সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ, আসসালামু আলাইকুম। আজ হাজির হয়েছে নতুন আরো একটি আর্টিকেল নিয়ে। আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়লে আশা করি আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে অনেক উপকার দিবে। মানুষ মাত্রই তার অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব কে সবার সামনে ফুটিয়ে তুলতে চাই। সফল ব্যক্তিত্ব একটা মানুষের প্রকৃত পরিচয় কে লোকসমাজে ফুটিয়ে তোলে।
একজন মানুষের অন্তরে আপনি কেমন সেটি আপনার ব্যক্তিত্বই পরিচয় করিয়ে দেয়। আপনার সম্পর্কে সুপ্ত ধারনা সঞ্চার করে মানুষই আপনার সম্পর্কে ইতিবাচক নতুবা নেতিবাচক মন্তব্য করে থাকে। এই ব্যক্তিত্ব গঠন করতে হলে প্রয়োজন অধ্যবসায়ের। যে যত বেশি অধ্যবসায় করবে সে তার ব্যক্তিত্ব তত বেশি সুন্দর হবে। অধ্যবসায় দ্বারা জীবনকে সাজাতে পারলেই আপনি সুখী মানুষ হিসেবে সকলের মাঝে বিবেচিত হতে পারেন।
ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব সুন্দর হলে উক্ত ব্যক্তির সাহচর্য পেতে শ্রোতার আগ্রহ বেড়ে যায়। তার সম্পর্কে জানার আগ্রহও বেড়ে যায়। সবল ব্যক্তিত্বের অধিকারী ব্যক্তি অনেকের কাছে অনুকরণীয় আদর্শ হিসেবে বিবেচিত হয়। মানুষের জীবনে পূর্ণতা এনে দেয় তার অধ্যাবসায়ে অর্জিত অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব। ব্যক্তিগত জীবনে, সামাজিক জীবনে অধ্যবসায়ের গুরুত্ব অপরিসীম। অধ্যাবসায় ছাড়া কেউ কখনও সৌভাগ্যের স্বর্ণশিখরে আহরণ করতে পারে না। এজন্যই বলা হয় পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি। অধ্যবসায় আপনার জীবনের মোড় পরিবর্তন করতে পারে। আমরা যারা পরিশ্রম করতে অপটু বা পরিশ্রম করতে ভালো লাগেনা তাদের দ্বারা শক্ত বা অটুট ব্যক্তিত্ব গঠন করা সম্ভব হয় না। একজন ব্যক্তি আদর্শবান হয় তার ব্যক্তিত্ব প্রকাশের মাধ্যমে।
জীবনকে সার্থক ভাবে সাজাতে হলে নিজের জীবনের সাথে অধ্যবসায় শব্দটি সংযুক্ত করতে হবে অন্যথায় আপনি ব্যক্তি হিসাবে হয়েও উঠবেন বিতর্কিত মানব। আপনি ততক্ষন অনুসরণযোগ্য মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হতে পারবেন না যতক্ষন আপনার সবল ব্যক্তিত্ব গঠিত হবে না। যথাযথ সঠিক চিন্তা চেতনার প্রয়োগ, বিবেকের সঠিক প্রয়োগ আপনার ব্যক্তিত্বকে অনুকরণীয় ব্যক্তিত্বে পরিস্ফুট করতে সহায়তা করে।
আবেগ দিয়ে নয় বিবেক দিয়ে কাজ করুন দেখবেন ব্যক্তিত্ব সুন্দর হয়ে গিয়েছে। সর্বদা মার্জিত ভাষা ব্যবহার করুন। মানুষের মতামত কে সম্মান করুন। মেনে নিতে না পারলে চুপ থাকুন, যদি জ্ঞান ও বুদ্ধির সমন্বিত প্রয়াসে বোঝাতে না পারেন তাহলে নিরব থাকাই ব্যক্তিত্বপূর্ণ মানুষের পরিচয় বহন করে।
আপনার অনুভূতি মানুষ কিভাবে গ্রহণ করবে সেটি বুঝতে শিখুন। আপনার কাজকে মানুষ কিভাবে মূল্যায়ন করবে সেটিও বোঝার চেষ্টা করুন। স্বীয় অধ্যাবসায়ে অর্জিত জ্ঞান দিয়ে নিজেকে পরিচালিত করুন। বাস্তব জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রের ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোকে স্কীকার করে নিন। তাহলে দেখবেন আপনার ব্যক্তিত্ব সর্ব মহলে গ্রহণযোগ্যতা লাভ করেছে। আপনি কেমন? অপরের অন্তরে আপনার ভালোলাগা বা ভালোবাসা শুধুমাত্র আপনার ব্যক্তিত্বের কারণেই মূল্যায়িত হয়ে থাকে। সফল ব্যক্তিত্ব জীবনকে সুন্দর করে। অপরদিকে দুর্বল ব্যক্তিত্ব জীবনকে অনেক ক্ষতি ও মানহানির দিকে ঠেলে দেয়।
আসুন অধ্যবসায়ের মাধ্যমে আমরা সুঠাম ব্যক্তিত্ব গঠন করি তাহলে আমরা সমাজে মর্যাদার স্বর্ণশিখরে আহরণ করতে সক্ষম হবো। পৃথিবীতে আমাদের সম্মান ও ইজ্জতের যথাযথ হেফাজত হবে।