আজকে আপনাদের সাথে অনলাইন ইনকামের ৫ টি উপায় বলবো চলুন শুরু করা যাক
১. ফরম পোস্টিং:
অনলাইন ইনকাম জগতের সবচেয়ে সহজ উপায় এই কাজটি। আপনাকে এটা করার জন্য খুববেশি কিছু জানতে হবে না; শুধুমাত্র ইচ্ছামতো প্রশ্ন করা জানলেই হবে।
অনলাইনে কোরা, রেডডিট, স্টাকওভার ফ্লো ইত্যাদি সহ অনেক ফর্ম আছে। যারা তাদের ফর্ম প্রশ্ন করার জন্য আপনাকে হায়ার করে।
কেন প্রশ্ন করার জন্য হায়ার করে? তাদের ফর্মকে ব্যাস্ত ও গ্রাহক বাড়ানোর জন্য। যাতে এডসেন্স থেকে অধিক ইনকাম করতে পারে।
কেথায় এই কাজ পাওয়া যায়? গুড প্রশ্ন, এসকল কাজ ফ্রিল্যান্সার মার্কেটপ্লেসে পাওয়া যায়।
মার্কেটপ্লেসে যাবেন, ফর্মপোস্টিং লিখে সার্চ দেবেন। কাজে বিট করবেন, হয়তো আপনার একটা ইন্টারভিউ নিবে; এবং আপনি কাজটা পেয়ে যেতে পারেন। সাধারণত প্রশ্নসংখ্যার উপর ভিত্তি করে টাকা দিয়ে থাকে। প্রশ্নপ্রতি $০.৪৫- $০.৭৫ ডলার দিয়ে থাকে।
২. কন্টেন্ট রাইটার:
আপনি যাদি কোনো টপিকের উপর ভালো কন্টেন্ট লিখতে পারেন তবে তা দিয়ে অনেক আয় করতে পারবেন।
অধিকাংশ সময় দেখা যায় কোনো ওয়েবসাইটের মালিক ব্লগটাকে আরো আকর্ষনীয় ও অধিক ভিজিটর পেতে চায়।কিন্তু সময় সল্পতাসহ বিভিন্ন কারণে সে কন্টেন্ট লিখতে পারছে না তখন কাউকে হায়ার বা ভাড়া করে, কন্টেন্ট লেখার জন্য।
এটা আপনার কাছে একটা বড় সুযোগ। তবে এই কাজ করার জন্য আপনাকে কিছু কাজ করতে হবে।
প্রথমে সুন্দর করে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে সুন্দর ও আকর্ষনীয় ভাবে নিজেকে ও কাজকে প্রফাইলের মাধ্যমে উপস্থাপন করতে হবে।
রাইটিং রিলেডেট জব খুজে বের করে তাতে বিড বা এপ্লায় করতে হবে।
ওয়েবসাইটের মালিকের সাথে আপনার রাইটিং জব ও কিছু স্যাম্পল দিয়ে, কাজটা আপনাকে দেয়ার জন্য রাজি করাতে হবে।
একাজে কত টাকা পর্যন্ত আয় করতে যায়?
কতটাকা ইনকাম করা যাবে সেটা আপনার দক্ষতা ও কাজের উপর নির্ভর করে। তবে প্রতিটি কন্টেন্ট এর জন্য $৫ -$১০০+ ডলার আয় হয় লেখার দৈর্ঘ্য অর্থাৎ শব্দসংখ্যার উপর ভিত্তি করে।
যদি নতুন রাইটারও হয়ে থাকেন তবুও প্রতি ১০০ শব্দে ১ ডলার করে আয় করতে পারবেন।
৩. নিজের ব্লগিং সাইট করে:-
ব্লগিং একটা প্যশান। ব্লগিং করে টাকা আয় করতে হলে আপনাকে অনেক ধৈয্য ধারণ করতে হবে। ব্লগিং করার জন্য রাইটিং স্কিল থাকলে ভালো হয়।
ব্লগিং ফ্রি ও টাকা ইনভেস্ট করে এ দুভাবে করা যায়। ফ্রিতে বিভিন্ন সাইট আছে, যেখানে সাবডোমেইন এর আওতায় ও ফি্রতে সাইট খুলে লেখা-লেখি করতে পারেন।
তবে ফ্রিতে অনেক সময় ঝামেলা হয় এবং এতে আপনার অনেক সময় ব্যয় হবে।
আমি রিকমেন্ড করি টাকা দিয়ে ডোমেইন ও হেস্টিং কিনে শুরু করুন। একাজে আপনার ১০০০-৩০০০ টাকার মতো খরচ হবে। এতে সুবিধা আছে যেমন- নিজস্ব ডোমেইন হোস্টিং থাকছে এবং পরবর্তীতে কোনো ঝামেলা পোহাতে হবে না।
