আসসালামুয়ালাইকুম
আশা করি আপনারা সবাই সুস্থ আছেন ভালো আছেন। আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো কিভাবে স্লো মোবাইল্কে নতুনের মত ফাস্ট করা যায়।তাহলে চলুন বেশি ভূমিকা না করে শুরু করা যাক।
➤ মোবাইল বেশি বেশি রিস্টার্ট দিন। দিনে একবার হলেও দিন। কারণ এতে আপনি যেসব এপ্স ব্যবহার করেন নাহ বা দিনে একবার ব্যবহার করে অফ করে দিছে সে সব এপস এর কাজ বন্ধ করে দেয়। কারণ অনেক এপস আছে যেগুলো থেকে বের হয়ে আসার পরেও এগুলো কাজ করতেই থাকে। এতে ফোন স্লো হয়ে যায়। তাই দিনে একবার হলেও বা ঘুমানোর আগে ফোন রিস্টার্ট করে ঘুমাবেন। এতে মোবাইল ফাস্ট হবে।
➤ যে সকল এপস আপনি বেশি ব্যবহার করেন নাহ। বছরে বা মাসে একবার, দুইবার ব্যবহার করেন সেসকল এপস ফোনে রাখবেন নাহ। দরকার হলে যখন দরকার তখন ডাউনলোড করে কাজ শেষে আবার ডিলিট করে দিবেন। তাহলে ফোন অনেক ফাস্ট হবে।
➤ সবস্ময় গুগোল গো,ফেসবুক লাইট,ম্যাসেঞ্জার লাইট,ইউটিউব গো এইসব লাইট এপসগুলো ব্যবহার করবেন। কারণ এগুলো ব্যবহার করতে কম মেগাবাইট খরচ হয় আবার এগুলো অন করতেও নেটওয়ার্ক কম খরচ হয়। তাই এগুলো ব্যবহারে মোবাইল ফাস্ট কাজ করে।
➤ মোবাইলের হোম স্ক্রিনে অনেক অপ্রোয়জনীয় এপস আগে থেকেই থাকে। সেগুলো সরিয়ে ফেলুন। এগুলো মোবাইলের স্পিড কমিয়ে দেয়।
➤ মোবাইলের ব্যাকগ্রাউন্ড-এ একসাথে অনেকগুলো এপস রাখবেন নাহ। এতে আপনি সে এপস থেকে বের হয়ে আসলেও সেগুলো কাজ করেই যায়। এতে মোবাইলের স্পিড ধীরে ধীরে কমে যায়। তাই এক এপস থেকে অন্য এপস এ গেলে পূর্বের এপস ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে ডিলিট করে দিন।
➤ চেষ্টা ক্ক্রবেন মোবালে ডার্ক থিম ব্যবহার করার। এতে মোবাইল স্পিড বাড়ে।
➤ সবসময় ভালো ও দামী মেমোরি কার্ড ব্যবহার করবেন।
➤ মোবাইলের ক্লিনার এপস ডাউনলোড করবেন নাহ।এতে আপনার মোবাইলের তো ভাইরাস ক্লিন হয়ই না উল্টো আপনার অনেক তথ্য তারা নিয়ে নেয়।তাই কখনও স্পিড বাড়বে বলে ক্লিনার এপস ডাউনলোড করবেন নাহ।
➤ চেষ্টা করবেন মোবাইলের ফ্যাক্টপ্রি রিসেট মারার। ৩ মাসে এক বার বা ১ মাসে একবার হলেও ফ্যাক্টরি রিসেট করবেন।এতে আপনার ফোন সুপার ফাস্ট হবে।
তবে সকল কিছুর ব্যাকাপ রেখেই রিসেট মারবেন।।
এই ছিলো আজকের এন্ড্রয়েড টিপস। আশা করি আপনারা এটি পড়ে একটু হলেও উপকার পেয়েছেন।এরকম আরো টিপস নিয়ে আলোচনা করবো।
আপনারা আমার পোষ্ট পড়ে কমেন্ট ও শেয়ার করে আমার পাশে থাকুন।
ধন্যবাদ।