আসসালামু আলাইকুম, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন। বরাবরের মতো আজকে আমি ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সরকার কর্তৃক দেওয়া অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন পরীক্ষার্থীদের সরকার কর্তৃক দেওয়া অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও একটি নমুনা উত্তর এই পোস্টে লিখে দিবো।
নির্দেশনা বা সংকেত-
* পৌরনীতি ও সুশাসন এর ধারণা ও পরিধি।
* সুশাসনের বৈশিষ্ট্য
* পৌরনীতি সুশাসন এর ক্রমবিকাশ
উত্তর –
পৌরনীতি ও সুশাসন এর ধারণা –
পৌরনীতি হলো নাগরিকতা বিষয়ক বিজ্ঞান। প্রাচীন গ্রিসে নাগরিক রাষ্ট্র ছিল অবিচ্ছেদ্য অংশ নিয়ে গঠিত হতো নগর রাষ্ট্র। যারা নগররাষ্ট্র কাজে অংশগ্রহণ করত তাদের নাগরিক বলা হত। নাগরিকের আচরণ দায়িত্ব কর্তব্য নিয়ে আলোচনায় হলো নাগরিকতা।
রাষ্ট্রের সাথে জড়িত সবই পৌরনীতির বিষয়বস্তু। বর্তমানে একদিকে নাগরিকের ধারণা পরিবর্তন করছে অন্যদিকে নগর রাষ্ট্রের একটি বৃহৎ আকারের জাতি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বর্তমান বিশ্বে একটি জনপ্রিয় ধারণা হলো সুশাসন। সামাজিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত হচ্ছে সুশাসন।
২০০০ সালে বিশ্ব ব্যাংক সুশাসনের চারটি স্তম্ভ ঘোষণা করে এগুলো হলো -১/দায়িত্বশীলতা২/ ৩/স্বচ্ছতা ৪/আইনি কাঠামো ও অংশগ্রহণ।
পৌরনীতি ও সুশাসন এর পরিধি ব্যাপক। পৌরনীতি ও সুশাসনের পরিধি সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হল –
১/নাগরিকতা বিষয়ক-
পৌরনীতি ও সুশাসন মূলত নাগরিকতা বিষয়ক বিজ্ঞান। নাগরিকের উত্তম মর্যাদাপূর্ণ জীবন প্রতিষ্ঠা করা ও পৌরনীতি ও সুশাসন এর প্রধান লক্ষ্য। পৌরনীতি ও সুশাসন নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য সচেতনতা, নাগরিকতা সুনাগরিকের গুণাবলী সম্পর্কে আলোচনা করে।
২/মৌলিক সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠান-
মানবসভ্যতার ইতিহাসে পরিবার হলো আদি ও অকৃত্রিম প্রতিষ্ঠান। কালের বিবর্তন ধারায় পরিবারের সম্প্রসারণ হয়েছে ও গড়ে উঠেছে রাষ্ট্র ও অন্যান্য সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। এসব বিষয়গুলি পৌরনীতি ও সুশাসন এর অন্তর্ভুক্ত।
৩/ রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আলোচনা-
পৌরনীতি ও সুশাসন এর সাথে রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানসমূহ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। রাষ্ট্র, রাষ্ট্রের ধারণা, রাষ্ট্রের উৎপত্তি রাষ্ট্রের কার্যাবলী, রাষ্ট্র সম্পর্কে বিভিন্ন তত্ত্ব আলোচনা।
৪/পৌরনীতি ও সুশাসন সম্পর্কে আলোচনা-
পৌরনীতি ও সুশাসন রাষ্ট্রের সুশাসনের বহুমাত্রিক ধারণা সম্পর্কে আলোচনা করে।
সুশাসন এর সমস্যা,
সুশাসনের সমস্যার সমাধান, সমস্যা সমাধানে সরকার ও জনগণের ভূমিকা সম্পর্কে পৌরনীতি ও সুশাসন আলোচনা করে। নাগরিকের অতীত-বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা পৌরনীতি ও সুশাসন নাগরিকের অধিকার ও কর্তব্যের বর্তমান স্বরূপ সম্পর্কে আলোচনা করে এবং এর মাধ্যমে ভবিষ্যৎ ও নাগরিক জীবনের আদর্শ ও স্বরূপের ইঙ্গিত প্রদান করে।
সুশাসনের কিছু বৈশিষ্ট্য-
সুশাসন ও জবাবদিহিতা-
দায় বদ্ধতা সুশাসনের মৌলিকভাবে স্থানীয় সরকার রিপোর্ট ব্যাখ্যা ও সিদ্ধান্ত সবকিছুর জন্য জবাবদিহি করতে একটি বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
সুশাসন স্বচ্ছ-
মানুষ অনুসরণ করে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া বুঝতে সক্ষম হওয়া উচিত এর মানে হলো এই যে তারা স্পষ্ট দেখতে কিভাবে একটি সিদ্ধান্ত সক্ষম হবে তথা পরামর্শ পরামর্শ পরিষদ বিবেচিত হবে এবং সবকিছু হতে কাউন্সিল হতে অনুসূত হতে হবে।
সুশাসন ও আইনের শাসন অনুসরণ –
এর অর্থ এই যে সিদ্ধান্ত প্রাসঙ্গিক আইনসভা প্রচলিত আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় এবং পরিষদের ক্ষমতার মধ্যে হয়। স্থানীয় সরকারের ক্ষেত্রে আইন রয়েছে।
সুশাসন কার্যকর ও দক্ষতা –
স্থানীয় সরকার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন এবং কার্যকর প্রক্রিয়ায় যে তাদের সম্প্রদায়ের জন্য সম্ভাব্য সর্বোত্তম ফলাফল নিশ্চিত করার জন্য সম্পদ এবং সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত ভাবে অনুসরণ করবে।
সুশাসন যেন অংশগ্রহণমূলক হয়-
একটা সিদ্ধান্তে আগ্রহী দ্বারা প্রবাহিত করার লক্ষ্যে যে কারো যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ করা উচিত সেটা বিভিন্ন ভাবে করতে পারে সম্প্রদায়ের সদস্যদের কিছু ক্ষেত্রে প্রকৃত সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ দেওয়া তথ্য তাদের মতামত প্রদান করা হতে পারে।
পৌরনীতি ও সুশাসন এর ক্রমবিকাশ-
মানুষ সামাজিক জীব। সমাজ ছাড়া মানুষ বসবাস করতে পারে না। সুদূর অতীতে সমাজবদ্ধ মানুষের জীবনকে কেন্দ্র করে কতগুলো নিয়মকানুন রীতি নীতি প্রচলিত ছিল। সুদূর অতীতে শাসকদের লক্ষ্য ছিল জনগণের কল্যাণ সাধন। অ্যারিস্টোটলের মতে রাষ্ট্রের প্রধানতম পবিত্রতম তম লক্ষ্য নাগরিকদের জন্য উন্নততর কল্যাণকর জীবনের নিশ্চয়তা বিধানের ক্ষেত্রে সম্প্রসারিত করা এবং নৈতিক উৎকর্ষতা সাধন করা।
ধন্যবাদ।
ভুল ত্রুটি থাকলে ক্ষমাদৃষ্টিতে দেখবেন।