ব্লগিং এ লেখালেখি করে যত ভিজিটর আনতে পারবেন তত ইনকাম হবে। ব্লগিং এর মূল উদ্দেশ্য ভিজিটর আকর্ষণ করা এবং সাইট বেশি বেশি ভিজিট করানো।
এবার আসি টাকা ইনকাম করার বিষয়ে, সাইটে গুগল এডসেন্স যোগ করে এড দেখানো মাধ্যমে প্রতিমাসে $১০০-$১০০০+ ডলার ইনকাম করা যায়।
কত টাকা আয় করতে পারবেন ভিজিটর ও ভিজিটের লোকেশন এর উপর নির্ভর করে।
তারপর অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করেও প্রচুর ইনকাম করা যায়। আবার প্রিমিয়াম সাবস্কিপশনের মাধ্যমেও ভালো অংকের টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এজন্য আপনাকে সামান্য ধৈয্য ও কাজ করার মানষিকতা রাখতে হবে। শুধু একটা কথা মনে রাখবেন ধৈয্য ছাড়া অনলাইনে আয়ের বিকল্প নেই।
৪. ইউটিউব চ্যানেল খুলে:-
যাদের লেখালিখি ভালো লাগে না তারা ভিডিওর মাধ্যমে আয় করতে পারেন, ইউটিউবের মাধ্যমে।
বর্তমানে কারো অজানা থাকার কথা নয় যে ইউটিউবে ইনকাম করা যায়। শুধু আপনার ভিতর কাজ করার স্পৃহা থাকতে হবে।
ইউটিউবে কাজ করার জন্য আপনার মোবাইল বা কম্পিউটারই যথেষ্ট। কোনো খরচ বা ইনভেস্ট করা লাগবে না।
শুধু একটি চ্যনেল খুলবেন, পছন্দের ভিডিও আপলোড দিবেন, ব্যাস। যদি ভিডিওতে ভালো ভিউজ হয় তবে গুগল এডসেন্সে এপ্লায় করুন। গুগল এডসেন্স এপ্রুভ (approve) হলে এড দেখানো শুরু হবে সাথে টাকা ইনকামও।
ইউটিউবে কাজ করার জন্য কিছু বিষয় খেয়াল বাখুন-
মোটামটি ভিডিও এডিটিং জানতে হবে।
ভালো মানের সম্পাদনা জানতে হবে।
ভুলেও কারো কন্টেন্ট কপি করবেন না। কপি কিরছেন তো ইউটিউব চ্যানেল শেষ।
কোনো একটি পছন্দের টপিক নিয়ে কাজ করুন, দ্রুত সফল হবেন।
৫. ভার্চ্যুয়াল সহকারী:-
বর্তমান যুগ ইন্টরনেটের যুগ। মানুষ ইন্টরনেট ব্যবহার করে কাজ করতে সাচ্ছন্দবোধ করে। মানুষ অনলাইনে কাজের সাহায্যের জন্য লোক নিয়োগ দেয়।
বিভিন্ন কাজের জন্য বিভিন্ন মানুষ বা কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান এদের নিয়োগ দিয়ে থাকে; এদের ইনকাম ভালো। আপওর্য়াকে সহ বিভিন্ন মার্কেটে খোজ নিয়ে দেখতে পারেন।
এদের কাজের ভিতর ডাটা-এন্ট্রি, লেখালিখি, ডিজাইনসহ বিভিন্ন কাজ রয়েছে। এদের কাজের ক্ষেত্র এত বড় যে এখানো আলোচনা করে শেষ করা যাবে না।
ভার্চ্যুয়াল সহকারীরা ঘন্টায় $৫-$২০০+ ডলার চার্জ করে থাকে। এটা ব্যক্তি অভিজ্ঞতা ও কাজের দক্ষতার উপর নির্ভর করে।
যেকোনো অনলাইন রিলেটেড কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করে ভার্চ্যুয়াল সহকারী হিসেবে কাজ করতে পারেন।
এজন্য কাজ শেখার পর মার্কেটে নিজের প্রফাইল খুলবেন এবং আপনার কাজ রিলেটেড কাজে আবেদন করবেন।
অনলাইনে আয়ের যতগুলো উপায় আছে; অনলাইনে আয়ের সবচেয়ে সহজ উপায় ডাটা এন্ট্রি।