👉 শহুরে ও গ্রাম্য জীবনের আলাদা আলাদা লাইফস্টাইল…

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় গ্রাথোর পাঠক,

আশা করি গত ২-৩ দিনের তাপদাহ সহ্য করে পবিত্র সিয়াম সাধনার দিন রাত্রি অতিবাহিত করছেন।

আপনাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা ছোট বেলা থেকেই অথবা জন্মসূত্রে শহরে বসবাস করছেন। আবার অনেকেই আছেন যারা কর্মসুত্রে শহরের অধিবাসী হয়েছেন।

আবার কেউ কেউ আছেন যারা রুপসী বাংলার প্রান গ্রামে থেকেই বড় হচ্ছেন। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া হয়তো আপনাদের শহরে আসাই হয়না।

তারপরেও আমরা সবাই গ্রাম্য জীবন ও শহুরে জীবনের মধ্যে পার্থক্যগুলো সহজেই আন্দাজ করতে পারি। একেক জনের কাছে হয়তোবা বসবাসের উপযুক্ত স্থান হিসেবে গ্রামকে আবার কেউ কেউ হয়তোবা শহরকেই বেছে নেবেন।

আপনারা অবশ্যই জানেন শহর আর গ্রামের লাইফস্টাইলে রয়েছে বিস্তর ফারাক। এই ফারাকগুলোর কয়েকটা নিচে উপস্থাপন করা হলো-

১। প্রথমেই বলতে শহুরে জীবনটা একটা রংচটা জীবন।এখানে মানুষ বাহিরের চাকচিক্যকে আলাদাভাবে মূল্যায়ন করে থাকে। অপরদিকে গ্রাম্য জীবনটা হলো বাস্তববাদী কারন মানুষ প্রতিনিয়ত এখানে বাস্তবতার সাথে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকে।

২। শহুরে মানুষগুলো নগদ টাকা উপার্জন ও মরমরিয়ে খরচ করতে বেশ পটু। অপরদিকে গ্রামের মানুষেরা অতটা নগদ টাকা চোখে দেখেনা ফলে তারা খরচ করতেও যথেষ্ট হিসেব করে।

৩। শহরকে বলা হয় ইট পাথর, মিল কারখানা, মেশিনপত্রের এক যান্ত্রিক শহর। আর গ্রামে সব সময়ই অবিরাম নিরিবিলি পরিবেশ বিরাজ করে।

৪। শহরের শব্দ দূষন মানুষের মনকে রুক্ষ করে তুলে আর শব্দ দূষন না থাকায় গ্রামের মানুষজন খুব নরম স্বভাবের হয়ে থাকে।

৫। শহরকে শহর বলার কারন হলো এখানে সকল প্রকার নাগরিক সুবিধা হাতের নাগালে। গ্রামের মানুষজন নাগরিক সুবিধা নিতে অনেক কাঠ খড়ি পোহাতে হয়।

৬। গ্রামের প্রকৃতিতে অনেক গাছপালা থাকায় এখানকায় বায়ু অত্যন্ত নির্মল হয়ে থাকে। অপরদিকে গাছপালাবিহীন শহরের বাতাসে সর্বদা গন্ধ আষ্টে পিষ্টে থাকে।

৭। শহরে বাসাবাড়ির ছাদের আসল সৌন্দর্য হলো পুরু শহরটাকে একসাথে অবলোকন করা যায়। আর গ্রামে পায়ে হেঁটেই তার সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।

এগুলো ছাড়াও শহর আর গ্রামের জীবনযাত্রায় রয়েছে অনেক তফাৎ। তুলনামূলক আলোচনায় গ্রাম থেকে শহরের জীবনযাত্রার মান পিছিয়ে থাকলেও আমরা কর্মের খাতিরে জীবন জীবিকার জন্য শহরে বসবাস করতে হয়। মেনে নিতে হয় সবকিছুই।

সবাই ভালো থাকবেন।

Related Posts

8 Comments

মন্তব্য করুন