এই ছাপ দেবার জন্যই কিন্তু ডাইস দরকার হয় । ডাইসগুলো কাঠ এর বানানো হয়ে থাকে ।
ছোট ছোট কাঠ এর ভিতরে খোঁদাই করেই কিন্তু এই ডাইস বানানো হয়ে থাকে । অনেক ধরনের ডিজাইন আর সাইজ এর ব্লক ডাইস তৈরি ব্যবসা করেই কিন্তু আসলে যে কোনো ব্যক্তি স্বাবলম্বী হয়ে যেতে পারবেন ।”
বই বাঁধানোর কাজ করতে পারেন –
ব্যবসা কিংবা বাণিজ্য, শিল্পকারখানা, অফিস আর আদালত, ব্যাংক সব জায়গাতেই কিন্তু , হিসাব এর খাতাসহ অনেক ধরনের বই । আর প্রকাশনা সামগ্রী এর দরকার হয়ে থাকে । এই সকল প্রকাশনা গুলোকেই কিন্তু সুন্দর আর মজবুত করবার জন্যই বাঁধাই করবার দরকার হয়ে থাকে ।
বই বাঁধাই যদি না করে নেন নিলে কিন্তু এটা মূলত অনেক সহজেই ছিঁড়ে যেতেই পারে । মোটামুটি বলতে পারেন যে , সকল মৌসুমেই বই আর খাতা বাঁধানোর কাজ থাকেই । বই বাঁধানো শেখার পরে কিন্তু চাইলেই যে কেউ অর্থাৎ যে কোন মানুষ খুব সহজেই এই ব্যবসা শুরু করে দিতে পারবেন ।
কাগজের ব্যাগ উৎপাদন করতে পারেন :
যে কোনো পণ্য উৎপাদন এর পরেই কিন্তু সেটাকে প্যাকেটজাত করেই । তার পরে , ক্রেতা অথবা ব্যবহাকারীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া লাগে । পরিবেশ বান্ধব আর দেশীয় কাঁচামাল দিয়েই কিন্তু তৈরি করে ফেলা যায় বলেই কিন্তু এই প্যাকেট জাতকরন এ কাগজ এর ব্যাগ ব্যাপক ভাবেই ব্যবহৃত করা হচ্ছে সব খানে ।
পলিথিন ব্যাগ বর্তমানে এখন কিন্তু , আসলে আমাদের দেশ থেকেই , সরকারি ভাবেই নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে । আগে যেখানে পলিথিনের ব্যাগ ব্যবহার করত । মানুষেরা এখন সেখানে তারা কিন্তু ব্যবহার করতেছেন , কাগজের ব্যাগ । অনেক রকমের কাগজ দিয়েই , কিন্তু আসলে এই কাগজ এর ব্যাগ তৈরি হয় । কাগজ এর ব্যাগ তৈরি করেই কিন্তু স্থানীয় দোকান যে গুলো আছে সেই গুলোতে তা সরবরাহ করতে পারবেন ।
গুঁড়ামসলা বানানো আর প্যাকেটজাতকরণ করতে পারেন :
উন্নত পদ্ধতিতেই কিন্তু অনেক ধরন এর মসলা গুঁড়া করেই আপনারা যদি বাজারজাত করে দিতে পারেন তা হলেই কিন্তু লাভবান হওয়া আপনাদের জন্য আসলেই সম্ভব হবে । রান্না এর কাজটাকে দ্রুত আর ঝামেলাহীন ভাবে শেষ করবার জন্যই কিন্তু আসলে বর্তমান সময়তে বাটা মসলা এর জায়গাতে গুঁড়া মসলা এর ব্যবহার বেড়ে যাচ্ছে দিন দিন ।
এই গুলোর ভিতরে আছে জিরা, ধনিয়া, হলুদ, মরিচ, গরম মসলা । এই সকল জিনিস গুলো কিন্তু আসলে অন্যতম। কাঁচামালকে ভালো করে রোদে শুকিয়েই । কিন্তু মেশিন এ গুঁড়া করার পরে সেটাকে উন্নত পদ্ধতিতে প্যাকেটজাত করে দিতে পারলেই । এই ব্যবসা এর মাধ্যমেই আপনারা স্বাবলম্বী হয়ে যেতে পারবেন ।
আমাদের শেষ কথা
তাহলে আজকে আমাদের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে জানতে পারলাম আড্ডা ছোট ব্যবসার আইডিয়া । তাহলে বন্ধুরা আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনাদের কেমন লেগেছে । সেটা অবশ্যই আপনারা আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না । অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন ।